চট্টগ্রামে রেলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

অবশেষে দীর্ঘ দুই যুগ পর চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় ‘জোড় ডেবা’র প্রায় ২১.৪৮ একরের জলাশয়ের আশপাশজুড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে রেলওয়ে। গত রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ উচ্ছেদ অভিযান চলবে আরও একদিন। এতে উচ্ছেদ করা হবে ডোবাটির আশপাশজুড়ে গড়ে ওঠা এক হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা। তবে এ অভিযানে জলাশয়ের চারপাশজুড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও ‘অক্ষত’ থাকবে ডেবার পশ্চিম পাশে থাকা অবস্থিত মসজিদটি এমনটাই জানালেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

রেলওয়ের জরিপ অনুযায়ী, পাহাড়তলী বাজার সংলগ্ন ওই বস্তিতে রয়েছে অনন্ত ১২শ’র ঘর। এদের মধ্যে উচ্ছেদের প্রথম দিনে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে প্রায় ৫শ’র বেশি ঝুঁপড়ি ঘর, টিনশেড দোকান এবং সেমিপাকা ঘর। রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুব উল করিমের নেতৃত্বে শুরু হওয়া টানা দু’দিনের এ উচ্ছেদ অভিযানে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীসহ (আরএনবি) রেলওয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে রেলওয়ের জমি জরিপ শাখার কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ?‘ডোবাটির আশপাশজুড়ে গড়ে ওঠা স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হলেও ধর্মীয় স্থাপনাগুলো বাদ দিয়ে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ব্রিটিশ শাসনামলে নগরীর পাহাড়তলী এলকায় এই জলাধারটি তৈরি করে রেলওয়ে। যা পাহাড়তলী ‘হর্স-স্যু-ট্যাংক’ বা ‘জোড় ডেবা’ নামে পরিচিত। ২১.৪৮ একরের এই সুবিশাল জলধারটি মাছ চাষের জন্য ১৯৯৬ সালে ইজারা নেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল হাই। দীঘির পাড় তখন থেকেই বেদখল হতে শুরু করে। এরপর ২০০২ সালে আবদুল হাই আরও পাঁচ বছরের জন্য দীঘির ইজারা পান। অবৈধ বস্তিঘর তখন আবারও বাড়ে। পরে ঘটনাক্রমে দীঘির ইজারা পান আবদুল হাইয়ের ভাতিজা আবদুল লতিফ। যার সঙ্গে পূর্ব রেলের একটি মামলা চলছে বলেও জানান রেলওয়ে কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৪ পৌষ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

চট্টগ্রামে রেলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

চট্টগ্রাম ব্যুরো

অবশেষে দীর্ঘ দুই যুগ পর চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় ‘জোড় ডেবা’র প্রায় ২১.৪৮ একরের জলাশয়ের আশপাশজুড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে রেলওয়ে। গত রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ উচ্ছেদ অভিযান চলবে আরও একদিন। এতে উচ্ছেদ করা হবে ডোবাটির আশপাশজুড়ে গড়ে ওঠা এক হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা। তবে এ অভিযানে জলাশয়ের চারপাশজুড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও ‘অক্ষত’ থাকবে ডেবার পশ্চিম পাশে থাকা অবস্থিত মসজিদটি এমনটাই জানালেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

রেলওয়ের জরিপ অনুযায়ী, পাহাড়তলী বাজার সংলগ্ন ওই বস্তিতে রয়েছে অনন্ত ১২শ’র ঘর। এদের মধ্যে উচ্ছেদের প্রথম দিনে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে প্রায় ৫শ’র বেশি ঝুঁপড়ি ঘর, টিনশেড দোকান এবং সেমিপাকা ঘর। রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুব উল করিমের নেতৃত্বে শুরু হওয়া টানা দু’দিনের এ উচ্ছেদ অভিযানে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীসহ (আরএনবি) রেলওয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে রেলওয়ের জমি জরিপ শাখার কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ?‘ডোবাটির আশপাশজুড়ে গড়ে ওঠা স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হলেও ধর্মীয় স্থাপনাগুলো বাদ দিয়ে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ব্রিটিশ শাসনামলে নগরীর পাহাড়তলী এলকায় এই জলাধারটি তৈরি করে রেলওয়ে। যা পাহাড়তলী ‘হর্স-স্যু-ট্যাংক’ বা ‘জোড় ডেবা’ নামে পরিচিত। ২১.৪৮ একরের এই সুবিশাল জলধারটি মাছ চাষের জন্য ১৯৯৬ সালে ইজারা নেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল হাই। দীঘির পাড় তখন থেকেই বেদখল হতে শুরু করে। এরপর ২০০২ সালে আবদুল হাই আরও পাঁচ বছরের জন্য দীঘির ইজারা পান। অবৈধ বস্তিঘর তখন আবারও বাড়ে। পরে ঘটনাক্রমে দীঘির ইজারা পান আবদুল হাইয়ের ভাতিজা আবদুল লতিফ। যার সঙ্গে পূর্ব রেলের একটি মামলা চলছে বলেও জানান রেলওয়ে কর্মকর্তারা।