রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মায়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির আহ্বান কাদেরের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহকে ময়াানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির কার্যকর কৌশল অবলম্বনের আহবান জানিয়েছেন। গতকাল রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবনে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী টেকনাফ-উখিয়ায় আশ্রয় নেয়ায় তাদের ভরণ-পোষণ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রচ- চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। ধারণ ক্ষমতার কম জায়গায় অধিকসংখ্যক মানুষ বসবাস করায় হুমকির মুখে পড়েছে সামাজিক পরিবেশ। দেখা দিয়েছে মানবিক ও পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা। বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় সৈকত ঘিরে পর্যটন শিল্পের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে শেখ হাসিনার সরকার বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করে আসছে, কূটনৈতিক তৎপরতাও অব্যাহত রেখেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ময়াানমারের প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ায় সরকার ভাসানচরে অধিকতর সুযোগ-সুবিধা দিয়ে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। যারা স্বেচ্ছায় যেতে চেয়েছে কেবলমাত্র তাদেরকেই স্থানান্তর করা হচ্ছে। কোন ধরনের চাপ প্রয়োগ করে নয়। যারা ইতোমধ্যে ভাসানচরে গিয়েছে, তারা স্বস্তি প্রকাশ করলেও কোন কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বহুজাতিক গণমাধ্যম রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে জোরপূর্বক স্থানান্তরের কথা প্রচার করছে। যা সত্য নয় বলে জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার টিকা সংগ্রহে ইতেমাধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ কিংবা ফেব্রুয়ারিতে টিকা দেশে এসে পৌঁছবে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে এবং দেশবাসীকে অবহিত করছে। টিকা এখনও আসেইনি, এর মধ্যেই বিভ্রান্তি শুরু করেছে সেই মতলবি মহল। তিনি দেশবাসীকে এসব উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।

সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিদেশি শক্তির কাছে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছে- বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের মানুষ জানে, কারা ক্ষমতায় যেতে বিদেশি দূতাবাসের দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষা করে। কারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিদেশি সংস্থার কাছে প্রকাশ্য দিবালোকে নৈতিক সাহায্য প্রার্থনা করে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশের স্বাধীনতা এসেছে, দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি শেখ হাসিনা সরকারের কাছে নিজ অস্তিত্বের মতো। ক্ষমতার জন্য বিএনপিই জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকে, আওয়ামী লীগ নয়।

মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৪ পৌষ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মায়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির আহ্বান কাদেরের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহকে ময়াানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির কার্যকর কৌশল অবলম্বনের আহবান জানিয়েছেন। গতকাল রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবনে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী টেকনাফ-উখিয়ায় আশ্রয় নেয়ায় তাদের ভরণ-পোষণ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রচ- চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। ধারণ ক্ষমতার কম জায়গায় অধিকসংখ্যক মানুষ বসবাস করায় হুমকির মুখে পড়েছে সামাজিক পরিবেশ। দেখা দিয়েছে মানবিক ও পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা। বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় সৈকত ঘিরে পর্যটন শিল্পের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে শেখ হাসিনার সরকার বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করে আসছে, কূটনৈতিক তৎপরতাও অব্যাহত রেখেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ময়াানমারের প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ায় সরকার ভাসানচরে অধিকতর সুযোগ-সুবিধা দিয়ে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। যারা স্বেচ্ছায় যেতে চেয়েছে কেবলমাত্র তাদেরকেই স্থানান্তর করা হচ্ছে। কোন ধরনের চাপ প্রয়োগ করে নয়। যারা ইতোমধ্যে ভাসানচরে গিয়েছে, তারা স্বস্তি প্রকাশ করলেও কোন কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বহুজাতিক গণমাধ্যম রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে জোরপূর্বক স্থানান্তরের কথা প্রচার করছে। যা সত্য নয় বলে জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার টিকা সংগ্রহে ইতেমাধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ কিংবা ফেব্রুয়ারিতে টিকা দেশে এসে পৌঁছবে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে এবং দেশবাসীকে অবহিত করছে। টিকা এখনও আসেইনি, এর মধ্যেই বিভ্রান্তি শুরু করেছে সেই মতলবি মহল। তিনি দেশবাসীকে এসব উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।

সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিদেশি শক্তির কাছে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছে- বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের মানুষ জানে, কারা ক্ষমতায় যেতে বিদেশি দূতাবাসের দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষা করে। কারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিদেশি সংস্থার কাছে প্রকাশ্য দিবালোকে নৈতিক সাহায্য প্রার্থনা করে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশের স্বাধীনতা এসেছে, দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি শেখ হাসিনা সরকারের কাছে নিজ অস্তিত্বের মতো। ক্ষমতার জন্য বিএনপিই জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকে, আওয়ামী লীগ নয়।