স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি জানাবেন আসলে কত টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ?

দেশে কোন সময় কী পরিমাণ টিকা পাওয়া যাবে সেটা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী একেক সময় একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছেন। মন্ত্রী জাহিদ মালেক গত রোববার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট এবং কোভ্যাক্সের আওতায় আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে।

অথচ গত ২১ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সেরাম ও কোভ্যাক্সের কাছ থেকে সব মিলিয়ে নয় কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে; যা দিয়ে সাড়ে চার কোটি মানুষকে টিকা দেয়া যাবে। এর আগে তিনি ৯ কোটি ৮০ লাখ টিকা বাংলাদেশ পাবে বলে জানিয়েছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাষ্যÑ সেরামের টিকার প্রথম চালান আসবে জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে। প্রতি মাসে পঞ্চাশ লাখ করে ছয় মাসে তিন কোটি টিকার জন্য সেরামের সাথে চুক্তিও করেছে সরকার।

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হযবরল পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পদ থেকে বিভিন্ন সময় বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। এখন টিকা নিয়েও যদি বিভ্রান্তিকর বক্তব্য আসে তাহলে জনমনে শুধু হতাশাই সৃষ্টি হবে। খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী একেক সময় একেক তথ্য দিচ্ছেন। দায়িত্বশীল কারো কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না।

টিকা নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তির অবসান ঘটানো জরুরি। দেশে কত ডোজ টিকা, কবে আসবে সেটা সুনির্দিষ্ট করে মানুষকে জানাতে হবে।

মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৪ পৌষ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসন করুন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি জানাবেন আসলে কত টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ?

দেশে কোন সময় কী পরিমাণ টিকা পাওয়া যাবে সেটা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী একেক সময় একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছেন। মন্ত্রী জাহিদ মালেক গত রোববার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট এবং কোভ্যাক্সের আওতায় আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে।

অথচ গত ২১ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সেরাম ও কোভ্যাক্সের কাছ থেকে সব মিলিয়ে নয় কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে; যা দিয়ে সাড়ে চার কোটি মানুষকে টিকা দেয়া যাবে। এর আগে তিনি ৯ কোটি ৮০ লাখ টিকা বাংলাদেশ পাবে বলে জানিয়েছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাষ্যÑ সেরামের টিকার প্রথম চালান আসবে জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে। প্রতি মাসে পঞ্চাশ লাখ করে ছয় মাসে তিন কোটি টিকার জন্য সেরামের সাথে চুক্তিও করেছে সরকার।

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হযবরল পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পদ থেকে বিভিন্ন সময় বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। এখন টিকা নিয়েও যদি বিভ্রান্তিকর বক্তব্য আসে তাহলে জনমনে শুধু হতাশাই সৃষ্টি হবে। খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী একেক সময় একেক তথ্য দিচ্ছেন। দায়িত্বশীল কারো কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না।

টিকা নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তির অবসান ঘটানো জরুরি। দেশে কত ডোজ টিকা, কবে আসবে সেটা সুনির্দিষ্ট করে মানুষকে জানাতে হবে।