মাতারবাড়ী সমুদ্র বন্দরে প্রথম জাহাজ

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে ভিড়েছে প্রথম বিদেশি পণ্যবাহী জাহাজ ‘ভেনাস ট্রাইয়াম্প’। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি ট্রায়াল হিসেবে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের জেটিতে ভিড়ে। চট্টগ্রাম বন্দরের সহকারী হার্বার মাস্টার ক্যাপ্টেন আতাউল হক সিদ্দিকী জানান, এই জাহাজ নোঙ্গর করার মাধ্যমে এ বন্দরের যাত্রা শুরু হলো। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হওয়ার সময় নির্ধারণ করা আছে ২০২৫ সাল। বাংলাদেশ কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, জাহাজটি গত ২২ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার পেলাভুবন সিলেগন বন্দর থেকে স্ট্রিম জেনারেটরের যন্ত্রাংশ নিয়ে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। গতকাল সকাল ৯টায় বন্দরের ক্যানেলে প্রবেশ করে। এরপর জাহাজটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অস্থায়ীভাবে নির্মিত জেটিতে নেয়ার কাজ করেন বন্দরের পাইলটরা।

সি-শোর মেরিন প্রাইভেট লিমিটেডের এ জাহাজটির দেশীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে এনসেইন্ট স্টিমশিপ লিমিটেড এবং স্টিবেটর হিসেবে কাজ করছে গ্রিন এন্টারপ্রাইজ।

বন্দর সূত্র জানায়, জাহাজ ভেড়ানোর জন্য এর আগে প্রস্তুত করা হয় আড়াইশ’ মিটার প্রস্থ, ১৮ মিটার গভীরতার ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেল। বঙ্গোপসাগর থেকে এই চ্যানেল দিয়ে জাহাজ বন্দর জেটিতে প্রবেশ করে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের মেরিন বিভাগ গভীর সাগর থেকে জাহাজগুলো চ্যানেল দিয়ে জেটিতে প্রবেশের জন্য স্থাপন করেছে পথ নির্দেশক ছয়টি বয়া।

সূত্র আরও জানায়, আনুষ্ঠানিকভাবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হওয়ার সময় ধরা হয়েছে ২০২৫ সাল।

চট্টগ্রাম বন্দরের সহকারী হার্বার মাস্টার ক্যাপ্টেন আতাউল হক সিদ্দিকী জানান, এটি দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর। প্রথম এই জাহাজ নোঙর করার মাধ্যমে মাতারবাড়ীতে বন্দরের যাত্রা শুরু হলো।

বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৫ পৌষ ১৪২৭, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

মাতারবাড়ী সমুদ্র বন্দরে প্রথম জাহাজ

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার

image

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে ভিড়েছে প্রথম বিদেশি পণ্যবাহী জাহাজ ‘ভেনাস ট্রাইয়াম্প’। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি ট্রায়াল হিসেবে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের জেটিতে ভিড়ে। চট্টগ্রাম বন্দরের সহকারী হার্বার মাস্টার ক্যাপ্টেন আতাউল হক সিদ্দিকী জানান, এই জাহাজ নোঙ্গর করার মাধ্যমে এ বন্দরের যাত্রা শুরু হলো। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হওয়ার সময় নির্ধারণ করা আছে ২০২৫ সাল। বাংলাদেশ কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, জাহাজটি গত ২২ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার পেলাভুবন সিলেগন বন্দর থেকে স্ট্রিম জেনারেটরের যন্ত্রাংশ নিয়ে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। গতকাল সকাল ৯টায় বন্দরের ক্যানেলে প্রবেশ করে। এরপর জাহাজটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অস্থায়ীভাবে নির্মিত জেটিতে নেয়ার কাজ করেন বন্দরের পাইলটরা।

সি-শোর মেরিন প্রাইভেট লিমিটেডের এ জাহাজটির দেশীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে এনসেইন্ট স্টিমশিপ লিমিটেড এবং স্টিবেটর হিসেবে কাজ করছে গ্রিন এন্টারপ্রাইজ।

বন্দর সূত্র জানায়, জাহাজ ভেড়ানোর জন্য এর আগে প্রস্তুত করা হয় আড়াইশ’ মিটার প্রস্থ, ১৮ মিটার গভীরতার ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেল। বঙ্গোপসাগর থেকে এই চ্যানেল দিয়ে জাহাজ বন্দর জেটিতে প্রবেশ করে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের মেরিন বিভাগ গভীর সাগর থেকে জাহাজগুলো চ্যানেল দিয়ে জেটিতে প্রবেশের জন্য স্থাপন করেছে পথ নির্দেশক ছয়টি বয়া।

সূত্র আরও জানায়, আনুষ্ঠানিকভাবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হওয়ার সময় ধরা হয়েছে ২০২৫ সাল।

চট্টগ্রাম বন্দরের সহকারী হার্বার মাস্টার ক্যাপ্টেন আতাউল হক সিদ্দিকী জানান, এটি দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর। প্রথম এই জাহাজ নোঙর করার মাধ্যমে মাতারবাড়ীতে বন্দরের যাত্রা শুরু হলো।