নারী অধিকারকর্মী আল হাথলুলের কারাদণ্ডে বিশ্বজুড়ে নিন্দা

নারী অধিকারকর্মী লাউজাইন আল হাথলুলকে ৫ বছর ৮ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন সৌদি আরবের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। তার এ কারাদণ্ডের আদেশে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ শাস্তির নিন্দা জানিয়েছেন। সৌদির সরকারি মুখপত্র সবক জানিয়েছে, জনসাধারণকে সরকারের বিরুদ্ধে উসকানো, বিদেশি স্বার্থ বাস্তবায়ন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে জনশৃঙ্খলা নষ্ট করার দায়ে তাকে এ দণ্ডাদেশ দেয়া হয়। তবে যে ২ বছর ১০ মাস তিনি জেলে রয়েছেন সেই সময়টা রায়ে দেয়া কারাদণ্ড থেকে কাটা যাবে। আপিল করার জন্য ৩০ দিন সময় পাবেন হাথলুল। আরও বেশ কয়েকজন নারী অধিকার কর্মীর সঙ্গে ২০১৮ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন এএলকিউএসটি এক বিবৃতিতে বলেছে, হাথলুল মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার অকাট্য প্রমাণ হাজির করার পরও আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে বোঝা যায় পুরো ব্যবস্থাটা কত ত্রুটিপূর্ণ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তথ্য যত আসছে তত বোঝা যাছে ত্রুটির মাত্রা। তবে সবকের প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামির আইনজীবী এবং সৌদি মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তাদের সামনে এ রায় দেয়া হয়। এ সময় কয়েকজন আইন প্রণেতাও ছিলেন। ২০১৪ সালেও তাকে একবার আটক করা হয়েছিল, গাড়ি চালিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে।

বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৫ পৌষ ১৪২৭, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

নারী অধিকারকর্মী আল হাথলুলের কারাদণ্ডে বিশ্বজুড়ে নিন্দা

image

নারী অধিকারকর্মী লাউজাইন আল হাথলুলকে ৫ বছর ৮ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন সৌদি আরবের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। তার এ কারাদণ্ডের আদেশে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ শাস্তির নিন্দা জানিয়েছেন। সৌদির সরকারি মুখপত্র সবক জানিয়েছে, জনসাধারণকে সরকারের বিরুদ্ধে উসকানো, বিদেশি স্বার্থ বাস্তবায়ন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে জনশৃঙ্খলা নষ্ট করার দায়ে তাকে এ দণ্ডাদেশ দেয়া হয়। তবে যে ২ বছর ১০ মাস তিনি জেলে রয়েছেন সেই সময়টা রায়ে দেয়া কারাদণ্ড থেকে কাটা যাবে। আপিল করার জন্য ৩০ দিন সময় পাবেন হাথলুল। আরও বেশ কয়েকজন নারী অধিকার কর্মীর সঙ্গে ২০১৮ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন এএলকিউএসটি এক বিবৃতিতে বলেছে, হাথলুল মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার অকাট্য প্রমাণ হাজির করার পরও আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে বোঝা যায় পুরো ব্যবস্থাটা কত ত্রুটিপূর্ণ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তথ্য যত আসছে তত বোঝা যাছে ত্রুটির মাত্রা। তবে সবকের প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামির আইনজীবী এবং সৌদি মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তাদের সামনে এ রায় দেয়া হয়। এ সময় কয়েকজন আইন প্রণেতাও ছিলেন। ২০১৪ সালেও তাকে একবার আটক করা হয়েছিল, গাড়ি চালিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে।