ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
রংপুর নগরীর বড়বাড়ি এলাকায় নিখোঁজ হবার একদিন পর সাড়ে চার বছরের শিশু মাইশা আখতারের লাশ বাড়ি থেকে আধা মাইল দূরে পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ শিশুটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ জানায় সোমবার বেলা ১২টার পর থেকে নিখোঁজ ছিল বড়বাড়ি এলাকার মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মাইশা আখতার সে স্থানীয় কিন্ডার গার্ডেনের শিশু শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি এবং মাইকিং করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নিহত শিশু মাইশা আখতারের লাশ বাসা থেকে আধা মাইল দূরে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ কায়সার কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত রাজিবুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন শফিকুল নামে এক ব্যক্তিকে নিহত শিশুটিকে চকলেট কিনে দিতে দেখেছেন। পুলিশ শফিকুলকে পাকড়াও করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত রাজিবুজ্জামান জানান, নিহতের শরীরে কোন কাপড় ছিল না শিশুটির শরীরে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া তার কানের বাম লতিতে রক্তের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া ঘাড়েও দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গেছে দুবৃর্ত্তরা।
এদিকে খবর পেয়ে সিআইডি পুলিশের একটি দল ঘটনা স্থলে গিয়ে আলামতসহ পরীক্ষা করছে। ডিবি পুলিশেরও একটি দল সেখানে অবস্থান করছে। পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এদিকে শিশুটি নিহত হবার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে, স্বজনদের আহাজারিতে সেখানকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি, মামলা রেকর্ড করার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৫ পৌষ ১৪২৭, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর
রংপুর নগরীর বড়বাড়ি এলাকায় নিখোঁজ হবার একদিন পর সাড়ে চার বছরের শিশু মাইশা আখতারের লাশ বাড়ি থেকে আধা মাইল দূরে পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ শিশুটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ জানায় সোমবার বেলা ১২টার পর থেকে নিখোঁজ ছিল বড়বাড়ি এলাকার মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মাইশা আখতার সে স্থানীয় কিন্ডার গার্ডেনের শিশু শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি এবং মাইকিং করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নিহত শিশু মাইশা আখতারের লাশ বাসা থেকে আধা মাইল দূরে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ কায়সার কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত রাজিবুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন শফিকুল নামে এক ব্যক্তিকে নিহত শিশুটিকে চকলেট কিনে দিতে দেখেছেন। পুলিশ শফিকুলকে পাকড়াও করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত রাজিবুজ্জামান জানান, নিহতের শরীরে কোন কাপড় ছিল না শিশুটির শরীরে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া তার কানের বাম লতিতে রক্তের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া ঘাড়েও দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গেছে দুবৃর্ত্তরা।
এদিকে খবর পেয়ে সিআইডি পুলিশের একটি দল ঘটনা স্থলে গিয়ে আলামতসহ পরীক্ষা করছে। ডিবি পুলিশেরও একটি দল সেখানে অবস্থান করছে। পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এদিকে শিশুটি নিহত হবার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে, স্বজনদের আহাজারিতে সেখানকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি, মামলা রেকর্ড করার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।