আস্থা ধরে রাখতে হবে ইসিকে

প্রথম ধাপে দেশের ২৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে গড়ে ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথম ধাপের পৌর নির্বাচনকে ‘সাকসেসফুল’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

দীর্ঘদিন পর ভোটের লাইনে ভোটারদের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে পৌর নির্বাচনে। কিছু জায়গায় অনিয়মের অভিযোগ মিলেছে, সংঘর্ষ ঘটেছে। তাতে অবশ্য ভোটারদের উৎসাহে ভাটা পড়েনি। লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে, ভোট দিয়েই বাড়ি ফিরেছেন সিংহভাগ ভোটার।

জাতীয় নির্বাচনের পর ভোটাররা ভোট দিতে উৎসাহী হচ্ছিলেন না। ভোটকেন্দ্রে তাদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য। সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত কোন কোন নির্বাচনে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। পৌর নির্বাচনে ৬৫ শতাংশ ভোটের খবরে বলা যায়- মানুষ আবার ভোটে ফিরেছে।

আমরা আশা করব, আগামী নির্বাচনগুলোতেও ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নির্বিঘ্নে ভোট দেবেন। মানুষ এতদিন কেন ভোটকেন্দ্রে যায়নি তা জানা জরুরি। নির্বাচনের গোটা ব্যবস্থায় কোথায় ঘাটতি ছিল সেটা নির্বাচন কমিশনকে খুঁজে দেখতে হবে।

ইসিকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। ভোটারদের উপস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার মাধ্যমে ইসিকে তার কাজের প্রমাণ দিতে হবে। এজন্য জরুরি হচ্ছে ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে কী করতে হবে-সেটা ইসিকে বসে ঠিক করতে হবে।

ভোটাররা নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে সেটা দেশ, সমাজ এবং মানুষের জন্য শুভ হবে না। যদি আমরা টেকসই গণতন্ত্র চাই তাহলে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ঠিক করতে হবে। আর কাজটি করতে হবে ইসিকেই। এর দায় অন্যের ঘাড়ে চাপালে চলবে না।

বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৫ পৌষ ১৪২৭, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

ভোটে ফিরেছে মানুষ

আস্থা ধরে রাখতে হবে ইসিকে

প্রথম ধাপে দেশের ২৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে গড়ে ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথম ধাপের পৌর নির্বাচনকে ‘সাকসেসফুল’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

দীর্ঘদিন পর ভোটের লাইনে ভোটারদের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে পৌর নির্বাচনে। কিছু জায়গায় অনিয়মের অভিযোগ মিলেছে, সংঘর্ষ ঘটেছে। তাতে অবশ্য ভোটারদের উৎসাহে ভাটা পড়েনি। লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে, ভোট দিয়েই বাড়ি ফিরেছেন সিংহভাগ ভোটার।

জাতীয় নির্বাচনের পর ভোটাররা ভোট দিতে উৎসাহী হচ্ছিলেন না। ভোটকেন্দ্রে তাদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য। সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত কোন কোন নির্বাচনে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। পৌর নির্বাচনে ৬৫ শতাংশ ভোটের খবরে বলা যায়- মানুষ আবার ভোটে ফিরেছে।

আমরা আশা করব, আগামী নির্বাচনগুলোতেও ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নির্বিঘ্নে ভোট দেবেন। মানুষ এতদিন কেন ভোটকেন্দ্রে যায়নি তা জানা জরুরি। নির্বাচনের গোটা ব্যবস্থায় কোথায় ঘাটতি ছিল সেটা নির্বাচন কমিশনকে খুঁজে দেখতে হবে।

ইসিকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। ভোটারদের উপস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার মাধ্যমে ইসিকে তার কাজের প্রমাণ দিতে হবে। এজন্য জরুরি হচ্ছে ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে কী করতে হবে-সেটা ইসিকে বসে ঠিক করতে হবে।

ভোটাররা নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে সেটা দেশ, সমাজ এবং মানুষের জন্য শুভ হবে না। যদি আমরা টেকসই গণতন্ত্র চাই তাহলে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ঠিক করতে হবে। আর কাজটি করতে হবে ইসিকেই। এর দায় অন্যের ঘাড়ে চাপালে চলবে না।