স্ত্রীকে হত্যার পর লবন মেখে কম্বলে জড়িয়ে লাশের চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে আসেন শিক্ষক স্বামী। বিষয়টি বুঝতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দিলে স্বামীকে আটক করে পুলিশ। গত মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। বন্দর থানা পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তির নাম আমিনুল ইসলাম। সে বন্দর থানাধীন রাজবাড়ী এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং বন্দর গালর্স স্কুলের শিক্ষক। তিনি তার স্ত্রী সুলতানা আক্তার শান্তার (২২) লাশ নিয়ে এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সুলতানা আক্তার সোনারগাঁ উপজেলার বারদী এলাকার মো. কলিমউল্লাহর মেয়ে। বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘দুপুর দেড়টার দিকে কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় এক নারীর মৃতদেহ নিয়ে আসেন এক যুবক। জানতে চাইলে ওই যুবক মৃতদেহটি তার স্ত্রীর আবার অপরিচিত রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া লাশ বলে পরিচয় দেয়। তার অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে এক পর্যায়ে পুলিশে খবর দিলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে হাসপাতালের লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।’ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ওই নারীর মৃত্যু অন্তত দুই-তিনদিন পূর্বে হয়েছে বলে ধারণা করছি। মৃতের শরীরে লবণ মাখানো ছিল এবং মাথায় কাটা দাগ ছিল।’
বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৬ পৌষ ১৪২৭, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
স্ত্রীকে হত্যার পর লবন মেখে কম্বলে জড়িয়ে লাশের চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে আসেন শিক্ষক স্বামী। বিষয়টি বুঝতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দিলে স্বামীকে আটক করে পুলিশ। গত মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। বন্দর থানা পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তির নাম আমিনুল ইসলাম। সে বন্দর থানাধীন রাজবাড়ী এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং বন্দর গালর্স স্কুলের শিক্ষক। তিনি তার স্ত্রী সুলতানা আক্তার শান্তার (২২) লাশ নিয়ে এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সুলতানা আক্তার সোনারগাঁ উপজেলার বারদী এলাকার মো. কলিমউল্লাহর মেয়ে। বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘দুপুর দেড়টার দিকে কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় এক নারীর মৃতদেহ নিয়ে আসেন এক যুবক। জানতে চাইলে ওই যুবক মৃতদেহটি তার স্ত্রীর আবার অপরিচিত রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া লাশ বলে পরিচয় দেয়। তার অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে এক পর্যায়ে পুলিশে খবর দিলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে হাসপাতালের লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।’ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ওই নারীর মৃত্যু অন্তত দুই-তিনদিন পূর্বে হয়েছে বলে ধারণা করছি। মৃতের শরীরে লবণ মাখানো ছিল এবং মাথায় কাটা দাগ ছিল।’