বাংলা আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষের আজ ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৬ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শেফালী ঘোষ ১৯৪১ সালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কানুনগোপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। শুধু চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানই নয়, বাংলা, ইংরেজি, মাইজভা-ারী, ভজন, কীর্তন, দেশের গানেও তিনি পারদর্শী ছিলেন।
১৯৭০ সালে টিভিতে প্রথম গান পরিবেশন করেন। বসুন্ধরা, মধুমিতা, সাম্পানওয়ালা, মালকাবানু, মাটির মানুষ, স্বামী, মনের মানুষসহ প্রায় ২১টি চলচ্চিত্রের প্লেব্যাকে কণ্ঠ দিয়েছেন। প্রায় দুই হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নিয়মিত শিল্পী হিসেবে গান গেয়ে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সাহায্য সংগ্রহ করেন এই কিংবদন্তি।
১৯৬৩ সালে তৎকালীন চট্টগ্রাম বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক শেফালী ঘোষ ও শ্যামসুন্দর বৈষ্ণবকে দ্বৈতসঙ্গীত করতে অনুরোধ করেন। সেই থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি এ জুটিকে। তাদের দুজনের জুটি আজও চট্টগ্রাম ও আঞ্চলিক সঙ্গীতের অঙ্গনে সমানভাবে জনপ্রিয়। টানা ৩৭ বছর পর শ্যাম সুন্দর বৈষ্ণবের মৃত্যুর পর এ জুটির অবসান ঘটে। শুধু চট্টগ্রাম বা বাংলাদেশেই তার পরিচিতি সীমাবদ্ধ ছিলও না। বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশে তুলে ধরেছেন চট্টগ্রামকে।
তার গাওয়া বিখ্যাত গানের মধ্যে রয়েছে এমএন আখতার মুকুল রচিত এবং সুরারোপিত ‘যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম’, মোহনলাল দাশ রচিত এবং সুরারোপিত ‘ও রে সাম্পানওয়ালা’, ‘ছোট ছোট ঢেউ তুলি’ ‘আঁরা বেগ্গুন চাঁটাগাইয়া’ প্রভৃতি। পরিবারের অনুপ্রেরণায় ওস্তাদ তেজেন সেনের হাতেই হয় শেফালী ঘোষের সজ্ঞীত জীবনের হাতেখড়ি।
বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৬ পৌষ ১৪২৭, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
বিনোদন প্রতিবেদক |
বাংলা আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষের আজ ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৬ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শেফালী ঘোষ ১৯৪১ সালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কানুনগোপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। শুধু চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানই নয়, বাংলা, ইংরেজি, মাইজভা-ারী, ভজন, কীর্তন, দেশের গানেও তিনি পারদর্শী ছিলেন।
১৯৭০ সালে টিভিতে প্রথম গান পরিবেশন করেন। বসুন্ধরা, মধুমিতা, সাম্পানওয়ালা, মালকাবানু, মাটির মানুষ, স্বামী, মনের মানুষসহ প্রায় ২১টি চলচ্চিত্রের প্লেব্যাকে কণ্ঠ দিয়েছেন। প্রায় দুই হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নিয়মিত শিল্পী হিসেবে গান গেয়ে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সাহায্য সংগ্রহ করেন এই কিংবদন্তি।
১৯৬৩ সালে তৎকালীন চট্টগ্রাম বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক শেফালী ঘোষ ও শ্যামসুন্দর বৈষ্ণবকে দ্বৈতসঙ্গীত করতে অনুরোধ করেন। সেই থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি এ জুটিকে। তাদের দুজনের জুটি আজও চট্টগ্রাম ও আঞ্চলিক সঙ্গীতের অঙ্গনে সমানভাবে জনপ্রিয়। টানা ৩৭ বছর পর শ্যাম সুন্দর বৈষ্ণবের মৃত্যুর পর এ জুটির অবসান ঘটে। শুধু চট্টগ্রাম বা বাংলাদেশেই তার পরিচিতি সীমাবদ্ধ ছিলও না। বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশে তুলে ধরেছেন চট্টগ্রামকে।
তার গাওয়া বিখ্যাত গানের মধ্যে রয়েছে এমএন আখতার মুকুল রচিত এবং সুরারোপিত ‘যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম’, মোহনলাল দাশ রচিত এবং সুরারোপিত ‘ও রে সাম্পানওয়ালা’, ‘ছোট ছোট ঢেউ তুলি’ ‘আঁরা বেগ্গুন চাঁটাগাইয়া’ প্রভৃতি। পরিবারের অনুপ্রেরণায় ওস্তাদ তেজেন সেনের হাতেই হয় শেফালী ঘোষের সজ্ঞীত জীবনের হাতেখড়ি।