আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ভোট ডাকাতিতে বিএনপির রেকর্ড কেউ ভাঙ্গতে পারবে না। গতকাল গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভাচুর্য়ালি যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচিসহ মহানগরের অন্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
ইভিএমে দশ ভোটের আটটি নৌকায় চলে যায়- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা অবান্তর কথা। পাল্টা প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাহলে কি নৌকার ভোট ধানের শীষে যাওয়ায় তাদের দু’জন পৌর মেয়র জয়ী হয়েছেন?’ শুধু বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা না করে বিএনপিকে জনরায় মেনে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপির যেকোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে আন্দোলনের নামে কোন নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে জনগণের সম্পদ রক্ষায় সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিবে।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশে গণতন্ত্র উন্নয়নের ইতিহাসে একটি বিজয়ের মাইলফলক দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের পবিত্র ইচ্ছার প্রতিফলন সংবিধান রক্ষার মধ্যদিয়ে এ নির্বাচনের অশুভ শক্তি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের আস্ফালন আর সহিংস রাজনীতির কালোছায়া কাটিয়ে গণতন্ত্রের নবতর অগ্রযাত্রা অগ্রসর হয়।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল আজ গণতন্ত্রের কথা বলে, নির্বাচনের কথা বলে। বিএনপি একদিকে যেমন এদেশে হত্যা ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল আবার তারাই এদেশে প্রথম সাংবিধানিক শাসন রহিত করে সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিএনপির মুখে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের সুবচন মানায় না।’
বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৬ পৌষ ১৪২৭, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ভোট ডাকাতিতে বিএনপির রেকর্ড কেউ ভাঙ্গতে পারবে না। গতকাল গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভাচুর্য়ালি যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচিসহ মহানগরের অন্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
ইভিএমে দশ ভোটের আটটি নৌকায় চলে যায়- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা অবান্তর কথা। পাল্টা প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাহলে কি নৌকার ভোট ধানের শীষে যাওয়ায় তাদের দু’জন পৌর মেয়র জয়ী হয়েছেন?’ শুধু বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা না করে বিএনপিকে জনরায় মেনে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপির যেকোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে আন্দোলনের নামে কোন নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে জনগণের সম্পদ রক্ষায় সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিবে।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশে গণতন্ত্র উন্নয়নের ইতিহাসে একটি বিজয়ের মাইলফলক দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের পবিত্র ইচ্ছার প্রতিফলন সংবিধান রক্ষার মধ্যদিয়ে এ নির্বাচনের অশুভ শক্তি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের আস্ফালন আর সহিংস রাজনীতির কালোছায়া কাটিয়ে গণতন্ত্রের নবতর অগ্রযাত্রা অগ্রসর হয়।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল আজ গণতন্ত্রের কথা বলে, নির্বাচনের কথা বলে। বিএনপি একদিকে যেমন এদেশে হত্যা ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল আবার তারাই এদেশে প্রথম সাংবিধানিক শাসন রহিত করে সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিএনপির মুখে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের সুবচন মানায় না।’