বাম জোটের বিক্ষোভে পুলিশের বাধা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর উপলক্ষে কালো পতাকা বিক্ষোভ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। গতকাল পুরানা পল্টন মোড় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাওয়ার সময় জোটের বিক্ষোভ মিছিলটি মৎস্য ভবন এলাকায় পুলিশের বাধাপ্রাপ্ত হয়। পরে শাহবাগে গিয়ে আবারও বাধা পেয়ে সেখানে সমাবেশ করেন জোটের নেতারা। সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, আমরা বলতে চাই, যেই সরকার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত, সেই সরকার জনগণের উন্নয়ন করতে পারে না। এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা মধ্যবর্তী সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণকে তার নিজের সরকার পছন্দ করার সুযোগ দিতে হবে।

মিছিলে পুলিশের বাধার নিন্দা জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকার ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের কথা বলে যেভাবে ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে এবং তাদের দলীয় নেতা গুন্ডাকর্মীদের কাজে লাগিয়ে, যেভাবে প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্র দখল করেছিল এবং যে পরিমাণ ভোট আছে তার চেয়েও বেশি পরিমাণে ব্যালটে সিল মেরে তারাই বাক্স ভর্তি করেছিল। তার মধ্যদিয়ে দেশের ১৮ কোটি নাগরিককে অপমান করা হয়েছে। এই স্বাধীনতার ৫০ বছরের প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে আমরা বলছি, বাংলাদেশের জনগণকে এইভাবে অপমান আর কেউ কোনদিন করতে পারেনি।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজক নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। যদি ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করে, তবে রাষ্ট্রপতির কাছে আহ্বান জানবো, তিনি যেন সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই ভোট ডাকাতের অংশীদার নির্বাচন কমিশনকে বরখাস্ত করেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ভোট ডাকাতি আখ্যা দিয়ে কালো দিবস পালনের ডাক দিয়েছিল বাম গণতান্ত্রিক জোট। তারই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে তারা এই কালো পতাকা মিছিল করে।

image

গতকাল রাজধানীতে বিভিন্ন দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পতাকা মিছিল -সংবাদ

আরও খবর
প্রধানমন্ত্রী বই বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন আজ
২০২১ সালের প্রথম সংসদ অধিবেশন ১৮ জানুয়ারি
পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দিলে সীমান্তের ওপারে চলে যায়
জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাচন আজ
পুলিশের উদ্যোগে চেতনায় স্বাধীনতা ভাস্কর্য উদ্বোধন
ফাইজারের টিকা নিয়েও মার্কিন নার্স করোনায় আক্রান্ত!
নারী ও শিশু নির্যাতন, হত্যা-চুরির ঘটনায় ২০ হাজার মামলা
সড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে প্রাণ গেল ৪ জনের
না’গঞ্জে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে মেয়র আইভি
গণমাধ্যম রাষ্টের চতুর্থ স্তম্ভ : তথ্যমন্ত্রী
ভোট ডাকাতিতে বিএনপির রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেনি : কাদের
১৬ শিক্ষকসহ ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৬ পৌষ ১৪২৭, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

বাম জোটের বিক্ষোভে পুলিশের বাধা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

গতকাল রাজধানীতে বিভিন্ন দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পতাকা মিছিল -সংবাদ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর উপলক্ষে কালো পতাকা বিক্ষোভ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। গতকাল পুরানা পল্টন মোড় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাওয়ার সময় জোটের বিক্ষোভ মিছিলটি মৎস্য ভবন এলাকায় পুলিশের বাধাপ্রাপ্ত হয়। পরে শাহবাগে গিয়ে আবারও বাধা পেয়ে সেখানে সমাবেশ করেন জোটের নেতারা। সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, আমরা বলতে চাই, যেই সরকার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত, সেই সরকার জনগণের উন্নয়ন করতে পারে না। এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা মধ্যবর্তী সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণকে তার নিজের সরকার পছন্দ করার সুযোগ দিতে হবে।

মিছিলে পুলিশের বাধার নিন্দা জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকার ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের কথা বলে যেভাবে ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে এবং তাদের দলীয় নেতা গুন্ডাকর্মীদের কাজে লাগিয়ে, যেভাবে প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্র দখল করেছিল এবং যে পরিমাণ ভোট আছে তার চেয়েও বেশি পরিমাণে ব্যালটে সিল মেরে তারাই বাক্স ভর্তি করেছিল। তার মধ্যদিয়ে দেশের ১৮ কোটি নাগরিককে অপমান করা হয়েছে। এই স্বাধীনতার ৫০ বছরের প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে আমরা বলছি, বাংলাদেশের জনগণকে এইভাবে অপমান আর কেউ কোনদিন করতে পারেনি।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজক নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। যদি ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করে, তবে রাষ্ট্রপতির কাছে আহ্বান জানবো, তিনি যেন সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই ভোট ডাকাতের অংশীদার নির্বাচন কমিশনকে বরখাস্ত করেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ভোট ডাকাতি আখ্যা দিয়ে কালো দিবস পালনের ডাক দিয়েছিল বাম গণতান্ত্রিক জোট। তারই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে তারা এই কালো পতাকা মিছিল করে।