সংস্কৃতির রাজধানী

কুমিল্লায় শচীন দেব বর্মণের ম্যুরাল উদ্বোধন

‘সংস্কৃতিতে গৌরবের রাজধানী কুমিল্লা। কুমিল্লা যাকে নিয়ে গৌরব করতে পারে এবং যাদের নিয়ে গৌরবগাথা রচিত হয় তাদের অন্যতম শচীন দেব বর্মণ। কুমিল্লার একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আছে। ভারতের মোম্বাইয়ে যখন শচীন দেব বর্মণ নিয়ে আলোচনা করে, তার সঙ্গে একটি নাম উচ্চারণ করে কুমিল্লা। এটি কুমিল্লার গৌরবের স্থান। যার কারণে আজকে কুমিল্লাকে সারাবিশ্ব চিনে। তার জন্য তো আমাদের কিছু করতেই হবে। এই দায়বদ্ধতা আমাদের থাকতে হবে। আর সেই দায়বদ্ধতা থেকেই এ ম্যুরালটি নির্মাণ করা হয়েছে।’ কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর চর্থা এলাকায় পৈত্রিক নিবাসে শচীনদেব বর্মণের ম্যুরালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শচীন দেব বর্মণের বাড়িটির ঐতিহ্য রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপাশি এলাকাবাসীকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান নাগরিক সমাজের নেতারা। স্থানীয় সরকার বিভাগ-কুমিল্লার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শওকত ওসমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক আমির আলী চৌধুরী, অধ্যাপক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, কুমিল্লা অজিতগুহ কলেজের অধ্যক্ষ হাসান ইমাম মজুমদার ফটিক ও নারীনেত্রী পাপড়ী বসু প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রে মো. আরিফুল ইসলাম সরদার, আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিনসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এর আগে ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, ‘শচীন দেব বর্মণ তাঁর সঙ্গীত দিয়ে উপমহাদেশকে আলোকিত করেছেন এবং বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছেন। তাঁর স্মৃতিরক্ষায় এ ম্যুরালটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ বাড়িটিতে সার্বক্ষনিক পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁর এ স্মৃতিকে অক্ষুন্ন রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি এলাকাবাসীকেও এগিয়ে আসতে হবে।’

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে একটি জাতি গর্ব করতে পারে। আগামী প্রজন্মকেও ইতিহাস জানতে হবে এবং তা হৃদয়ে লালন করতে হবে। শচীন দেব বর্মণের এ বাড়িটি জেলা প্রশাসনের সম্পদ নয়, কুমিল্লাবাসীর সম্পদ।

শনিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২১ , ১৮ পৌষ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

সংস্কৃতির রাজধানী

কুমিল্লায় শচীন দেব বর্মণের ম্যুরাল উদ্বোধন

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুমিল্লা

image

‘সংস্কৃতিতে গৌরবের রাজধানী কুমিল্লা। কুমিল্লা যাকে নিয়ে গৌরব করতে পারে এবং যাদের নিয়ে গৌরবগাথা রচিত হয় তাদের অন্যতম শচীন দেব বর্মণ। কুমিল্লার একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আছে। ভারতের মোম্বাইয়ে যখন শচীন দেব বর্মণ নিয়ে আলোচনা করে, তার সঙ্গে একটি নাম উচ্চারণ করে কুমিল্লা। এটি কুমিল্লার গৌরবের স্থান। যার কারণে আজকে কুমিল্লাকে সারাবিশ্ব চিনে। তার জন্য তো আমাদের কিছু করতেই হবে। এই দায়বদ্ধতা আমাদের থাকতে হবে। আর সেই দায়বদ্ধতা থেকেই এ ম্যুরালটি নির্মাণ করা হয়েছে।’ কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর চর্থা এলাকায় পৈত্রিক নিবাসে শচীনদেব বর্মণের ম্যুরালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শচীন দেব বর্মণের বাড়িটির ঐতিহ্য রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপাশি এলাকাবাসীকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান নাগরিক সমাজের নেতারা। স্থানীয় সরকার বিভাগ-কুমিল্লার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শওকত ওসমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক আমির আলী চৌধুরী, অধ্যাপক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, কুমিল্লা অজিতগুহ কলেজের অধ্যক্ষ হাসান ইমাম মজুমদার ফটিক ও নারীনেত্রী পাপড়ী বসু প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রে মো. আরিফুল ইসলাম সরদার, আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিনসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এর আগে ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, ‘শচীন দেব বর্মণ তাঁর সঙ্গীত দিয়ে উপমহাদেশকে আলোকিত করেছেন এবং বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছেন। তাঁর স্মৃতিরক্ষায় এ ম্যুরালটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ বাড়িটিতে সার্বক্ষনিক পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁর এ স্মৃতিকে অক্ষুন্ন রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি এলাকাবাসীকেও এগিয়ে আসতে হবে।’

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে একটি জাতি গর্ব করতে পারে। আগামী প্রজন্মকেও ইতিহাস জানতে হবে এবং তা হৃদয়ে লালন করতে হবে। শচীন দেব বর্মণের এ বাড়িটি জেলা প্রশাসনের সম্পদ নয়, কুমিল্লাবাসীর সম্পদ।