দেশে করোনায়

একদিনে ১৭ মৃত্যু নতুন শনাক্ত হাজারের নিচে

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে মারা গেলেন সাত হাজার ৫৭৬ জন। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৯৯০ জন, এখন পর্যন্ত শনাক্ত পাঁচ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৯৭ জন, এখন এ পর্যন্ত সুস্থ চার লাখ ৫৮ হাজার ৬৫৬ জন। গতকাল করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য জানায়। সবশেষ গত ১৪ নভেম্বর এর চেয়ে কম মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেদিন ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরমধ্যে ২০ নভেম্বর ও ২২ ডিসেম্বরও ১৭ জন করে মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল।

গত বছর ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এর প্রায় তিন মাস পর গত ৮ মার্চ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) তিন জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানায়। এর ১০ দিন পর প্রতিষ্ঠানটি করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগীর মৃত্যুর খবর দেয়। গত ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার আট দশমিক ১৮ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দেশে বর্তমানে ১১৪টি আরটি-পিসিআর, ২৬টি জিন-এক্সপার্ট ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষাগারসহ মোট ১৮০টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৭৪টি। অ্যান্টিজেনসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ১০৩টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ৭০১টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ২৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪৭টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬৫৪টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ জন, আর নারী সাত জন। এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৭৬৪ জন এবং নারী মারা গেছেন এক হাজার ৮১২ জন। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৭৬ দশমিক শূন্য আট শতাংশ এবং নারী ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে চার জন এবং ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আছেন একজন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন একজন। বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে অধিদফতর জানিয়েছে, মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ১২ জন, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের দুই জন করে এবং রংপুর বিভাগের রয়েছেন একজন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৯৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ৮৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৯২ জন, রংপুর বিভাগের ৬০ জন, খুলনা বিভাগের ১৮ জন, বরিশাল বিভাগের ২৬ জন, রাজশাহী বিভাগের ২৭ জন, সিলেট বিভাগের ২৩ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ১১ জন। অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫৯৪ জন, ছাড় পেয়েছেন ৬৬২ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ছয় লাখ চার হাজার ৬২৯ জন, ছাড় পেয়েছেন পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার ৮৪৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৮ হাজার ৭৮৫ জন।

শনিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২১ , ১৮ পৌষ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

দেশে করোনায়

একদিনে ১৭ মৃত্যু নতুন শনাক্ত হাজারের নিচে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে মারা গেলেন সাত হাজার ৫৭৬ জন। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৯৯০ জন, এখন পর্যন্ত শনাক্ত পাঁচ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৯৭ জন, এখন এ পর্যন্ত সুস্থ চার লাখ ৫৮ হাজার ৬৫৬ জন। গতকাল করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য জানায়। সবশেষ গত ১৪ নভেম্বর এর চেয়ে কম মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেদিন ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরমধ্যে ২০ নভেম্বর ও ২২ ডিসেম্বরও ১৭ জন করে মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল।

গত বছর ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এর প্রায় তিন মাস পর গত ৮ মার্চ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) তিন জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানায়। এর ১০ দিন পর প্রতিষ্ঠানটি করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগীর মৃত্যুর খবর দেয়। গত ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার আট দশমিক ১৮ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দেশে বর্তমানে ১১৪টি আরটি-পিসিআর, ২৬টি জিন-এক্সপার্ট ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষাগারসহ মোট ১৮০টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৭৪টি। অ্যান্টিজেনসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ১০৩টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ৭০১টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ২৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪৭টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬৫৪টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ জন, আর নারী সাত জন। এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৭৬৪ জন এবং নারী মারা গেছেন এক হাজার ৮১২ জন। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৭৬ দশমিক শূন্য আট শতাংশ এবং নারী ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে চার জন এবং ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আছেন একজন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন একজন। বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে অধিদফতর জানিয়েছে, মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ১২ জন, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের দুই জন করে এবং রংপুর বিভাগের রয়েছেন একজন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৯৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ৮৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৯২ জন, রংপুর বিভাগের ৬০ জন, খুলনা বিভাগের ১৮ জন, বরিশাল বিভাগের ২৬ জন, রাজশাহী বিভাগের ২৭ জন, সিলেট বিভাগের ২৩ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ১১ জন। অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫৯৪ জন, ছাড় পেয়েছেন ৬৬২ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ছয় লাখ চার হাজার ৬২৯ জন, ছাড় পেয়েছেন পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার ৮৪৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৮ হাজার ৭৮৫ জন।