নতুন বছরের প্রথমদিন

চার জেলায় সড়কে ঝরল ৮ প্রাণ

পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চার জেলায় ৮জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নরসিংদীর বেলাবোয় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে ৪, কক্সবাজারের চকোরিয়া বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ২ এবং সিলেট ও নোয়াখালীতে আরও ২৩ জন প্রাণ হারায়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

নরসিংদী

নরসিংদীর বেলাবো উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

গতকাল বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদী ও ভৈরবের সীমান্তবর্তী এলাকা দরিয়াকান্দি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম জানা গেছে। তিনি হলেন গাজীপুরের নওয়াব আলী।

বেলাবো থানার ওসি সাফায়েত হোসেন পলাশ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল বিকেলে ভৈরব থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে বাসটি মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই ৪ জন মারা যান। আহত হন আরও একজন। আহতকে উদ্ধার করে ভৈরব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সিলেট

সিলেটে ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পর্যটক নিহত হয়েছেন। গতকাল সকাল ৮টার দিকে শাহপরাণ থানার দরবস্ত বাজারে এ দুর্ঘঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, সিলেটের জাফলংয়ে ঘুরার জন্য ঢাকা থেকে মোস্তফাসহ সহপাঠীরা গত বুধবার রাতে রওনা হন। তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি শাহপরাণ থানা এলাকার দরবস্ত বাজারে আসা মাত্রই সিলেটগামী বালুভর্তি ডাম্প ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ড- ১৪-৬৬৫১) চলন্ত অবস্থায় বিপরীত দিকে চলে যাওয়ায় মাইক্রোবাস ( ঢাকা মেট্রো চ-১৫- ৫৪১৫) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুরুতর আহত হন মাইক্রোবাস যাত্রী গোলাম মোস্তফা। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মোস্তফা ঢাকার চানখারপুল এলাকার মৃত আজিজ বেপারীর ছেলে। এ সময় মাইক্রোবাসের চালকসহ আরও ৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ট্রাক ও মাইক্রোবাসকে জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। তবে ট্রাকের কাউকে আটক করা যায়নি।

নোয়াখালী

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে মোটরসাইকেল চাপায় ফাতেমা বেগম (৬০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল চালক আমান উল্যা।

গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইউনিয়নের চর মহিউদ্দিন গ্রামের ৩নং দীঘি এলাকার ব্যারাকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফাতেমা বেগম ওই এলাকার গোলাম রাব্বানীর স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে নিজের বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে যাচ্ছিলেন ফাতেমা বেগম। পথে ব্যারাকের সামনে পৌঁছলে একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল তাকে পিছন থেকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে দ্রুত উদ্ধার করে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতেমা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।

চরজব্বার থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কক্সবাজার

কক্সবাজারের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী সৌদিয়া চেয়ারকোচ ও মাটিভর্তি ড্রাম্পার ট্রাকের (পিকআপ) মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ডাম্পার চালক ও হাসপাতালে নেয়ার পর একই গাড়ির হেলপার নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত আট যাত্রী। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্য আহতদের চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গতকাল সকাল সাড়ে আটটার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী মাদ্রাসা গেইট এলাকায় ঘটে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা।

নিহতরা হলেন, পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার শফিউল আব্বাসের ছেলে ডাম্পার চালক মোহাম্মদ মানিক (২৬) ও গাড়িটির হেলপার একই উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের মুরারপাড়ার শাহাব উদ্দিনের ছেলে তারেকুল ইসলাম (২২)।

আহতরা হলেন, পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ মেহেরনামা বলিরপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের আবু বক্করের ছেলে মমতাজ আহমদ (২৮), সৌদিয়া বাসযাত্রী বান্দরবানের লামা উপজেলার জয়ন্তু বড়ুয়ার কন্যা নিশীথা বড়ুয়া (১৮), স্বপন বড়ুয়ার ছেলে অতুল বড়ুয়া (২২), মৃত দুদু মিয়ার স্ত্রী সফুরা খাতুন (৭০) ও অংহা মংর ছেলে হাচিং মং (২৪)। তাদের মধ্যে মমতাজ আহমদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বান্দরবানের লামা থেকে চট্টগ্রামমুখি সৌদিয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্টো-ব-১৪-২০৭৫) ও কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে মাটিভর্তি ডাম্পার (চট্রো মেট্টো-অ-১১৬) গাড়ি মহাসড়কের চকরিয়ার বরইতলী মাদ্রাসা গেইট এলাকায় পৌঁছলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি গাড়িই দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং বাসটি মহাসড়ক থেকে খাদে ছিটকে পড়ে।

চকরিয়া উপজেলার মহাসড়কের চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো.আনিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম হতাহতদের উদ্ধার করেন। আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর পর পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত দু’জনের মরদেহ পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

শনিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২১ , ১৮ পৌষ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

নতুন বছরের প্রথমদিন

চার জেলায় সড়কে ঝরল ৮ প্রাণ

সংবাদ ডেস্ক |

image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত বাস -সংবাদ

পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চার জেলায় ৮জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নরসিংদীর বেলাবোয় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে ৪, কক্সবাজারের চকোরিয়া বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ২ এবং সিলেট ও নোয়াখালীতে আরও ২৩ জন প্রাণ হারায়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

নরসিংদী

নরসিংদীর বেলাবো উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

গতকাল বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদী ও ভৈরবের সীমান্তবর্তী এলাকা দরিয়াকান্দি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম জানা গেছে। তিনি হলেন গাজীপুরের নওয়াব আলী।

বেলাবো থানার ওসি সাফায়েত হোসেন পলাশ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল বিকেলে ভৈরব থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে বাসটি মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই ৪ জন মারা যান। আহত হন আরও একজন। আহতকে উদ্ধার করে ভৈরব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সিলেট

সিলেটে ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পর্যটক নিহত হয়েছেন। গতকাল সকাল ৮টার দিকে শাহপরাণ থানার দরবস্ত বাজারে এ দুর্ঘঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, সিলেটের জাফলংয়ে ঘুরার জন্য ঢাকা থেকে মোস্তফাসহ সহপাঠীরা গত বুধবার রাতে রওনা হন। তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি শাহপরাণ থানা এলাকার দরবস্ত বাজারে আসা মাত্রই সিলেটগামী বালুভর্তি ডাম্প ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ড- ১৪-৬৬৫১) চলন্ত অবস্থায় বিপরীত দিকে চলে যাওয়ায় মাইক্রোবাস ( ঢাকা মেট্রো চ-১৫- ৫৪১৫) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুরুতর আহত হন মাইক্রোবাস যাত্রী গোলাম মোস্তফা। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মোস্তফা ঢাকার চানখারপুল এলাকার মৃত আজিজ বেপারীর ছেলে। এ সময় মাইক্রোবাসের চালকসহ আরও ৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ট্রাক ও মাইক্রোবাসকে জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। তবে ট্রাকের কাউকে আটক করা যায়নি।

নোয়াখালী

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে মোটরসাইকেল চাপায় ফাতেমা বেগম (৬০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল চালক আমান উল্যা।

গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইউনিয়নের চর মহিউদ্দিন গ্রামের ৩নং দীঘি এলাকার ব্যারাকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফাতেমা বেগম ওই এলাকার গোলাম রাব্বানীর স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে নিজের বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে যাচ্ছিলেন ফাতেমা বেগম। পথে ব্যারাকের সামনে পৌঁছলে একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল তাকে পিছন থেকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে দ্রুত উদ্ধার করে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতেমা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।

চরজব্বার থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কক্সবাজার

কক্সবাজারের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী সৌদিয়া চেয়ারকোচ ও মাটিভর্তি ড্রাম্পার ট্রাকের (পিকআপ) মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ডাম্পার চালক ও হাসপাতালে নেয়ার পর একই গাড়ির হেলপার নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত আট যাত্রী। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্য আহতদের চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গতকাল সকাল সাড়ে আটটার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী মাদ্রাসা গেইট এলাকায় ঘটে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা।

নিহতরা হলেন, পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার শফিউল আব্বাসের ছেলে ডাম্পার চালক মোহাম্মদ মানিক (২৬) ও গাড়িটির হেলপার একই উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের মুরারপাড়ার শাহাব উদ্দিনের ছেলে তারেকুল ইসলাম (২২)।

আহতরা হলেন, পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ মেহেরনামা বলিরপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের আবু বক্করের ছেলে মমতাজ আহমদ (২৮), সৌদিয়া বাসযাত্রী বান্দরবানের লামা উপজেলার জয়ন্তু বড়ুয়ার কন্যা নিশীথা বড়ুয়া (১৮), স্বপন বড়ুয়ার ছেলে অতুল বড়ুয়া (২২), মৃত দুদু মিয়ার স্ত্রী সফুরা খাতুন (৭০) ও অংহা মংর ছেলে হাচিং মং (২৪)। তাদের মধ্যে মমতাজ আহমদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বান্দরবানের লামা থেকে চট্টগ্রামমুখি সৌদিয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্টো-ব-১৪-২০৭৫) ও কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে মাটিভর্তি ডাম্পার (চট্রো মেট্টো-অ-১১৬) গাড়ি মহাসড়কের চকরিয়ার বরইতলী মাদ্রাসা গেইট এলাকায় পৌঁছলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি গাড়িই দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং বাসটি মহাসড়ক থেকে খাদে ছিটকে পড়ে।

চকরিয়া উপজেলার মহাসড়কের চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো.আনিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম হতাহতদের উদ্ধার করেন। আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর পর পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত দু’জনের মরদেহ পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।