বাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজিতে নতুন বছরকে বরণ

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশ নিষিদ্ধ হওয়ায় ছাদে ছাদে সমবেত হয়ে আতশবাজিতে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে রাজধানীবাসী। ২০২১ সালের প্রথম প্রহর বরণে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার বহিঃপ্রকাশের মধ্যেই নতুন বছরে মহামারী মুক্তির প্রার্থনাও বড় হয়ে উঠেছে। ফেসবুক পোস্টে মহামারী থেকে মুক্তি পাওয়ার আশাবাদই সবাই জানিয়েছেন। ঘড়ির কাঁটা বৃহস্পতিবার রাত ১২টার কাছাকাছি আসতেই শুরু হয় পটকা ফাটানোর শব্দ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ তা বাড়তে থাকে। অপেক্ষার প্রহর শেষে রাত ১২টা বাজতেই ফানুস-আতশবাজির আলোয় বর্ণিল হয়ে উঠে ঢাকার আকাশ। প্রায় প্রতিটি ভবনের ছাদ থেকেই আতশবাজি ফোটাতে দেখা যায়। অনেক ভবনের ছাদে ছিল আলোকসজ্জাও। প্রতি বছর থার্টিফার্স্ট রাতে টিএসসিতে সমবেত হন তরুণরা, নেচে-গেয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান তারা। তবে এবার মহামারীতে বাইরে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করায় ওই এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা কড়াকড়ি করে পুলিশ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় টিএসসিতে বরাবরের মতো সেই উৎসব না হলেও শহীদ মিনার এলাকায় সমবেত হয়েছিলেন বেশি কিছু তরুণ।

বর্ষবরণের আতশবাজির তীব্রতা ঘণ্টাখানেক পরে কমে এলেও রাত ২টার সময়ও বিভিন্ন জায়গা থেকে থেমে থেমে পটকা ফাটানোর শব্দ পাওয়া যায়। নতুন বছর উদযাপন নির্বিঘœ করতে ঢাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা কড়াকড়ি করে পুলিশ। বিভিন্ন সড়কের প্রবেশপথে পুলিশ-র‌্যাবের তল্লাশি চৌকির সঙ্গে টহল দিতে দেখা যায়। নগরজুড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, কূটনৈতিক এলাকা গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকা ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়।

পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, বর্ষবরণের রাতে তার এলাকার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আসেনি। রাজধানীবাসী শান্তিপূর্ণভাবেই নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনি। সন্ধ্যার পর থেকে বহিরাগতদের গুলশান ও বনানী এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বলে জানান তিনি। ওই দুই এলাকার বাসিন্দাদের আমতলী ও কাকলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয়পত্র দেখে ঢুকতে দেয়া হয়।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে যে ধরনের বিধি-নিষেধ দেয়া হয়েছে, তা ঠিকভাবে পালিত হয়েছে। কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বর্ষবরণের রাতে সব ধরনের পটকা ফাটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পুলিশ কর্মকর্তাদের কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।

শনিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২১ , ১৮ পৌষ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

রাজধানীতে

বাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজিতে নতুন বছরকে বরণ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশ নিষিদ্ধ হওয়ায় ছাদে ছাদে সমবেত হয়ে আতশবাজিতে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে রাজধানীবাসী। ২০২১ সালের প্রথম প্রহর বরণে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার বহিঃপ্রকাশের মধ্যেই নতুন বছরে মহামারী মুক্তির প্রার্থনাও বড় হয়ে উঠেছে। ফেসবুক পোস্টে মহামারী থেকে মুক্তি পাওয়ার আশাবাদই সবাই জানিয়েছেন। ঘড়ির কাঁটা বৃহস্পতিবার রাত ১২টার কাছাকাছি আসতেই শুরু হয় পটকা ফাটানোর শব্দ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ তা বাড়তে থাকে। অপেক্ষার প্রহর শেষে রাত ১২টা বাজতেই ফানুস-আতশবাজির আলোয় বর্ণিল হয়ে উঠে ঢাকার আকাশ। প্রায় প্রতিটি ভবনের ছাদ থেকেই আতশবাজি ফোটাতে দেখা যায়। অনেক ভবনের ছাদে ছিল আলোকসজ্জাও। প্রতি বছর থার্টিফার্স্ট রাতে টিএসসিতে সমবেত হন তরুণরা, নেচে-গেয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান তারা। তবে এবার মহামারীতে বাইরে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করায় ওই এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা কড়াকড়ি করে পুলিশ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় টিএসসিতে বরাবরের মতো সেই উৎসব না হলেও শহীদ মিনার এলাকায় সমবেত হয়েছিলেন বেশি কিছু তরুণ।

বর্ষবরণের আতশবাজির তীব্রতা ঘণ্টাখানেক পরে কমে এলেও রাত ২টার সময়ও বিভিন্ন জায়গা থেকে থেমে থেমে পটকা ফাটানোর শব্দ পাওয়া যায়। নতুন বছর উদযাপন নির্বিঘœ করতে ঢাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা কড়াকড়ি করে পুলিশ। বিভিন্ন সড়কের প্রবেশপথে পুলিশ-র‌্যাবের তল্লাশি চৌকির সঙ্গে টহল দিতে দেখা যায়। নগরজুড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, কূটনৈতিক এলাকা গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকা ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়।

পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, বর্ষবরণের রাতে তার এলাকার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আসেনি। রাজধানীবাসী শান্তিপূর্ণভাবেই নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনি। সন্ধ্যার পর থেকে বহিরাগতদের গুলশান ও বনানী এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বলে জানান তিনি। ওই দুই এলাকার বাসিন্দাদের আমতলী ও কাকলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয়পত্র দেখে ঢুকতে দেয়া হয়।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে যে ধরনের বিধি-নিষেধ দেয়া হয়েছে, তা ঠিকভাবে পালিত হয়েছে। কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বর্ষবরণের রাতে সব ধরনের পটকা ফাটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পুলিশ কর্মকর্তাদের কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।