বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ফাইজারের ভ্যাকসিনকে তালিকাভুক্ত

জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনকে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ভ্যাকসিন পাওয়া সহজ হবে বলে মনে করছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এ সংস্থা। আল-জাজিরা

এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানায়, মহামারী শুরুর প্রথম ভ্যাকসিনের বৈধতা দানের ফলে বিভিন্ন দেশের আমদানি ও প্রয়োগে নিজেদের নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন দেয়ার পথ উন্মুক্ত করবে। ডব্লিউএইচওর এ বৈধতার ফলে ইউনিসেফ ও প্যান-আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের মতো সংস্থা যেসব দেশের প্রয়োজন সেগুলোর জন্য ভ্যাকসিন কিনতে পারবে। ডব্লিউএইচও’র ওষুধ ও স্বাস্থ্য পণ্যবিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক ড. মারিয়াঞ্জেলা সিমাও বলেন, বৈশ্বিক করোনা ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ খুবই ইতিবাচক। কিন্তু আমি আরও বড় ধরনের বৈশ্বিক উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে চাই যাতে করে যে কোনও স্থানের জনগণের জন্য ভ্যাকসিনের সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন সুরক্ষা মান অর্জন করেছে এবং ঝুঁকির তুলনায় সুবিধা বেশি। ফাইজারের ভ্যাকসিন চরম শীতল তাপমাত্রায় সংরক্ষণ ও পরিবহন করতে হয়। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, কাতার, বাহরাইন ও মেক্সিকোতে অনুমোদনের পর প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ধনী দেশগুলো ভ্যাকসিন কিনে নেয়াতে উন্নয়নশীল দেশের তা পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা হয়েছে, মডার্না ও ফাইজারের ভ্যাকসিনের ৯৬ শতাংশ ডোজ ধনী দেশগুলো কিনে নিয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে কানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২১ , ১৮ পৌষ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ফাইজারের ভ্যাকসিনকে তালিকাভুক্ত

image

জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনকে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ভ্যাকসিন পাওয়া সহজ হবে বলে মনে করছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এ সংস্থা। আল-জাজিরা

এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানায়, মহামারী শুরুর প্রথম ভ্যাকসিনের বৈধতা দানের ফলে বিভিন্ন দেশের আমদানি ও প্রয়োগে নিজেদের নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন দেয়ার পথ উন্মুক্ত করবে। ডব্লিউএইচওর এ বৈধতার ফলে ইউনিসেফ ও প্যান-আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের মতো সংস্থা যেসব দেশের প্রয়োজন সেগুলোর জন্য ভ্যাকসিন কিনতে পারবে। ডব্লিউএইচও’র ওষুধ ও স্বাস্থ্য পণ্যবিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক ড. মারিয়াঞ্জেলা সিমাও বলেন, বৈশ্বিক করোনা ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ খুবই ইতিবাচক। কিন্তু আমি আরও বড় ধরনের বৈশ্বিক উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে চাই যাতে করে যে কোনও স্থানের জনগণের জন্য ভ্যাকসিনের সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন সুরক্ষা মান অর্জন করেছে এবং ঝুঁকির তুলনায় সুবিধা বেশি। ফাইজারের ভ্যাকসিন চরম শীতল তাপমাত্রায় সংরক্ষণ ও পরিবহন করতে হয়। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, কাতার, বাহরাইন ও মেক্সিকোতে অনুমোদনের পর প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ধনী দেশগুলো ভ্যাকসিন কিনে নেয়াতে উন্নয়নশীল দেশের তা পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা হয়েছে, মডার্না ও ফাইজারের ভ্যাকসিনের ৯৬ শতাংশ ডোজ ধনী দেশগুলো কিনে নিয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে কানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।