নতুন বছরের শুরুতে চালসহ একাধিক পণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে বেশি বেড়েছে চালের দাম। নিত্যপণ্যটির দাম গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৭ থেকে ৮ টাকা। এছাড়াও ডাল, ব্রয়লার মুরগি, এলাচ, দারুচিনি, জিরা, আদা ও সয়াবিন তেলের দামও বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে পিয়াজ, আলু ও ডিমের। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য দেখা গেছে।
গতকাল কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিকন ও মাঝারি চাল কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে। মিনিকেট চালের কেজি প্রায় ৬৫ থেকে ৬৮ টাকার কাছাকাছি। মোটা চালের দাম নতুন করে না বাড়লেও তা ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। আর চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগে এই চালের দাম ছিল ৫৮ টাকা কেজি।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দারুচিনি ও জিরার কেজিতে বেড়েছে ৫০-৬০ টাকা করে। খুচরা বাজারে মাঝারি মানের মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে মশুর ডালের দাম ছিল ৮০-৯০ টাকা। ১২০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা কেজি দরে। আদার দাম বেড়েছে কেজি ১০ টাকা করে। গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া ৩২ টাকা হালি ফার্মের ডিম আজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকায়। ভারত থেকে পিয়াজ আসা শুরু হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পিয়াজের সরবরাহ বেশি। এছাড়া ভারত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে পিয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। পিয়াজের সঙ্গে নতুন আলুর দামও বেশ খানিকটা কমেছে। তবে পুরনো আলুর দাম বেড়েছে।
বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, নতুন দেশি পিয়াজে বাজার ভরপুর। আমদানি করা পিয়াজও রয়েছে প্রচুর। এতে ভালো মানের দেশি পিয়াজ প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও এই পিয়াজ গত সপ্তাহে ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর আমদানি করা পিয়াজ আগের মতোই ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে শীতের সবজি বিশেষ করে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুলা, শালগমের সরবরাহ বেড়েছে। নতুন করে সবজির দাম না কমলেও ক্রেতারা সবজি কিনে স্বস্তি পাচ্ছেন। গত প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ক্রেতারা তুলনামূলক কম দামে সবজি কিনতে পারছেন। গতকাল বাজার ভেদে বেশিরভাগ শীতকালীন সবজি ৩০ টাকা কেজিতেই পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া আগের মতো শিমের কেজি ৩০-৫০ টাকা। ফুলকপি ও বাঁধাকপির প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। ২০ টাকা কেজি শালগম। মুলা ১০-১৫ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। বেগুনের কেজি ৩০-৪০ টাকা, করলার কেজি ৪০-৫০ টাকা। সব ধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে ৫-১০ টাকা আটি।
ডিমের দাম ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৬০ টাকায়, ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। ১০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালী বা কক ১৯০ ও ব্রয়লার মুরগি কেজি ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়, বকরির মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়, গরুর মাংসের দাম ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়, মহিষ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায়। এসব বাজারে কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ১২০ থেকে ৬০০ টাকায়, মৃগেল ১৭০ থেকে ২৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ২০০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১,২০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকায়, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, পোয়া মাছ ২৫০ থেকে ৩২০ টাকায়, পাবদা মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, টাটকিনি মাছ ৩০০ টাকায়, তেলাপিয়া ১০০ টাকায়, সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়, কৈ মাছ ১৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, মিরর কার্প ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, ছোট বেলে ১২০ টাকায়, রূপচাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, আইড় মাছ ৫০০ টাকায়, রিঠা মাছ ২২০ টাকায় ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শনিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২১ , ১৮ পৌষ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
নতুন বছরের শুরুতে চালসহ একাধিক পণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে বেশি বেড়েছে চালের দাম। নিত্যপণ্যটির দাম গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৭ থেকে ৮ টাকা। এছাড়াও ডাল, ব্রয়লার মুরগি, এলাচ, দারুচিনি, জিরা, আদা ও সয়াবিন তেলের দামও বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে পিয়াজ, আলু ও ডিমের। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য দেখা গেছে।
গতকাল কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিকন ও মাঝারি চাল কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে। মিনিকেট চালের কেজি প্রায় ৬৫ থেকে ৬৮ টাকার কাছাকাছি। মোটা চালের দাম নতুন করে না বাড়লেও তা ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। আর চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগে এই চালের দাম ছিল ৫৮ টাকা কেজি।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দারুচিনি ও জিরার কেজিতে বেড়েছে ৫০-৬০ টাকা করে। খুচরা বাজারে মাঝারি মানের মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে মশুর ডালের দাম ছিল ৮০-৯০ টাকা। ১২০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা কেজি দরে। আদার দাম বেড়েছে কেজি ১০ টাকা করে। গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া ৩২ টাকা হালি ফার্মের ডিম আজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকায়। ভারত থেকে পিয়াজ আসা শুরু হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পিয়াজের সরবরাহ বেশি। এছাড়া ভারত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে পিয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। পিয়াজের সঙ্গে নতুন আলুর দামও বেশ খানিকটা কমেছে। তবে পুরনো আলুর দাম বেড়েছে।
বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, নতুন দেশি পিয়াজে বাজার ভরপুর। আমদানি করা পিয়াজও রয়েছে প্রচুর। এতে ভালো মানের দেশি পিয়াজ প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও এই পিয়াজ গত সপ্তাহে ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর আমদানি করা পিয়াজ আগের মতোই ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে শীতের সবজি বিশেষ করে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুলা, শালগমের সরবরাহ বেড়েছে। নতুন করে সবজির দাম না কমলেও ক্রেতারা সবজি কিনে স্বস্তি পাচ্ছেন। গত প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ক্রেতারা তুলনামূলক কম দামে সবজি কিনতে পারছেন। গতকাল বাজার ভেদে বেশিরভাগ শীতকালীন সবজি ৩০ টাকা কেজিতেই পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া আগের মতো শিমের কেজি ৩০-৫০ টাকা। ফুলকপি ও বাঁধাকপির প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। ২০ টাকা কেজি শালগম। মুলা ১০-১৫ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। বেগুনের কেজি ৩০-৪০ টাকা, করলার কেজি ৪০-৫০ টাকা। সব ধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে ৫-১০ টাকা আটি।
ডিমের দাম ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৬০ টাকায়, ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। ১০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালী বা কক ১৯০ ও ব্রয়লার মুরগি কেজি ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়, বকরির মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়, গরুর মাংসের দাম ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়, মহিষ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায়। এসব বাজারে কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ১২০ থেকে ৬০০ টাকায়, মৃগেল ১৭০ থেকে ২৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ২০০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১,২০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকায়, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, পোয়া মাছ ২৫০ থেকে ৩২০ টাকায়, পাবদা মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, টাটকিনি মাছ ৩০০ টাকায়, তেলাপিয়া ১০০ টাকায়, সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়, কৈ মাছ ১৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, মিরর কার্প ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, ছোট বেলে ১২০ টাকায়, রূপচাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, আইড় মাছ ৫০০ টাকায়, রিঠা মাছ ২২০ টাকায় ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।