দখল-উচ্ছেদ-পুনর্দখলের ইঁদুর-বিড়াল খেলা কি চলতেই থাকবে

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) রাজধানীর তুরাগ নদের তীরে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানে অস্থায়ীভাবে নির্মিত অনেকগুলো টিনের ঘর ভাঙা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, চলমান অভিযানে এখন পর্যন্ত বড় কোন স্থাপনা ভাঙা হয়নি। বড় দখলদারদের বিরুদ্ধে বিআইডব্লিউটিএ কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিআইডব্লিটিএ গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর তীরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল। সেই অভিযান শেষে নদীর তীরে সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষ্যে একটি প্রকল্পের কাজও হাতে নেয়া হয়। এরই মধ্যে নদ-নদী পুনর্দখল হয়ে গেছে। দখল-উচ্ছেদ-পুনর্দখল নদ-নদীগুলোর অলঙ্ঘনীয় নিয়তিতে পরিণত হয়েছে। উচ্ছেদ হওয়ার পরও দখলবাজরা কেন ক্ষান্ত হচ্ছে না সেটা একটা প্রশ্ন।

নদ-নদী উদ্ধার নিয়ম রক্ষার অভিযানে পরিণত হয়েছে। এসব অভিযানে স্থাপনাই ভাঙা হয় শুধু। দখলবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নজির আছে সামান্যই। তুরাগ নদের উচ্ছেদ অভিযানে বড় দখলবাজদের প্রতি নমনীয় আচরণ করার অভিযোগ মিলেছে। এসব কারণেই নদ-নদীকে স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নমনীয়তা বা অসহযোগিতা নিয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ইতিপূর্বে হতাশাও প্রকাশ করেছে। তাতে কারও বোধোদয় হয়েছে বলে মনে হয় না।

দখল-উচ্ছেদ-পুনর্দখলের নামে ইঁদুর-বিড়াল খেলা বন্ধ করতে হবে। নদ-নদী স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত হচ্ছে- আমরা এমনটাই দেখতে চাই। এজন্য দখলবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।

বড় দখলবাজদের প্রতি নমনীয় আচরণ করে, শুধু ছোট স্থাপনা ভাঙলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

শনিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২১ , ১৮ পৌষ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

দখল-উচ্ছেদ-পুনর্দখলের ইঁদুর-বিড়াল খেলা কি চলতেই থাকবে

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) রাজধানীর তুরাগ নদের তীরে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানে অস্থায়ীভাবে নির্মিত অনেকগুলো টিনের ঘর ভাঙা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, চলমান অভিযানে এখন পর্যন্ত বড় কোন স্থাপনা ভাঙা হয়নি। বড় দখলদারদের বিরুদ্ধে বিআইডব্লিউটিএ কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিআইডব্লিটিএ গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর তীরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল। সেই অভিযান শেষে নদীর তীরে সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষ্যে একটি প্রকল্পের কাজও হাতে নেয়া হয়। এরই মধ্যে নদ-নদী পুনর্দখল হয়ে গেছে। দখল-উচ্ছেদ-পুনর্দখল নদ-নদীগুলোর অলঙ্ঘনীয় নিয়তিতে পরিণত হয়েছে। উচ্ছেদ হওয়ার পরও দখলবাজরা কেন ক্ষান্ত হচ্ছে না সেটা একটা প্রশ্ন।

নদ-নদী উদ্ধার নিয়ম রক্ষার অভিযানে পরিণত হয়েছে। এসব অভিযানে স্থাপনাই ভাঙা হয় শুধু। দখলবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নজির আছে সামান্যই। তুরাগ নদের উচ্ছেদ অভিযানে বড় দখলবাজদের প্রতি নমনীয় আচরণ করার অভিযোগ মিলেছে। এসব কারণেই নদ-নদীকে স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নমনীয়তা বা অসহযোগিতা নিয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ইতিপূর্বে হতাশাও প্রকাশ করেছে। তাতে কারও বোধোদয় হয়েছে বলে মনে হয় না।

দখল-উচ্ছেদ-পুনর্দখলের নামে ইঁদুর-বিড়াল খেলা বন্ধ করতে হবে। নদ-নদী স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত হচ্ছে- আমরা এমনটাই দেখতে চাই। এজন্য দখলবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।

বড় দখলবাজদের প্রতি নমনীয় আচরণ করে, শুধু ছোট স্থাপনা ভাঙলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।