দুর্গম চরে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত অর্ধলক্ষ মানুষ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মুল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দুটি ইউনিয়ন। এই দুই ইউনিয়নে প্রায় ২৫ হাজার পরিবারের বসবাস। পদ্মা নদীর ওপারে হওয়ায় এসব পরিবার স্বপ্নেও ভাবেনি তারা বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে। বিদ্যুতের আলোয় এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করবে, শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে প্রতিটি পরিবারের সন্তানেরা। সেই অসম্ভব স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে আগামীকাল ৩ জানুয়ারি। এদিন কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ চরবাসীর স্বপ্নের বিদ্যুৎ উদ্বোধন করবেন। আর দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ১৩ হাজার পরিবারের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ আলোকিত হবে বিদ্যুতের আলোয়।

১৪ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী বৃহৎ উপজেলা দৌলতপুর।

এ উপজেলার দুটি ইউনিয়ন চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর মূল ভূ-খ- থেকে বিচ্ছিন্ন। পদ্মা নদীর ওপারে দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় এখানকার মানুষ ছিল বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তারা কোনদিন ভাবেনি তাদের ঘর আলোকিত হবে বিদ্যুতের আলোতে। সেই চরবাসীর স্বপ্ন পূরণ করেছে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী। স্বপ্নের বিদ্যুৎ পেয়ে তারা কেউ কৃষিতে সমৃদ্ধ হওয়ার কথা ভাবছেন, আবার কেউ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে মিল কল কারখানার সুযোগ সুবিধা দেবে এমন ভাবনার স্বপ্নে বিভোর হয়ে দিনক্ষণ গুনছেন। চিলমারী ইউনিয়নরে বাসিন্দা ইকবাল হোসেন ও মহিউদ্দিন জানান, তারা স্বপ্নেও ভাবেনি বিদ্যুতের আলোতে আলোকিত হবে তাদের বাড়ি ও এলাকার লোকজন।

এমন স্বপ্নপূরণ হওয়ায় সেসহ এলাকার লোকজন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একইভাবে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার সোহেল ইসলাম জানান-পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে চরের মধ্যে বিদ্যুৎ আসবে কোনদিন কল্পনাও করিনি।

সেই কল্পনা এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধার কারনে এখন তারা কৃষিসহ সব সেক্টরে উন্নতি করতে পারবেন।

সুমি নামে স্কুলপড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বিদ্যুতের আলোতে পড়ালেখা করে নিজেকে আলোকিত মানুষ করে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বিদ্যুৎ সুবিধার কারণে ডিজিটাল সুবিধাসহ সব ধরনের সুবিধার আওতায় আসবে ১৩ হাজার পরিবারসহ অর্ধলক্ষ চরবাসী। আর এমন কথা জানিয়েছেন চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল।

রবিবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২১ , ১৯ পৌষ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

দুর্গম চরে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত অর্ধলক্ষ মানুষ

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুষ্টিয়া

image

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মুল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দুটি ইউনিয়ন। এই দুই ইউনিয়নে প্রায় ২৫ হাজার পরিবারের বসবাস। পদ্মা নদীর ওপারে হওয়ায় এসব পরিবার স্বপ্নেও ভাবেনি তারা বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে। বিদ্যুতের আলোয় এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করবে, শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে প্রতিটি পরিবারের সন্তানেরা। সেই অসম্ভব স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে আগামীকাল ৩ জানুয়ারি। এদিন কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ চরবাসীর স্বপ্নের বিদ্যুৎ উদ্বোধন করবেন। আর দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ১৩ হাজার পরিবারের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ আলোকিত হবে বিদ্যুতের আলোয়।

১৪ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী বৃহৎ উপজেলা দৌলতপুর।

এ উপজেলার দুটি ইউনিয়ন চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর মূল ভূ-খ- থেকে বিচ্ছিন্ন। পদ্মা নদীর ওপারে দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় এখানকার মানুষ ছিল বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তারা কোনদিন ভাবেনি তাদের ঘর আলোকিত হবে বিদ্যুতের আলোতে। সেই চরবাসীর স্বপ্ন পূরণ করেছে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী। স্বপ্নের বিদ্যুৎ পেয়ে তারা কেউ কৃষিতে সমৃদ্ধ হওয়ার কথা ভাবছেন, আবার কেউ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে মিল কল কারখানার সুযোগ সুবিধা দেবে এমন ভাবনার স্বপ্নে বিভোর হয়ে দিনক্ষণ গুনছেন। চিলমারী ইউনিয়নরে বাসিন্দা ইকবাল হোসেন ও মহিউদ্দিন জানান, তারা স্বপ্নেও ভাবেনি বিদ্যুতের আলোতে আলোকিত হবে তাদের বাড়ি ও এলাকার লোকজন।

এমন স্বপ্নপূরণ হওয়ায় সেসহ এলাকার লোকজন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একইভাবে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার সোহেল ইসলাম জানান-পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে চরের মধ্যে বিদ্যুৎ আসবে কোনদিন কল্পনাও করিনি।

সেই কল্পনা এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধার কারনে এখন তারা কৃষিসহ সব সেক্টরে উন্নতি করতে পারবেন।

সুমি নামে স্কুলপড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বিদ্যুতের আলোতে পড়ালেখা করে নিজেকে আলোকিত মানুষ করে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বিদ্যুৎ সুবিধার কারণে ডিজিটাল সুবিধাসহ সব ধরনের সুবিধার আওতায় আসবে ১৩ হাজার পরিবারসহ অর্ধলক্ষ চরবাসী। আর এমন কথা জানিয়েছেন চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল।