শরণখোলায় সরকারি দীঘির মাটি বাণিজ্যে সড়কে ধস

চরম ঝুঁকিতে দুটি পরিবার

বাগেরহাটের শরণখোলায় দীঘির মাটি বিক্রি করায় ধসে গেছে জনসাধারণের চলাচলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। পাশাপাশি চরম ভাঙন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে পুকুরটির উভয় পার্শে বসবাসরত অসহায় নাছিমা বেগমসহ নির্মাণ শ্রমিক দেলোয়ারের পরিবার। স্থানীয়দের সূত্র জানায়, উপজেলা প্রসাশন পাড়াসংলগ্ন আকন বাড়ি অবস্থিত বহু বছরের পুরোনো সরকারী একটি দীঘির সম্পূর্ণ কাঁদামাটি ৩৫/১ পোল্ডারের ভেড়িবাঁধে কাজে নিয়োজিত চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে সম্প্রতি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় পুকুরটির সম্পূর্ণ মাটি বিক্রয় করেন স্থানীয় বাসিন্দা আ. গফফার আকন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পুকুরটির গভীরতা অনেক বৃদ্ধি করায় হঠাৎ করে গত শুক্রবার গভীর রাতে পুকুরটির উত্তর পার্শে অবস্থিত পশ্চিম রাজৈর এলাকার পাকা সড়কটির প্রায় ১০০ ফুট এলাকাজুড়ে খননকৃত পুকুরটির মাঝে ধসে পড়ে। পুকুরটির উত্তর পার্শে বসবাসরত বাসিন্দা স্বামী পরিত্যক্তা নাছিমা বেগম (৩৫) বলেন, আমার এই জমিটুকু ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নাই। ভাঙাচোরা একটু ঘরে কোন মতে থাকতাম।

তাও টাকার লোভে পড়ে পুকুরের মালিক চায়নাদের কাছে মাটি বিক্রি করায় হঠাৎ রাতে শুনি মর মর শব্দ। তখন ধারণা করি ভূমিকম্প শুরু হয়েছে। সকালে জেগে দেখি ঘরের পাশের পাকা রাস্থাটি অনেক জায়গা ধরে ভেঙে পুকুরে পড়েছে। আর একটু হলে মোর ঘর ও চলে যেত পুকুরের মধ্যে। তাই এখন সব সময় আতঙ্কে থাকি। স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল আকন বলেন, পুকুরের মালিক দাবি করে, গফফার আকন ওই মাটি বিক্রি করেন। রাস্তা ভেঙে জনসাধারণের ক্ষতি হয়ে থাকলে তার জন্য দ্বায়ী চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ গফফার আকন। তাই রাস্তা মেরামতের দায়িত্ব কেবল তাদের। তবে, আ. গফফার আকন বলেন, মামলা করে আমি পুকুরটির মালিক হিসেবে রায় পেয়েছি। এলাকাবাসীর স্বার্থে পুকুরটি খনন করা দরকার। তাই সামান্য টাকায় মাটি বিক্রি করি। টাকা এখনও হাতে পাইনি। কাজ শেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চেকের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করবেন। কিন্তু ঠিকাদার গ্রুপ এতো মাটি তুলে নিবেন এবং হঠাৎ করে এমন সমস্যা হবে তা বুঝতে পারি নাই। এখন (ওরা) আমাকে ঠিকাদাররা পাইলিং করে সড়কটি শিগগিরই ঠিক করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মুঠোফোনে বহুবার ফোন করলেও তারা রিসিপ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

রবিবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২১ , ১৯ পৌষ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

শরণখোলায় সরকারি দীঘির মাটি বাণিজ্যে সড়কে ধস

চরম ঝুঁকিতে দুটি পরিবার

প্রতিনিধি, শরণখোলা (বাগেরহাট)

image

বাগেরহাটের শরণখোলায় দীঘির মাটি বিক্রি করায় ধসে গেছে জনসাধারণের চলাচলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। পাশাপাশি চরম ভাঙন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে পুকুরটির উভয় পার্শে বসবাসরত অসহায় নাছিমা বেগমসহ নির্মাণ শ্রমিক দেলোয়ারের পরিবার। স্থানীয়দের সূত্র জানায়, উপজেলা প্রসাশন পাড়াসংলগ্ন আকন বাড়ি অবস্থিত বহু বছরের পুরোনো সরকারী একটি দীঘির সম্পূর্ণ কাঁদামাটি ৩৫/১ পোল্ডারের ভেড়িবাঁধে কাজে নিয়োজিত চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে সম্প্রতি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় পুকুরটির সম্পূর্ণ মাটি বিক্রয় করেন স্থানীয় বাসিন্দা আ. গফফার আকন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পুকুরটির গভীরতা অনেক বৃদ্ধি করায় হঠাৎ করে গত শুক্রবার গভীর রাতে পুকুরটির উত্তর পার্শে অবস্থিত পশ্চিম রাজৈর এলাকার পাকা সড়কটির প্রায় ১০০ ফুট এলাকাজুড়ে খননকৃত পুকুরটির মাঝে ধসে পড়ে। পুকুরটির উত্তর পার্শে বসবাসরত বাসিন্দা স্বামী পরিত্যক্তা নাছিমা বেগম (৩৫) বলেন, আমার এই জমিটুকু ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নাই। ভাঙাচোরা একটু ঘরে কোন মতে থাকতাম।

তাও টাকার লোভে পড়ে পুকুরের মালিক চায়নাদের কাছে মাটি বিক্রি করায় হঠাৎ রাতে শুনি মর মর শব্দ। তখন ধারণা করি ভূমিকম্প শুরু হয়েছে। সকালে জেগে দেখি ঘরের পাশের পাকা রাস্থাটি অনেক জায়গা ধরে ভেঙে পুকুরে পড়েছে। আর একটু হলে মোর ঘর ও চলে যেত পুকুরের মধ্যে। তাই এখন সব সময় আতঙ্কে থাকি। স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল আকন বলেন, পুকুরের মালিক দাবি করে, গফফার আকন ওই মাটি বিক্রি করেন। রাস্তা ভেঙে জনসাধারণের ক্ষতি হয়ে থাকলে তার জন্য দ্বায়ী চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ গফফার আকন। তাই রাস্তা মেরামতের দায়িত্ব কেবল তাদের। তবে, আ. গফফার আকন বলেন, মামলা করে আমি পুকুরটির মালিক হিসেবে রায় পেয়েছি। এলাকাবাসীর স্বার্থে পুকুরটি খনন করা দরকার। তাই সামান্য টাকায় মাটি বিক্রি করি। টাকা এখনও হাতে পাইনি। কাজ শেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চেকের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করবেন। কিন্তু ঠিকাদার গ্রুপ এতো মাটি তুলে নিবেন এবং হঠাৎ করে এমন সমস্যা হবে তা বুঝতে পারি নাই। এখন (ওরা) আমাকে ঠিকাদাররা পাইলিং করে সড়কটি শিগগিরই ঠিক করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মুঠোফোনে বহুবার ফোন করলেও তারা রিসিপ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।