কলমাকান্দায় কিশোরী গণধর্ষণের মামলা গ্রেফতার দুই

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় সীমান্তবর্তী এলাকায় বেড়াতে এসে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষণে সহায়তাকারী মায়া শেখ ওরফে পারভীন (২৭) নামে এক নারীসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানা করে নিয়ে আসা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ছয়জনকে আসামি করে ওই কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কলমাকান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মাখন দাস এর পুত্র লক্ষণ দাস (২৩) ও গণধর্ষণ ঘটনার সহায়তাকারী হিসেবে একই উপজেলার লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের সামছুদ্দীন এর মেয়ে মোছা. পারভীন আক্তার @মায়া শেখ (২৭)। পুলিশ ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকার মহাখালী ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টে কাজ করেন নির্যাতিতা কিশোরী ও মায়া শেখ। উভয়ের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় গত ২৯ ডিসেম্বর মায়া শেখের সঙ্গে কলমাকান্দায় বেড়াতে আসেন ওই কিশোরী। কলমাকান্দা যুমনা গেস্ট হাউসে একদিন থাকার পর মায়া শেখের মাধ্যমে শীতল (২৫) নামে এক যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীর সখ্যতা গড়ে ওঠে। গত বুধবার শীতল কিশোরীকে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে নিয়ে যান। অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে শীতলসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জন ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।

পরে গভীর রাতে তাকে উপজেলার সীমান্তবর্তী ভবানীপুর এলাকায় পুকুর পাড়ে ফেলে রেখে চলে যায় ধর্ষণকারীরা। কলমাকান্দা থানার ওসি জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।

রবিবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২১ , ১৯ পৌষ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

কলমাকান্দায় কিশোরী গণধর্ষণের মামলা গ্রেফতার দুই

প্রতিনিধি, কলমাকান্দা (নেত্রকোনা)

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় সীমান্তবর্তী এলাকায় বেড়াতে এসে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষণে সহায়তাকারী মায়া শেখ ওরফে পারভীন (২৭) নামে এক নারীসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানা করে নিয়ে আসা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ছয়জনকে আসামি করে ওই কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কলমাকান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মাখন দাস এর পুত্র লক্ষণ দাস (২৩) ও গণধর্ষণ ঘটনার সহায়তাকারী হিসেবে একই উপজেলার লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের সামছুদ্দীন এর মেয়ে মোছা. পারভীন আক্তার @মায়া শেখ (২৭)। পুলিশ ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকার মহাখালী ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টে কাজ করেন নির্যাতিতা কিশোরী ও মায়া শেখ। উভয়ের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় গত ২৯ ডিসেম্বর মায়া শেখের সঙ্গে কলমাকান্দায় বেড়াতে আসেন ওই কিশোরী। কলমাকান্দা যুমনা গেস্ট হাউসে একদিন থাকার পর মায়া শেখের মাধ্যমে শীতল (২৫) নামে এক যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীর সখ্যতা গড়ে ওঠে। গত বুধবার শীতল কিশোরীকে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে নিয়ে যান। অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে শীতলসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জন ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।

পরে গভীর রাতে তাকে উপজেলার সীমান্তবর্তী ভবানীপুর এলাকায় পুকুর পাড়ে ফেলে রেখে চলে যায় ধর্ষণকারীরা। কলমাকান্দা থানার ওসি জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।