সৈয়দপুরে আ’লীগসহ মেয়র প্রার্থী পাঁচ, নেই বিএনপির

প্রতিক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাচন। আগামী ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনকে সামনে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে গোটা শহর। প্রচার প্রচারণায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা মাঠে জোরেশোরে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। ইতোমধ্যে মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টার টাঙ্গানো শুরু হয়েছে সর্বত্র। নগরীর রাস্তাঘাট এখন নির্বাচনী পোস্টারে সয়লাব হয়ে গেছে। এদিকে মেয়র পদে লড়াই অবতীর্ণ হয়েছে দলীয় ও স্বতন্ত্র ৫ প্রার্থী। তবে নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মেয়র প্রার্থী নেই। দলীয় প্রার্থী অ্যাড. এসএম ওবায়দুর রহমান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় মেয়র পদে প্রার্থী শূন্য হয়েছে সৈয়দপুর জেলা বিএনপির। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১০৯ জন প্রার্থী চূড়ান্ত নির্বাচনী যুদ্ধে নেমেছেন। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে একজন নারীসহ ৮৮ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২১ জন নারী প্রার্থী হয়েছেন। মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীরা স্ব স্ব দলের প্রতিক এবং স্বতন্ত্র মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি আখতার হোসেন বাদলের পতœী রাফিকা আখতার জাহান (নৌকা), জাতীয় পার্টির (জাপা-এ) সিদ্দিকুল আলম (লাঙল) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মো. নূরুল হুদা (হাতপাখা) প্রতিকে এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বর্তমান পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার (নারিকেল গাছ) ও রবিউল আউয়াল (মোবাইল ফোন) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

নির্বাচনে প্রার্থীরা তৃণমূলে নির্বাচনী তৎপরতার সঙ্গে প্রধান প্রধান সড়ক ও পাড়া-মহল্লায় পোস্টার ঝুলিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। তবে দলীয় প্রার্থীদের কর্মী বাহিনী পাড়া-মহল্লা ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শুরু করেছে প্রচার তৎপরতা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শহরের সর্বত্র নির্বাচনী উত্তাপ বিরাজ করছে। শহরের চায়ের দোকান, প্রাতঃভ্রমণ ও পাড়া-মহল্লার আড্ডায় আলোচনার প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছে মেয়র প্রার্থীরা। এসব আলোচনায় উঠে আসছে বিএনপি দলীয় প্রার্থী না থাকার বিষয়ও। তবে শহরজুড়ে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র প্রার্থী রাফিকা আখতার জাহান। এর পরেই রয়েছে দলীয় অন্য প্রার্থীরা। তবে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী আলোচনায় পিছিয়ে রয়েছেন।

এদিকে নীলফামারী জেলার এই প্রথম সৈয়দপুর পৌর নির্বাচন ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ফলে ইভিএমে ভোট দেয়া নিয়ে কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন ভোটাররা। কারণ ইভিএমএ’র নাম শুনলেও ভোট দেয়ার কোন ধারণা নেই ভোটারদের মাঝে। তবে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ইভিএমএ- ভোট দেয়ার ধারণা দিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হবে। ভোটের আগে এসব ক্যাম্পেইনের সময়সূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানায় সূত্রটি।

রবিবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২১ , ১৯ পৌষ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

সৈয়দপুরে আ’লীগসহ মেয়র প্রার্থী পাঁচ, নেই বিএনপির

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

image

প্রতিক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাচন। আগামী ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনকে সামনে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে গোটা শহর। প্রচার প্রচারণায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা মাঠে জোরেশোরে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। ইতোমধ্যে মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টার টাঙ্গানো শুরু হয়েছে সর্বত্র। নগরীর রাস্তাঘাট এখন নির্বাচনী পোস্টারে সয়লাব হয়ে গেছে। এদিকে মেয়র পদে লড়াই অবতীর্ণ হয়েছে দলীয় ও স্বতন্ত্র ৫ প্রার্থী। তবে নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মেয়র প্রার্থী নেই। দলীয় প্রার্থী অ্যাড. এসএম ওবায়দুর রহমান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় মেয়র পদে প্রার্থী শূন্য হয়েছে সৈয়দপুর জেলা বিএনপির। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১০৯ জন প্রার্থী চূড়ান্ত নির্বাচনী যুদ্ধে নেমেছেন। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে একজন নারীসহ ৮৮ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২১ জন নারী প্রার্থী হয়েছেন। মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীরা স্ব স্ব দলের প্রতিক এবং স্বতন্ত্র মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি আখতার হোসেন বাদলের পতœী রাফিকা আখতার জাহান (নৌকা), জাতীয় পার্টির (জাপা-এ) সিদ্দিকুল আলম (লাঙল) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মো. নূরুল হুদা (হাতপাখা) প্রতিকে এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বর্তমান পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার (নারিকেল গাছ) ও রবিউল আউয়াল (মোবাইল ফোন) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

নির্বাচনে প্রার্থীরা তৃণমূলে নির্বাচনী তৎপরতার সঙ্গে প্রধান প্রধান সড়ক ও পাড়া-মহল্লায় পোস্টার ঝুলিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। তবে দলীয় প্রার্থীদের কর্মী বাহিনী পাড়া-মহল্লা ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শুরু করেছে প্রচার তৎপরতা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শহরের সর্বত্র নির্বাচনী উত্তাপ বিরাজ করছে। শহরের চায়ের দোকান, প্রাতঃভ্রমণ ও পাড়া-মহল্লার আড্ডায় আলোচনার প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছে মেয়র প্রার্থীরা। এসব আলোচনায় উঠে আসছে বিএনপি দলীয় প্রার্থী না থাকার বিষয়ও। তবে শহরজুড়ে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র প্রার্থী রাফিকা আখতার জাহান। এর পরেই রয়েছে দলীয় অন্য প্রার্থীরা। তবে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী আলোচনায় পিছিয়ে রয়েছেন।

এদিকে নীলফামারী জেলার এই প্রথম সৈয়দপুর পৌর নির্বাচন ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ফলে ইভিএমে ভোট দেয়া নিয়ে কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন ভোটাররা। কারণ ইভিএমএ’র নাম শুনলেও ভোট দেয়ার কোন ধারণা নেই ভোটারদের মাঝে। তবে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ইভিএমএ- ভোট দেয়ার ধারণা দিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হবে। ভোটের আগে এসব ক্যাম্পেইনের সময়সূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানায় সূত্রটি।