না’গঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার মুয়াজ্জিন গ্রেফতার

ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ, ৭ দিন পর চট্টগ্রামে উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জে কিশোরী মাদরাসাছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুক্রবার রাত দুইটার সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম রবিনের (২৫) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মহজমপুর এলাকার সোহরাব মিয়ার ছেলে। সে ঢাকার ডেমরা ধানাধীন শুকুরশী কেন্দ্রীয় শাহী মসজিদের মুয়াজ্জিন বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি ডেমরায়। তবে সে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ওয়াপদাকলোনির একটি আবাসিক মাদরাসায় পড়াশোনা করে। আসামি ডেমরা এলাকার একটি মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত থাকায় তাদের পূর্ব পরিচয় ছিল। পরিচিতির সুবাদে রফিকুল ইসলাম প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর পিতার।

তিনি মামলায় বলেন, প্রস্তাবে তার মেয়ে রাজি না হওয়ায় গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মাদরাসা যাওয়ার পথে তাকে সিদ্ধিরগঞ্জের নাভানা সিটি এলাকায় এমএম টাওয়ারের পশ্চিম পাশের পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে রফিকুল ইসলাম। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর বিষয়টি ওই কিশোরী তার মাদরাসার শিক্ষিকাকে জানায়। শিক্ষিকার মাধ্যমে পরিবারের লোকজন জানতে পারে এবং থানায় মামলা করেন। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরীফ আহমেদ জানান, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদলতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীর মেডিকেল টেস্টের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিনিধি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) জানায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে অপহৃতা স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অপহরণের ৭ দিন পর চট্টগ্রাম থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার ও ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার শিমরাইল গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নবম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী অপহরণের শিকার হয়। এ ঘটনার ৭ দিন পর ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই শাওন চক্রবর্তী গোপন সংবাদে খবর পেয়ে গতকাল চট্টগ্রাম হালিশহরের সুন্দরীপাড়া এলাকায় এক অভিযান চালিয়ে আবদুল জলিলের বাড়ি থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারী আতাউর রহমানকে আটক করা হয়।

অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় অপহৃতা স্কুলছাত্রীর বাবা ফজলু রহমান বাদী হয়ে শনিবার আতাউর রহমান ও রমজান আলীকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারি অফিসার এসআই শাওন জানান, উদ্ধারকৃত ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে প্রেরণ ও ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপহরণকারী আতাউরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

রবিবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২১ , ১৯ পৌষ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

না’গঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার মুয়াজ্জিন গ্রেফতার

ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ, ৭ দিন পর চট্টগ্রামে উদ্ধার

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জে কিশোরী মাদরাসাছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুক্রবার রাত দুইটার সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম রবিনের (২৫) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মহজমপুর এলাকার সোহরাব মিয়ার ছেলে। সে ঢাকার ডেমরা ধানাধীন শুকুরশী কেন্দ্রীয় শাহী মসজিদের মুয়াজ্জিন বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি ডেমরায়। তবে সে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ওয়াপদাকলোনির একটি আবাসিক মাদরাসায় পড়াশোনা করে। আসামি ডেমরা এলাকার একটি মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত থাকায় তাদের পূর্ব পরিচয় ছিল। পরিচিতির সুবাদে রফিকুল ইসলাম প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর পিতার।

তিনি মামলায় বলেন, প্রস্তাবে তার মেয়ে রাজি না হওয়ায় গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মাদরাসা যাওয়ার পথে তাকে সিদ্ধিরগঞ্জের নাভানা সিটি এলাকায় এমএম টাওয়ারের পশ্চিম পাশের পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে রফিকুল ইসলাম। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর বিষয়টি ওই কিশোরী তার মাদরাসার শিক্ষিকাকে জানায়। শিক্ষিকার মাধ্যমে পরিবারের লোকজন জানতে পারে এবং থানায় মামলা করেন। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরীফ আহমেদ জানান, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদলতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীর মেডিকেল টেস্টের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিনিধি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) জানায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে অপহৃতা স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অপহরণের ৭ দিন পর চট্টগ্রাম থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার ও ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার শিমরাইল গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নবম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী অপহরণের শিকার হয়। এ ঘটনার ৭ দিন পর ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই শাওন চক্রবর্তী গোপন সংবাদে খবর পেয়ে গতকাল চট্টগ্রাম হালিশহরের সুন্দরীপাড়া এলাকায় এক অভিযান চালিয়ে আবদুল জলিলের বাড়ি থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারী আতাউর রহমানকে আটক করা হয়।

অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় অপহৃতা স্কুলছাত্রীর বাবা ফজলু রহমান বাদী হয়ে শনিবার আতাউর রহমান ও রমজান আলীকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারি অফিসার এসআই শাওন জানান, উদ্ধারকৃত ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে প্রেরণ ও ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপহরণকারী আতাউরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।