আসতে শুরু করেছে ভারতীয় পিয়াজ

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ১১ ট্রাক ভারতীয় পিয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। গতকাল বিকেলে এ পিয়াজ ঘোজাডাঙ্গা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরে আসে। এদিকে পিয়াজ প্রবেশ করায় শ্রমিক-কর্মচারীদের উৎফুল্লভাব লক্ষ্য করা গেলেও দেশি পিয়াজের চাষিরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন।

ভোমরা শুল্ক বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, ভোমরা স্থলবন্দরে এ পর্যন্ত ১১ ট্রাক পিয়াজ প্রবেশ করেছে। যার পরিমাণ প্রায় ১৯০ মে. টন।

ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত রহমান জানান, দীর্ঘ সাড়ে তিনমাস পরে পিয়াজ বাংলাদেশে ঢুকছে। এতে উৎফুল্ল বন্দরের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। পিয়াজের দাম আরও কমবে বলে জানান এই সিএন্ডএফ নেতা। ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও পিয়াজ আমদানিকারক দীপঙ্কর ঘোষ জানান, ২৭০ থেকে ৩শ’ ইউএস ডলারে প্রতি মে. টন পিয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। সেই হিসেবে ২৫ টাকা করে প্রতি কেজি পিয়াজ পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন আমদানিকারকরা। আর ভোক্তারা পাবেন ৩০ টাকায়। আজকে যে পিয়াজ এসেছে, তা মহারাষ্ট্রের। আগামীতে ভারতের দক্ষিণাঞ্চল থেকে যে পিয়াজ আসবে, তা ২০ টাকা কেজি দরে ভোক্তারা পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে ভারতীয় পিয়াজ বাংলাদেশে আসায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত কৃষকরা। দেশি পিয়াজের দাম সম্প্রতি কেজি প্রতি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পিয়াজ আমদানির কথা প্রচার হলে সাতক্ষীরার বড়বাজারে গতকাল বিকেলে দেশি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকায়। এছাড়া মায়ানমার ও পাকিস্তানি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। চায়না ও তুরস্কের পিয়াজও বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকার মধ্যে।

সাতক্ষীরার কৃষি অফিসের তথ্যমতে, জেলায় ৫শ’ হেক্টর জমিতে পিয়াজ রোপণ করা হয়েছে। ৫ হাজার মে. টন পিয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার চাহিদা রয়েছে ২০ হাজার মে. টন। বাকি পিয়াজ বাইরের জেলা ও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

রবিবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২১ , ১৯ পৌষ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

আসতে শুরু করেছে ভারতীয় পিয়াজ

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ১১ ট্রাক ভারতীয় পিয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। গতকাল বিকেলে এ পিয়াজ ঘোজাডাঙ্গা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরে আসে। এদিকে পিয়াজ প্রবেশ করায় শ্রমিক-কর্মচারীদের উৎফুল্লভাব লক্ষ্য করা গেলেও দেশি পিয়াজের চাষিরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন।

ভোমরা শুল্ক বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, ভোমরা স্থলবন্দরে এ পর্যন্ত ১১ ট্রাক পিয়াজ প্রবেশ করেছে। যার পরিমাণ প্রায় ১৯০ মে. টন।

ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত রহমান জানান, দীর্ঘ সাড়ে তিনমাস পরে পিয়াজ বাংলাদেশে ঢুকছে। এতে উৎফুল্ল বন্দরের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। পিয়াজের দাম আরও কমবে বলে জানান এই সিএন্ডএফ নেতা। ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও পিয়াজ আমদানিকারক দীপঙ্কর ঘোষ জানান, ২৭০ থেকে ৩শ’ ইউএস ডলারে প্রতি মে. টন পিয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। সেই হিসেবে ২৫ টাকা করে প্রতি কেজি পিয়াজ পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন আমদানিকারকরা। আর ভোক্তারা পাবেন ৩০ টাকায়। আজকে যে পিয়াজ এসেছে, তা মহারাষ্ট্রের। আগামীতে ভারতের দক্ষিণাঞ্চল থেকে যে পিয়াজ আসবে, তা ২০ টাকা কেজি দরে ভোক্তারা পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে ভারতীয় পিয়াজ বাংলাদেশে আসায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত কৃষকরা। দেশি পিয়াজের দাম সম্প্রতি কেজি প্রতি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পিয়াজ আমদানির কথা প্রচার হলে সাতক্ষীরার বড়বাজারে গতকাল বিকেলে দেশি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকায়। এছাড়া মায়ানমার ও পাকিস্তানি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। চায়না ও তুরস্কের পিয়াজও বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকার মধ্যে।

সাতক্ষীরার কৃষি অফিসের তথ্যমতে, জেলায় ৫শ’ হেক্টর জমিতে পিয়াজ রোপণ করা হয়েছে। ৫ হাজার মে. টন পিয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার চাহিদা রয়েছে ২০ হাজার মে. টন। বাকি পিয়াজ বাইরের জেলা ও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।