সর্দি-কাশি জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে

থেমে নেই ডেঙ্গু

জেলায় জেলায় সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। দিনে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ জন শিশু প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আবার অনেকেই বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপর দিকে জেলা পর্যায়ে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা কমছে। আর দুর্গম চরাঞ্চলে শীতজনিত কারণে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে নতুন বছরে থেমে নেই ডেঙ্গুজ্বর। বছরের প্রথম দিনেই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

জেলাপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনার প্রাথমিক লক্ষ্ম সর্দি, কাশি ও জ্বরের উপসর্গ নিয়ে বহু রোগী জেলা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তারা করোনা আক্রান্ত সন্দেহ করা হলেও টেস্টে করোনা নেগেটিভ। এরপর জ্বর নিয়ে দিনে ২৫ থেকে ৩০ জন ও ডায়রিয়া নিয়ে ৪০ থেকে ৫০ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে বা ভর্তি হচ্ছে। এর মধ্যে অনেকেই ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।

জেলা সিভিল সার্জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ঠাণ্ডাজনিত কারণে শিশু ও বয়স্করা বেশি অসুস্থ হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে এখন চলছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর চিকিৎসা। পঞ্চগড়, নীলফামারী ও বরগুনার পাথরঘাটা,ে ভোলা, লক্ষ্মীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় দুর্গম এলাকায় ঠাণ্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। শৈত্যপ্রবাহ কখনও কমছে আবার কখনও বাড়ছে। এ সময় অনেকেই অসুস্থ হচ্ছেন।

ভোলার দুর্গম চরে শীতের প্রকৌপে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন অর্ধশতের বেশি শিশু ও বয়স্করা হাসপাতালে বহির্বিভাগে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শৈত্যপ্রবাহ কমলে তারা কিছুটা স্বস্তি পায়। আর ঠাণ্ডা বেশি হলে ঘরের বাইরে যাওয়া কষ্টকর। এভাবে দেশের জেলা, উপজেলায় ও ইউনিয়ন পর্যায়ে শিশু ও বয়স্করা ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

এ দিকে গতকাল মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুইজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। দুই জনই এখন হাসপাতালে আছে। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়তে পারে। তবে কীটতত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের সময় ডেঙ্গুজ্বরের বিস্তার কমে যাবে বলে তারা আশাবাদী।

মহাখালী রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন বলেছেন, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় যে সব স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে তা মানলে সর্দি, কার্শি ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাজনিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। অপর একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, শীতজনিত কারণে শ্বাসকষ্টের রোগীদের কষ্ট আরও বাড়তে পারে। তাই তাদের সব সময় ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখা দরকার। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার সময় ঘরের বাইরে না যাওয়া ভালো।

রবিবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২১ , ১৯ পৌষ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

সর্দি-কাশি জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে

থেমে নেই ডেঙ্গু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

জেলায় জেলায় সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। দিনে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ জন শিশু প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আবার অনেকেই বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপর দিকে জেলা পর্যায়ে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা কমছে। আর দুর্গম চরাঞ্চলে শীতজনিত কারণে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে নতুন বছরে থেমে নেই ডেঙ্গুজ্বর। বছরের প্রথম দিনেই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

জেলাপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনার প্রাথমিক লক্ষ্ম সর্দি, কাশি ও জ্বরের উপসর্গ নিয়ে বহু রোগী জেলা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তারা করোনা আক্রান্ত সন্দেহ করা হলেও টেস্টে করোনা নেগেটিভ। এরপর জ্বর নিয়ে দিনে ২৫ থেকে ৩০ জন ও ডায়রিয়া নিয়ে ৪০ থেকে ৫০ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে বা ভর্তি হচ্ছে। এর মধ্যে অনেকেই ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।

জেলা সিভিল সার্জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ঠাণ্ডাজনিত কারণে শিশু ও বয়স্করা বেশি অসুস্থ হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে এখন চলছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর চিকিৎসা। পঞ্চগড়, নীলফামারী ও বরগুনার পাথরঘাটা,ে ভোলা, লক্ষ্মীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় দুর্গম এলাকায় ঠাণ্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। শৈত্যপ্রবাহ কখনও কমছে আবার কখনও বাড়ছে। এ সময় অনেকেই অসুস্থ হচ্ছেন।

ভোলার দুর্গম চরে শীতের প্রকৌপে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন অর্ধশতের বেশি শিশু ও বয়স্করা হাসপাতালে বহির্বিভাগে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শৈত্যপ্রবাহ কমলে তারা কিছুটা স্বস্তি পায়। আর ঠাণ্ডা বেশি হলে ঘরের বাইরে যাওয়া কষ্টকর। এভাবে দেশের জেলা, উপজেলায় ও ইউনিয়ন পর্যায়ে শিশু ও বয়স্করা ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

এ দিকে গতকাল মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুইজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। দুই জনই এখন হাসপাতালে আছে। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়তে পারে। তবে কীটতত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের সময় ডেঙ্গুজ্বরের বিস্তার কমে যাবে বলে তারা আশাবাদী।

মহাখালী রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন বলেছেন, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় যে সব স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে তা মানলে সর্দি, কার্শি ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাজনিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। অপর একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, শীতজনিত কারণে শ্বাসকষ্টের রোগীদের কষ্ট আরও বাড়তে পারে। তাই তাদের সব সময় ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখা দরকার। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার সময় ঘরের বাইরে না যাওয়া ভালো।