দেশের যেসব জেলা ও মহানগরে কমিটি হয়নি সেসব এলাকায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিতর্কিতরা যাতে নেতৃত্বে আসতে না পারে সে বিষয়ে দল সচেষ্ট থাকবে। গতকাল বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বানর জানান। রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ প্রান্তে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে জনগণ হাসে : নতুন বছরে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করার বিএনপি’র ঘোষণা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের বস্তুগত দিক এখন দেশে নেই। দেখতে দেখতে সরকারের ১২ বছর চলে গেল, কিন্তু আন্দোলন হবে কোন বছর। জনগণও এখন আপনাদের আন্দোলনের কথা শুনলে হাসে।’ তিনি বলেন, ‘দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলে প্রাধান্য পাচ্ছে না। তাই আপনাদের বলি নতুন বছরে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসুন।’
ইশতেহার বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা : আওয়ামী লীগের নতুন বছরে রাজনীতি কেমন হবে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অধিকতর সুগঠিত এবং স্মার্ট একটা দল গড়ে তোলা হবে। দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা আরও মজবুত করা হবে। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সরকারকে অব্যাহত সহযোগিতা দিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ।’
বিআরটিএর দালালদের দৌরাত্ম : বিআরটিএতে দালালের দৌরাত্ম দূর করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কারো কারো দালালদের সঙ্গে যোগসাজশ আছে, এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সড়কে তিন চাকার মোটরযান বন্ধ করতে হবে।’ মোটরযান নির্মাণের কারখানাগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
যত আসন তত যাত্রী : মালিক শ্রমিকদের আবারও স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গাড়িগুলোতে যত আসন তত যাত্রী নিয়ম অবশ্যই মানতে হবে।’ এর ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন বছরে সড়ক ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের যতœবান হতে হবে এবং যাত্রীদের সুরক্ষায় যা যা করার তা করতে হবে।’
রবিবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২১ , ১৯ পৌষ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
দেশের যেসব জেলা ও মহানগরে কমিটি হয়নি সেসব এলাকায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিতর্কিতরা যাতে নেতৃত্বে আসতে না পারে সে বিষয়ে দল সচেষ্ট থাকবে। গতকাল বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বানর জানান। রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ প্রান্তে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে জনগণ হাসে : নতুন বছরে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করার বিএনপি’র ঘোষণা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের বস্তুগত দিক এখন দেশে নেই। দেখতে দেখতে সরকারের ১২ বছর চলে গেল, কিন্তু আন্দোলন হবে কোন বছর। জনগণও এখন আপনাদের আন্দোলনের কথা শুনলে হাসে।’ তিনি বলেন, ‘দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলে প্রাধান্য পাচ্ছে না। তাই আপনাদের বলি নতুন বছরে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসুন।’
ইশতেহার বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা : আওয়ামী লীগের নতুন বছরে রাজনীতি কেমন হবে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অধিকতর সুগঠিত এবং স্মার্ট একটা দল গড়ে তোলা হবে। দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা আরও মজবুত করা হবে। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সরকারকে অব্যাহত সহযোগিতা দিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ।’
বিআরটিএর দালালদের দৌরাত্ম : বিআরটিএতে দালালের দৌরাত্ম দূর করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কারো কারো দালালদের সঙ্গে যোগসাজশ আছে, এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সড়কে তিন চাকার মোটরযান বন্ধ করতে হবে।’ মোটরযান নির্মাণের কারখানাগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
যত আসন তত যাত্রী : মালিক শ্রমিকদের আবারও স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গাড়িগুলোতে যত আসন তত যাত্রী নিয়ম অবশ্যই মানতে হবে।’ এর ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন বছরে সড়ক ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের যতœবান হতে হবে এবং যাত্রীদের সুরক্ষায় যা যা করার তা করতে হবে।’