দিনাজপুরে শতবর্ষী মঞ্চে নাটক ‘ক্ষত-বিক্ষত’

মুজিববর্ষ চলমান। তার মধ্যে যোগ হয়েছে ইংরেজি নববর্ষ ২০২১। নববর্ষ উপলক্ষে প্রথম দিনে দিনাজপুরে মঞ্চস্থ হলো মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর সময়ে সাধারণ মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী গ্রামীন চেয়ারম্যান কর্তৃক শোষণ ও নির্যাতনের কাহিনী নিয়ে নাটক ‘ক্ষত-বিক্ষত’।

আমাদের থিয়েরটার প্রযোজিত নাটকটি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী নাট্য প্রতিষ্ঠান দিনাজপুর নাট্য সমিতি মঞ্চে মঞ্চস্থ হয়। মমতাজউদ্দিন আহমদের রচনা ও নয়ন বার্টেলের নির্দেশনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন দিনাজপুরের বেশ কয়েকজন প্রবীণ-তরুণ নাট্যকার ও কলাকুশলীরা।

নাটকটির প্রযোজনা অধিকর্তা তারেকুজ্জমান তারেক জানান, ক্ষত-বিক্ষত নাটকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী একজন গ্রামীন চেয়ারম্যান কীভাবে মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর সময়ে সাধারণ মানুষকে শোষণ নির্যাতন চালায় সেই চিত্র উঠে এসেছে।

এই নাটকে চেয়ারম্যান চরিত্রটি ধর্মের খোলসে চুরি, জোৎচুরি, ভণ্ডামি, দখল আর ধর্ষণের মধ্য দিয়ে গ্রামে আতঙ্ক সৃষ্টি করেও বহাল তবিয়তে টিকে থাকে প্রশাসনের সহায়তায়। তার দৃঢ় অবস্থানকে ভেঙে দেয় আদর্শবাদী এক যুবক। সঙ্গে জেড়ে উঠে জনসাধারণ। চেয়ারম্যান গ্রাম থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাজনীতির পলাবদলে সেই চেয়ারম্যানই মন্ত্রী হয়ে গ্রামে ফিরে আসে। রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই সত্যকেই নাট্যকার তুলে এনেছেন। এ নাটকে আদর্শ জনতা শেষ পর্যন্ত জেগে ওঠেন। তারা সবকিছুকে শুদ্ধ করতে প্রাণ দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। এই চেতনাই নাটকের শেষে উপস্থাপিত হয়। আবারও মন্ত্রীবেশী চেয়ারম্যানকে উৎখাতের মধ্যদিয়ে সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিরি বিভিন্ন ঘটনার চমৎকার ইঙ্গিতধর্মী সংলাপের সংযোজনায় কাহিনীর পরিসমাপ্তি ঘটে।

নাটককে যারা অভিনয় করেছেন- সঙ্গ ১ চরিত্রে রাধানুর, সঙ্গ ২ চরিত্রে শাহিন, চেয়ারম্যান চরিত্রে হারুন উর রশিদ, মাস্টার চরিত্রে নয়ন বার্টেল, গুলমোহর চরিত্রে মাধবী কুজুর, আর্দালী চরিত্রে রাহিনুর ইসলাম, ইউএনও চরিত্রে দেবেশ্বর সিং, ছুটকি চরিত্রে আরিয়ানা চৌধুরী, ছুটকীর মা চরিত্রে স্মৃতি, জঞ্জালী চরিত্রে কার্তিক, পাগলী চরিত্রে মীন-আরা পারভীন ডালিয়া, সবরাতি চরিত্রে ইফতেখার চানু, জঞ্জালীর বাবা চরিত্রে ওয়াসিম, জগল্লা চরিত্রে মনোয়ার হোসেন শ্রাবণ ও গ্রামবাসী চরিত্রে তারেকুজ্জামান তারেক, সিয়াম, অভি রনি এবং নোমান।

ঘণ্টাব্যাপী নাটকটি দেখতে বিপুল সংখ্যক নাট্যপ্রেমী দর্শকের সমাগম ঘটে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শকদের ভিতরে প্রবেশ করানো হয়।

image

দিনাজপুর নাট্য সমিতি মঞ্চে পরিবেশিত ‘ক্ষত-বিক্ষত’ নাটকের একটি দৃশ্য -সংবাদ

আরও খবর
দেশীয় কয়লা উত্তোলন থেকে দূরে থাকা আত্মঘাতী নীতি
নির্বাচন এলে অভিযোগের বাক্স খুলে বসে বিএনপি তথ্যমন্ত্রী
বরিশালে করোনা পরীক্ষার আরটি পিসিআর ল্যাব আবারও বন্ধ
বিতর্কিতরা যাতে কমিটিতে আসতে না পারে দল সচেষ্ট থাকবে কাদের
বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা পৌঁছে দিয়েছি ১৪৪টি দেশে : নাজমুন
নারী নেত্রী আয়শা খানমের জীবনাবসান
গত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাংলা সাহিত্যিক শওকত ওসমান
নাট্যব্যক্তিত্ব মীর মুজতবা আলীর জন্মোৎসব
বাঁশখালীতে বঙ্গবন্ধুর নামে সমুদ্র সৈকত ও পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণার দাবি
কম্পিউটার অপারেটর থেকে এজিএম : আড়াই বছরেও তদন্ত শেষ হয়নি
আশ্রয়হীন ১৫৩৪ পরিবার পাচ্ছে স্থায়ী ঠিকানা
ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গৃহবধূ
গণতন্ত্রের ছদ্মবেশে একদলীয় শাসন চলছে ফখরুল

রবিবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২১ , ১৯ পৌষ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

দিনাজপুরে শতবর্ষী মঞ্চে নাটক ‘ক্ষত-বিক্ষত’

চিত্ত ঘোষ, দিনাজপুর

image

দিনাজপুর নাট্য সমিতি মঞ্চে পরিবেশিত ‘ক্ষত-বিক্ষত’ নাটকের একটি দৃশ্য -সংবাদ

মুজিববর্ষ চলমান। তার মধ্যে যোগ হয়েছে ইংরেজি নববর্ষ ২০২১। নববর্ষ উপলক্ষে প্রথম দিনে দিনাজপুরে মঞ্চস্থ হলো মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর সময়ে সাধারণ মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী গ্রামীন চেয়ারম্যান কর্তৃক শোষণ ও নির্যাতনের কাহিনী নিয়ে নাটক ‘ক্ষত-বিক্ষত’।

আমাদের থিয়েরটার প্রযোজিত নাটকটি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী নাট্য প্রতিষ্ঠান দিনাজপুর নাট্য সমিতি মঞ্চে মঞ্চস্থ হয়। মমতাজউদ্দিন আহমদের রচনা ও নয়ন বার্টেলের নির্দেশনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন দিনাজপুরের বেশ কয়েকজন প্রবীণ-তরুণ নাট্যকার ও কলাকুশলীরা।

নাটকটির প্রযোজনা অধিকর্তা তারেকুজ্জমান তারেক জানান, ক্ষত-বিক্ষত নাটকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী একজন গ্রামীন চেয়ারম্যান কীভাবে মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর সময়ে সাধারণ মানুষকে শোষণ নির্যাতন চালায় সেই চিত্র উঠে এসেছে।

এই নাটকে চেয়ারম্যান চরিত্রটি ধর্মের খোলসে চুরি, জোৎচুরি, ভণ্ডামি, দখল আর ধর্ষণের মধ্য দিয়ে গ্রামে আতঙ্ক সৃষ্টি করেও বহাল তবিয়তে টিকে থাকে প্রশাসনের সহায়তায়। তার দৃঢ় অবস্থানকে ভেঙে দেয় আদর্শবাদী এক যুবক। সঙ্গে জেড়ে উঠে জনসাধারণ। চেয়ারম্যান গ্রাম থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাজনীতির পলাবদলে সেই চেয়ারম্যানই মন্ত্রী হয়ে গ্রামে ফিরে আসে। রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই সত্যকেই নাট্যকার তুলে এনেছেন। এ নাটকে আদর্শ জনতা শেষ পর্যন্ত জেগে ওঠেন। তারা সবকিছুকে শুদ্ধ করতে প্রাণ দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। এই চেতনাই নাটকের শেষে উপস্থাপিত হয়। আবারও মন্ত্রীবেশী চেয়ারম্যানকে উৎখাতের মধ্যদিয়ে সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিরি বিভিন্ন ঘটনার চমৎকার ইঙ্গিতধর্মী সংলাপের সংযোজনায় কাহিনীর পরিসমাপ্তি ঘটে।

নাটককে যারা অভিনয় করেছেন- সঙ্গ ১ চরিত্রে রাধানুর, সঙ্গ ২ চরিত্রে শাহিন, চেয়ারম্যান চরিত্রে হারুন উর রশিদ, মাস্টার চরিত্রে নয়ন বার্টেল, গুলমোহর চরিত্রে মাধবী কুজুর, আর্দালী চরিত্রে রাহিনুর ইসলাম, ইউএনও চরিত্রে দেবেশ্বর সিং, ছুটকি চরিত্রে আরিয়ানা চৌধুরী, ছুটকীর মা চরিত্রে স্মৃতি, জঞ্জালী চরিত্রে কার্তিক, পাগলী চরিত্রে মীন-আরা পারভীন ডালিয়া, সবরাতি চরিত্রে ইফতেখার চানু, জঞ্জালীর বাবা চরিত্রে ওয়াসিম, জগল্লা চরিত্রে মনোয়ার হোসেন শ্রাবণ ও গ্রামবাসী চরিত্রে তারেকুজ্জামান তারেক, সিয়াম, অভি রনি এবং নোমান।

ঘণ্টাব্যাপী নাটকটি দেখতে বিপুল সংখ্যক নাট্যপ্রেমী দর্শকের সমাগম ঘটে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শকদের ভিতরে প্রবেশ করানো হয়।