মামলাজট কমাতে চাই সমন্বিত উদ্যোগ

২০২১ সালের মধ্যে মামলাজট ছয় লাখ কমিয়ে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। দেশের আদালতগুলোতে অমীমাংসিত মামলা আছে প্রায় ৩৮ লাখ। মামলাজট কমিয়ে সংখ্যাটা ৩২ লাখে নামানোর লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে।

২০২০ সালের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মামলাজট কমানোর কথা ছিল। মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। সরকার দীর্ঘদিন ধরেই মামলাজট কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। তবে এ পদ্ধতিতে মামলাজট কাক্সিক্ষত হারে কমেছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আইনমন্ত্রী অবশ্য এবারও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিয়েছেন।

মামলাজট সমস্যা একদিনে তৈরি হয়নি, এটি বহু বছরের পুঞ্জিভূত সমস্যা। আশার কথা বর্তমান সরকার মামলাজট সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হয়েছে। তবে শুধু এডিআর পদ্ধতি অনুসরণ করে লাখ লাখ মামলা জট কমানো কঠিন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মামলার তুলনায় দেশে এখনও বিচারক কম। বিচারকরা বলছেন, দেওয়ানি কার্যবিধিতে সামান্য কারণে উচ্চআদালতে রিভিশন আপিল করার সুযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও পক্ষগণের কারও কারও মধ্যে ইচ্ছাকৃত সময়ক্ষেপণের প্রবণতা রয়েছে। এসব কারণেও মামলা নিষ্পত্তিতে দেরি হয়। কাজেই মামলাজট কাক্সিক্ষত হারে কমাতে হলে এসব বিষয়ে নজর দিতে হবে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন করার জন্য বিচারক ও আইনজীবীদের অনুরোধ করেছেন। তিনি তখন বলেছিলেন, এর জন্য যদি কোন রকম সহযোগিতা প্রয়োজন হয় সেটা সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে।

আমরা চাই, মামলাজটের অবসান ঘটুক। সেটা হলে বিচারপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে মানুষের ভোগান্তি দূর হবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।

রবিবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২১ , ১৯ পৌষ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

মামলাজট কমাতে চাই সমন্বিত উদ্যোগ

২০২১ সালের মধ্যে মামলাজট ছয় লাখ কমিয়ে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। দেশের আদালতগুলোতে অমীমাংসিত মামলা আছে প্রায় ৩৮ লাখ। মামলাজট কমিয়ে সংখ্যাটা ৩২ লাখে নামানোর লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে।

২০২০ সালের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মামলাজট কমানোর কথা ছিল। মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। সরকার দীর্ঘদিন ধরেই মামলাজট কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। তবে এ পদ্ধতিতে মামলাজট কাক্সিক্ষত হারে কমেছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আইনমন্ত্রী অবশ্য এবারও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিয়েছেন।

মামলাজট সমস্যা একদিনে তৈরি হয়নি, এটি বহু বছরের পুঞ্জিভূত সমস্যা। আশার কথা বর্তমান সরকার মামলাজট সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হয়েছে। তবে শুধু এডিআর পদ্ধতি অনুসরণ করে লাখ লাখ মামলা জট কমানো কঠিন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মামলার তুলনায় দেশে এখনও বিচারক কম। বিচারকরা বলছেন, দেওয়ানি কার্যবিধিতে সামান্য কারণে উচ্চআদালতে রিভিশন আপিল করার সুযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও পক্ষগণের কারও কারও মধ্যে ইচ্ছাকৃত সময়ক্ষেপণের প্রবণতা রয়েছে। এসব কারণেও মামলা নিষ্পত্তিতে দেরি হয়। কাজেই মামলাজট কাক্সিক্ষত হারে কমাতে হলে এসব বিষয়ে নজর দিতে হবে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন করার জন্য বিচারক ও আইনজীবীদের অনুরোধ করেছেন। তিনি তখন বলেছিলেন, এর জন্য যদি কোন রকম সহযোগিতা প্রয়োজন হয় সেটা সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে।

আমরা চাই, মামলাজটের অবসান ঘটুক। সেটা হলে বিচারপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে মানুষের ভোগান্তি দূর হবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।