সড়ক খোঁড়াখুঁড়িতে নীতিমালা কেন উপেক্ষিত

সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সৃষ্ট জনভোগান্তি এড়াতে ‘সড়ক খনন নীতিমালা-২০১৯’ করা হয়েছিল। কিন্তু ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ি চলছে নীতিমালা না মেনেই। সড়কের খোঁড়া অংশে বালু ভরাট, স্টিল শিট, নিরাপত্তাবেষ্টনী এবং সাইনবোর্ড ব্যবহার করা সাপেক্ষে অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু খোঁড়াখুঁড়ির সময় সড়কের অর্ধেক অংশজুড়েই মাটি, বালু, ইট ফেলে রাখা হচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে না কোন ধরনের নিরাপত্তাবেষ্টনীও। এতে যেমন জনদুর্ভোগ বেড়েছে তেমনি বাড়ছে বায়ুদূষণের মাত্রা। ঘটছে দুর্ঘটনা, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

মূলত সমন্বয়হীনতা ও জবাবদিহিতার অভাবেই এ ধরনের নাগরিক বিড়ম্বনা বাড়ছে। খননকাজে কোন সিডিউল পরিকল্পনা না থাকায় সমন্বয়ও নেই। উন্নত দেশে বারবার সড়ক কাটা হয় না। একটা এলাকার মানুষের চাহিদা কী হতে পারে, তা আগেই তারা ঠিক করে। কিন্তু আমাদের দেশে এটা করা হয়নি। সড়ক পুনর্নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যে অন্য সংস্থার খোঁড়াখুঁড়ির বিষয় নিয়মিত ঘটছে। যদি এক খননেই ওয়াসা, ডেসকো, তিতাস তাদের কাজ শেষ করে নিত তাহলে সমস্যা হতো না।

সড়ক অন্য সংস্থা খুঁড়লেও তা সংস্কারের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। এক্ষেত্রে যথাযথ তদারকি হচ্ছে না বলেই সংস্থাগুলো অনিয়ম করার সুযোগ পাচ্ছে। প্রশ্ন হলো, সড়ক খনন নীতিমালা অমান্য করায় ঠিকাদারদের কেন জরিমানা করা হচ্ছে না?

উল্লিখিত নীতিমালা বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশনসহ সরকারি সব সংস্থার আন্তরিকতা প্রয়োজন। সংস্থাগুলোকে তাদের নিয়োজিত ঠিকাদারদের নীতিমালা মেনে কাজ করার নির্দেশনা দিতে হবে। নীতিমালার কোন শর্তের ব্যত্যয় হলে ঠিকাদারকে জরিমানা বা শাস্তি দিতে হবে।

রবিবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২১ , ১৯ পৌষ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

সড়ক খোঁড়াখুঁড়িতে নীতিমালা কেন উপেক্ষিত

সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সৃষ্ট জনভোগান্তি এড়াতে ‘সড়ক খনন নীতিমালা-২০১৯’ করা হয়েছিল। কিন্তু ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ি চলছে নীতিমালা না মেনেই। সড়কের খোঁড়া অংশে বালু ভরাট, স্টিল শিট, নিরাপত্তাবেষ্টনী এবং সাইনবোর্ড ব্যবহার করা সাপেক্ষে অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু খোঁড়াখুঁড়ির সময় সড়কের অর্ধেক অংশজুড়েই মাটি, বালু, ইট ফেলে রাখা হচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে না কোন ধরনের নিরাপত্তাবেষ্টনীও। এতে যেমন জনদুর্ভোগ বেড়েছে তেমনি বাড়ছে বায়ুদূষণের মাত্রা। ঘটছে দুর্ঘটনা, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

মূলত সমন্বয়হীনতা ও জবাবদিহিতার অভাবেই এ ধরনের নাগরিক বিড়ম্বনা বাড়ছে। খননকাজে কোন সিডিউল পরিকল্পনা না থাকায় সমন্বয়ও নেই। উন্নত দেশে বারবার সড়ক কাটা হয় না। একটা এলাকার মানুষের চাহিদা কী হতে পারে, তা আগেই তারা ঠিক করে। কিন্তু আমাদের দেশে এটা করা হয়নি। সড়ক পুনর্নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যে অন্য সংস্থার খোঁড়াখুঁড়ির বিষয় নিয়মিত ঘটছে। যদি এক খননেই ওয়াসা, ডেসকো, তিতাস তাদের কাজ শেষ করে নিত তাহলে সমস্যা হতো না।

সড়ক অন্য সংস্থা খুঁড়লেও তা সংস্কারের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। এক্ষেত্রে যথাযথ তদারকি হচ্ছে না বলেই সংস্থাগুলো অনিয়ম করার সুযোগ পাচ্ছে। প্রশ্ন হলো, সড়ক খনন নীতিমালা অমান্য করায় ঠিকাদারদের কেন জরিমানা করা হচ্ছে না?

উল্লিখিত নীতিমালা বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশনসহ সরকারি সব সংস্থার আন্তরিকতা প্রয়োজন। সংস্থাগুলোকে তাদের নিয়োজিত ঠিকাদারদের নীতিমালা মেনে কাজ করার নির্দেশনা দিতে হবে। নীতিমালার কোন শর্তের ব্যত্যয় হলে ঠিকাদারকে জরিমানা বা শাস্তি দিতে হবে।