আশুগঞ্জে শিয়ালের কামড়ে আহত অর্ধশত : রাত জেগে পাহারা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে শিয়ালের কামড়ে অন্তত অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের তাঁজপুর গ্রামের বসতবাড়ি গিয়ে হঠাৎ করে দুটি শিয়াল উঠে স্থানীয়রা কিছু বুঝার আগেই গ্রামের অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ শিশুকে কামড়িয়ে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র আতংক বিরাজ করে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা মিলে দুটি শিয়ালের মধ্যে একটি শিয়াল পিটিয়ে মেরে ফেলে। আহতদের মধ্যে অধিকাংশরাই নারী ও শিশু। আহতদের মধ্যে ৩২ জনকে জেলা শহরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল (সদর) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা হলেন-গোলাপ মিয়া (৩০), মামুন (২৪), কাদির (৩০), আশরাফুল ইসলাম (১২), নায়েব আলী (৩৫), সেফালী (১৪), ওয়াসিম (১৬), রাজু মিয়া (১৫), আকরাম (১৬), হারুন মিয়া (৫০), বাদশা মিয়া (৩০), হৃদয় (১৮), মাতব মিয়া (৪০), সুহেদা (৩৫), মাইনুদ্দিন (২৫), ফৌজিয়া আক্তার (৬), হেলাল উদ্দিন (৫৫), লাকি আক্তার (২৫), শান্তা (১৮), আশরাফুল মিয়া (১৫), কাদির মিয়া (৩০), জুতি (১২), জজ মিয়া (৬০), রাসেদা (৩০), নিলুফা বেগম (৩৫), মামুন (২০), ইয়ার হোসেন(২২), হোসেন মিয়া (২৫), সাইদুর রহমান (৫০), তানিয়া বেগম (২৭), সামসেদ (৩৫), কুদরত মিয়া (৩৪) প্রমুখ। আহত সবাই একই গ্রামের বলে যানা যায়।

এদিকে, রাত থেকে শিয়াল আতংকে স্থানীয় এলাকাবাসী লাঠি সোটা নিয়ে রাত জেগে পাহাড়া দিয়েছে। তাঁজপুর গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী হারুন মিয়া বলেন, রাত ৮টার দিকে আমার ভাই আর ভাতিজি বাড়ির উঠানে দাঁড়ানো ছিল। হঠাৎ একটি শিয়াল আমার ভাই ও ভাতিজিকে কামড়িয়ে পালিয়ে যায়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশী গোলাপ মিয়া এগিয়ে এসে একটি শিয়ালকে ঝাপটিয়ে ধরলে সবাই গিয়ে শিয়ালটি পিটিয়ে মেরে ফেলে। বাকি আর একটি শিয়াল পালিয়ে যায়।

হাসপাতালের ততত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন জানান, হাসপাতালে ৩২ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন টিকা দেয়া হয়েছে। বাকিদেরকে জলাতঙ্ক রোগের টিকা দেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২১ , ২০ পৌষ ১৪২৭, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

আশুগঞ্জে শিয়ালের কামড়ে আহত অর্ধশত : রাত জেগে পাহারা

জেলা বার্তা পরিবেশক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে শিয়ালের কামড়ে অন্তত অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের তাঁজপুর গ্রামের বসতবাড়ি গিয়ে হঠাৎ করে দুটি শিয়াল উঠে স্থানীয়রা কিছু বুঝার আগেই গ্রামের অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ শিশুকে কামড়িয়ে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র আতংক বিরাজ করে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা মিলে দুটি শিয়ালের মধ্যে একটি শিয়াল পিটিয়ে মেরে ফেলে। আহতদের মধ্যে অধিকাংশরাই নারী ও শিশু। আহতদের মধ্যে ৩২ জনকে জেলা শহরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল (সদর) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা হলেন-গোলাপ মিয়া (৩০), মামুন (২৪), কাদির (৩০), আশরাফুল ইসলাম (১২), নায়েব আলী (৩৫), সেফালী (১৪), ওয়াসিম (১৬), রাজু মিয়া (১৫), আকরাম (১৬), হারুন মিয়া (৫০), বাদশা মিয়া (৩০), হৃদয় (১৮), মাতব মিয়া (৪০), সুহেদা (৩৫), মাইনুদ্দিন (২৫), ফৌজিয়া আক্তার (৬), হেলাল উদ্দিন (৫৫), লাকি আক্তার (২৫), শান্তা (১৮), আশরাফুল মিয়া (১৫), কাদির মিয়া (৩০), জুতি (১২), জজ মিয়া (৬০), রাসেদা (৩০), নিলুফা বেগম (৩৫), মামুন (২০), ইয়ার হোসেন(২২), হোসেন মিয়া (২৫), সাইদুর রহমান (৫০), তানিয়া বেগম (২৭), সামসেদ (৩৫), কুদরত মিয়া (৩৪) প্রমুখ। আহত সবাই একই গ্রামের বলে যানা যায়।

এদিকে, রাত থেকে শিয়াল আতংকে স্থানীয় এলাকাবাসী লাঠি সোটা নিয়ে রাত জেগে পাহাড়া দিয়েছে। তাঁজপুর গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী হারুন মিয়া বলেন, রাত ৮টার দিকে আমার ভাই আর ভাতিজি বাড়ির উঠানে দাঁড়ানো ছিল। হঠাৎ একটি শিয়াল আমার ভাই ও ভাতিজিকে কামড়িয়ে পালিয়ে যায়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশী গোলাপ মিয়া এগিয়ে এসে একটি শিয়ালকে ঝাপটিয়ে ধরলে সবাই গিয়ে শিয়ালটি পিটিয়ে মেরে ফেলে। বাকি আর একটি শিয়াল পালিয়ে যায়।

হাসপাতালের ততত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন জানান, হাসপাতালে ৩২ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন টিকা দেয়া হয়েছে। বাকিদেরকে জলাতঙ্ক রোগের টিকা দেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।