শুরু হয়েছে শীতের মৌসুম। শীতের তীব্রতাকে পুঁজি করে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার হাটে-বাজারে ও সড়কের ফুটপাতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নানা রংয়ের গরম কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছে।
লাকসাম পৌরশহরের বিভিন্ন বিপণী বিতান ও সড়কের ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকদের রীতিমতো ভিড় জমে উঠেছে। সাধারণত এ অঞ্চলের ভাদ্র মাসের বড় অমাবস্যার পর থেকে শীতের হাওয়া বইতে শুরু করলেও তীব্রতা বাড়তে থাকবে চলমান পৌষ মাসের শেষদিকে।
পৌষ ও মাঘ মাসে তা তীব্ররূপ নেয়। শহরের বিপণী বিতানগুলোতে বেশি দামে কেনা সমর্থ না থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের ভিড় পুরানো শীতের বস্ত্রের দোকানে। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গরম পোষাকেরও চাহিদা বাড়ছে। বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা যায় বাজারে প্রচুর গরম কাপড় আমদানি হলেও দাম বেশি হওয়ায় দরিদ্র মানুষ ক্রয় করতে পারছে না।
লাকসাম শীতবস্ত্রের পাইকারি ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ জানান, বর্তমান দেশের অদৃশ্য করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতি ও নানাহ কারণে বিরুপ প্রভাব শীতের পোশাকের বাজারে। খুচরা বাজার না জমলেও এখন পাইকারি বাজার কিছুটা জমজমাট। পাইকারি দামের সঙ্গে পরিবহন খরচসহ শীতবস্ত্রের দাম অনেকটা বাড়তি।
লাকসাম রেলওয়ে জংশন বাজারের শীত বস্ত্র ব্যবসায়ীরা জানান, বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশি-বিদেশি শীতের পোশাকের জন্য জেলার বাহির থেকে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় গরম কাপড় বেচাকেনার হাট জমতো এখানে। বর্তমানে প্রধান মোকাম চট্টগ্রামে পাইকারি দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা মালামাল সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছে। অপরদিকে দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতার উপস্থিতিও অনেকটা কম।
স্থানীয় পৌর হাটবাজার ব্যবসায়ীরা জানায়, এখানে ক্রেতা-বিক্রেতারা নিবিঘ্নে কেনাকাটা করছে। লাকসামে বিপণিবিতানসহ অলি-গলিতে গড়ে উঠা ছোট বড় মার্কেট ঘুরে দেখা যায় সো-কেইচে প্রচুর দেশি-বিদেশি শীতের পোশাক শোভা পাচ্ছে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জমে উঠেছে।
চাউল বাজার, রেললাইন, বাইপাস, চৌদ্দগ্রাম রোড, রাজঘাট, জংশন বাজার, মনোহরগঞ্জের-নাথেরপেটুয়া, খিলাবাজার, বিপুলাসার, লক্ষনপুর ও উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাটে বিপণিবিতান এমনকি ফুটপাতে শীতবস্ত্রের বিক্রি জমে উঠেছে। বড় মার্কেটে দাম বেশি হওয়ায় নিম্নœ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা ফুটপাতের দিকে ঝুঁকছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শীত বস্ত্র কিনতে আসা জাহাঙ্গীর আলম, কামাল হোসেন, আবুল কালাম , আলমগীর, জালাল মিয়া জানান, শীত পড়তে শুরু করায় পরিবারের সদস্যদের জন্য গরম কাপড় কিনতে এসেছি। ছোট বাচ্চার জেকেট এক দোকানে ৩০০, অন্য দোকানে ৮০০ টাকা দাম হাকা হচ্ছে। আবার অন্য দোকানে তা ৪০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
সোমবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২১ , ২০ পৌষ ১৪২৭, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
প্রতিনিধি, লাকসাম (কুমিল্লা)
শুরু হয়েছে শীতের মৌসুম। শীতের তীব্রতাকে পুঁজি করে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার হাটে-বাজারে ও সড়কের ফুটপাতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নানা রংয়ের গরম কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছে।
লাকসাম পৌরশহরের বিভিন্ন বিপণী বিতান ও সড়কের ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকদের রীতিমতো ভিড় জমে উঠেছে। সাধারণত এ অঞ্চলের ভাদ্র মাসের বড় অমাবস্যার পর থেকে শীতের হাওয়া বইতে শুরু করলেও তীব্রতা বাড়তে থাকবে চলমান পৌষ মাসের শেষদিকে।
পৌষ ও মাঘ মাসে তা তীব্ররূপ নেয়। শহরের বিপণী বিতানগুলোতে বেশি দামে কেনা সমর্থ না থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের ভিড় পুরানো শীতের বস্ত্রের দোকানে। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গরম পোষাকেরও চাহিদা বাড়ছে। বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা যায় বাজারে প্রচুর গরম কাপড় আমদানি হলেও দাম বেশি হওয়ায় দরিদ্র মানুষ ক্রয় করতে পারছে না।
লাকসাম শীতবস্ত্রের পাইকারি ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ জানান, বর্তমান দেশের অদৃশ্য করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতি ও নানাহ কারণে বিরুপ প্রভাব শীতের পোশাকের বাজারে। খুচরা বাজার না জমলেও এখন পাইকারি বাজার কিছুটা জমজমাট। পাইকারি দামের সঙ্গে পরিবহন খরচসহ শীতবস্ত্রের দাম অনেকটা বাড়তি।
লাকসাম রেলওয়ে জংশন বাজারের শীত বস্ত্র ব্যবসায়ীরা জানান, বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশি-বিদেশি শীতের পোশাকের জন্য জেলার বাহির থেকে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় গরম কাপড় বেচাকেনার হাট জমতো এখানে। বর্তমানে প্রধান মোকাম চট্টগ্রামে পাইকারি দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা মালামাল সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছে। অপরদিকে দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতার উপস্থিতিও অনেকটা কম।
স্থানীয় পৌর হাটবাজার ব্যবসায়ীরা জানায়, এখানে ক্রেতা-বিক্রেতারা নিবিঘ্নে কেনাকাটা করছে। লাকসামে বিপণিবিতানসহ অলি-গলিতে গড়ে উঠা ছোট বড় মার্কেট ঘুরে দেখা যায় সো-কেইচে প্রচুর দেশি-বিদেশি শীতের পোশাক শোভা পাচ্ছে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জমে উঠেছে।
চাউল বাজার, রেললাইন, বাইপাস, চৌদ্দগ্রাম রোড, রাজঘাট, জংশন বাজার, মনোহরগঞ্জের-নাথেরপেটুয়া, খিলাবাজার, বিপুলাসার, লক্ষনপুর ও উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাটে বিপণিবিতান এমনকি ফুটপাতে শীতবস্ত্রের বিক্রি জমে উঠেছে। বড় মার্কেটে দাম বেশি হওয়ায় নিম্নœ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা ফুটপাতের দিকে ঝুঁকছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শীত বস্ত্র কিনতে আসা জাহাঙ্গীর আলম, কামাল হোসেন, আবুল কালাম , আলমগীর, জালাল মিয়া জানান, শীত পড়তে শুরু করায় পরিবারের সদস্যদের জন্য গরম কাপড় কিনতে এসেছি। ছোট বাচ্চার জেকেট এক দোকানে ৩০০, অন্য দোকানে ৮০০ টাকা দাম হাকা হচ্ছে। আবার অন্য দোকানে তা ৪০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।