পরীক্ষা নয় লটারির মাধ্যমে ভর্তির নির্দেশ

করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লটারির পরিবর্তে গোপনে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর লটারির বিষয়টি ফের মনে করিয়ে দিয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সর্তক করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদফর (মাউশি)।

গতকাল মাউশি’র এ সংক্রান্ত এক আদেশে বলা হয়েছে, ‘২০২১ সালের লটারি মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগের জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করছেন না, যা অনভিপ্রেত।’

মাউশির পরিচালক প্রফেসর বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘করোনার কারণে সর্বস্তরে লটারির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব লটারির ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করে প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০২১ সালের লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আগের জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করছেন না, যা অনভিপ্রেত।’

মাউশি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন স্কুলে লটারি না করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ঢেকে এনে ভর্তি পরীক্ষা, ভাইভা নেয়া হচ্ছে। এমন অভিযোগ মাউশি অধিদফরে আসার পর এমন নির্দেশনা দেয়া হলো। এর আগে ১২ ডিসেম্বর ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত লটারিতে ভর্তির নির্দেশনা জারি করে মাউশি।

মাউশির উপ-পরিদর্শক এনামুল হক হাওলাদার স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ ভাইরাসজনিত কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তির জন্য লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কার্যক্রম লটারির মাধ্যমে পরিচালনা করবে। ভর্তির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।’

নির্দেশনা

মাউশি’র নির্দেশনা অনুযায়ী, লটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লটারি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে। লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ, বিদ্যালয়ের ভর্তি পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক প্রতিনিধি, ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে নিশ্চিত করতে হবে। জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে লটারির প্রক্রিয়াটি ফেসবুক লাইভে অথবা অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বোপরি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়াটি যেন কোনভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২১ , ২০ পৌষ ১৪২৭, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

করোনার কারণে

পরীক্ষা নয় লটারির মাধ্যমে ভর্তির নির্দেশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লটারির পরিবর্তে গোপনে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর লটারির বিষয়টি ফের মনে করিয়ে দিয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সর্তক করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদফর (মাউশি)।

গতকাল মাউশি’র এ সংক্রান্ত এক আদেশে বলা হয়েছে, ‘২০২১ সালের লটারি মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগের জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করছেন না, যা অনভিপ্রেত।’

মাউশির পরিচালক প্রফেসর বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘করোনার কারণে সর্বস্তরে লটারির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব লটারির ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করে প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০২১ সালের লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আগের জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করছেন না, যা অনভিপ্রেত।’

মাউশি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন স্কুলে লটারি না করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ঢেকে এনে ভর্তি পরীক্ষা, ভাইভা নেয়া হচ্ছে। এমন অভিযোগ মাউশি অধিদফরে আসার পর এমন নির্দেশনা দেয়া হলো। এর আগে ১২ ডিসেম্বর ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত লটারিতে ভর্তির নির্দেশনা জারি করে মাউশি।

মাউশির উপ-পরিদর্শক এনামুল হক হাওলাদার স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ ভাইরাসজনিত কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তির জন্য লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কার্যক্রম লটারির মাধ্যমে পরিচালনা করবে। ভর্তির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।’

নির্দেশনা

মাউশি’র নির্দেশনা অনুযায়ী, লটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লটারি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে। লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ, বিদ্যালয়ের ভর্তি পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক প্রতিনিধি, ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে নিশ্চিত করতে হবে। জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে লটারির প্রক্রিয়াটি ফেসবুক লাইভে অথবা অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বোপরি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়াটি যেন কোনভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।