গত রোববার মতো গতকালও উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। বৃহৎ শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ২১ শত কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গতকাল ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৩.৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৫২.৩২ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১২.৮২ পয়েন্ট এবং ১২.১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২০৯১.৭৮ পয়েন্টে এবং ১১৮৬.১৬ পয়েন্টে। তবে শরিয়াহ সূচক ১.৬৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৭.৮৭ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৯৩ কোটি ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট যা আগের দিন থেকে ২৬৭ কোটি ২৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯২৫ কোটি ৭৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৬২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৭টির বা ৪৩.৩৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৪২টির বা ৩৯.২২ শতাংশের এবং ৬৩টি বা ১৭.৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১০৭.২১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩৭২.৩৯ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাতবদল হওয়া ২৯১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৪৭টির, কমেছে ১০৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির দর। গতকাল সিএসইতে ৮১ কোটি ৫০ লাখ ১৩ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই ব্লক মার্কেট ৩১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ১৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৬০ লাখ ৯৭ হাজার ৪২৬টি শেয়ার ৮২ বার হাতবদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১৯ কোটি ৪১ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়ছে এসএস স্টিলের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার টাকার রবির এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৯৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের।

এছাড়া অ্যাকটিভ ফাইনের ৪৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, অ্যাডভেন্ট ফার্মার ৫ লাখ ৩ হাজার টাকার, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ১ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের ৫ লাখ ১৮ হাাজর টাকার, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডের ৮৮ লাখ ৮২ হাজার টাকার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৩১ লাখ ৭৪ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ৮৪ লাখ ২৭ হাজার টাকার, ডরিন পাওয়ারের ২৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ৫ লাখ ৭ হাজার টাকার, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রোর ৫ লাখ ৫ হাজার টাকার, গ্রিনডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ডের ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকার, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ৫ লাখ ১ হাজার টাকার, মোজাফফর হোসাইন স্পিনিংয়ের ১৬ লাখ টাকার, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১ কোটি ৪৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিডের ৬ লাখ ১০ হাজার টাকার।