সাতক্ষীরার পিয়াজ চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে

ভারতীয় পিয়াজ আমদানি হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে সাতক্ষীরার পিয়াজ চাষিরা। উৎপাদন খরচই তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে পিয়াজ চাষে অনুৎসাহিত হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিকভাবে পিয়াজ চাষ খুব সীমিত আকারে হয়। এ বছর ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ার পর লাভের আশায় বাণিজ্যিকভাবে বেশ কিছু এলাকায় কাটি পিয়াজ চাষ হয়। পোক্ত না হলেও দাম পাওয়ার আশায় আগেভাগে তুলতে থাকেন চাষিরা। দামও পেয়েছেন ১ হাজার ২শ’ থেকে পাঁচ শ’ টাকা। তবে ২৮ ডিসেম্বর ভারতীয় পিয়াজ রফতানির ঘোষণায় দাম কমতে থাকে দেশি পিয়াজের। এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। তালা উপজেলার ধান্দিয়া গ্রামের পিয়াজ চাষি রিয়াজুল ইসলাম জানান, তিনি ৩৫ কাটা জমিতে পিয়াজ চাষ করেছেন। লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে তার। ৩৫ কাটা জমিতে ৮০ মনের মতো পিয়াজ তিনি তুলতে পারবেন। ভারত থেকে পিয়াজ আসার ফলে হুহু করে নামছে পিয়াজের বাজার। বর্তমানে বাজার দর প্রতিমণ হাজার টাকারও কম। এত পরিশ্রম করেও তিনি ২০-৩০ হাজার টাকা লোকসান গুণবেন। একই এলাকার আব্বাস আলী জানান, উৎপাদক পর্যায়ে যাতে ন্যায্যমূল্য পায়, সরকারের সেদিকে নজর দেয়া উচিত। নইলে আগামীতে পিয়াজ চাষে উৎসাহ হারাবেন চাষিরা। এছাড়া ভোক্তাদেরও স্মরণ রাখা উচিত ভারতের পিয়াজ রান্নায় যেখানে ১ কেজি লাগে, বাংলাদেশের পিয়াজ সেখানে মাত্র ৫শ’ গ্রামে চলে। একই উপজেলার মৌলভীবাজারের আড়তদার রোকনুজ্জামান জানান, সপ্তাহখানেক আগেও দেশি পিয়াজের মূল্য ছিল ৩৫-৪০ টাকা। শনিবার ভারত থেকে পিয়াজ আসার খবরে এখন দেশি পিয়াজের দাম কমে ২৮-৩০ টাকায় পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২১ , ২১ পৌষ ১৪২৭, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

ভারতীয় পিয়াজ আমদানি

সাতক্ষীরার পিয়াজ চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

ভারতীয় পিয়াজ আমদানি হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে সাতক্ষীরার পিয়াজ চাষিরা। উৎপাদন খরচই তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে পিয়াজ চাষে অনুৎসাহিত হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিকভাবে পিয়াজ চাষ খুব সীমিত আকারে হয়। এ বছর ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ার পর লাভের আশায় বাণিজ্যিকভাবে বেশ কিছু এলাকায় কাটি পিয়াজ চাষ হয়। পোক্ত না হলেও দাম পাওয়ার আশায় আগেভাগে তুলতে থাকেন চাষিরা। দামও পেয়েছেন ১ হাজার ২শ’ থেকে পাঁচ শ’ টাকা। তবে ২৮ ডিসেম্বর ভারতীয় পিয়াজ রফতানির ঘোষণায় দাম কমতে থাকে দেশি পিয়াজের। এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। তালা উপজেলার ধান্দিয়া গ্রামের পিয়াজ চাষি রিয়াজুল ইসলাম জানান, তিনি ৩৫ কাটা জমিতে পিয়াজ চাষ করেছেন। লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে তার। ৩৫ কাটা জমিতে ৮০ মনের মতো পিয়াজ তিনি তুলতে পারবেন। ভারত থেকে পিয়াজ আসার ফলে হুহু করে নামছে পিয়াজের বাজার। বর্তমানে বাজার দর প্রতিমণ হাজার টাকারও কম। এত পরিশ্রম করেও তিনি ২০-৩০ হাজার টাকা লোকসান গুণবেন। একই এলাকার আব্বাস আলী জানান, উৎপাদক পর্যায়ে যাতে ন্যায্যমূল্য পায়, সরকারের সেদিকে নজর দেয়া উচিত। নইলে আগামীতে পিয়াজ চাষে উৎসাহ হারাবেন চাষিরা। এছাড়া ভোক্তাদেরও স্মরণ রাখা উচিত ভারতের পিয়াজ রান্নায় যেখানে ১ কেজি লাগে, বাংলাদেশের পিয়াজ সেখানে মাত্র ৫শ’ গ্রামে চলে। একই উপজেলার মৌলভীবাজারের আড়তদার রোকনুজ্জামান জানান, সপ্তাহখানেক আগেও দেশি পিয়াজের মূল্য ছিল ৩৫-৪০ টাকা। শনিবার ভারত থেকে পিয়াজ আসার খবরে এখন দেশি পিয়াজের দাম কমে ২৮-৩০ টাকায় পৌঁছেছে।