ছেলের বিরুদ্ধে বাবার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ

ঢাকার দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের সুন্দরীপাড়া এলাকায় নিজ জমি বন্টনের পর থেকে বড় ছেলের কাছে চলাচলের জন্য একটি রাস্তা দাবি করে বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় বাবা মো. নবিউল হক । তিনি জানান, আমার তিন ছেলেদের মাঝে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি বন্টন করে দেই। আমার ছোট ছেলে ফয়সাল প্রবাসে থাকে এবং আমি তার সাথে বসবাস করি। জমি বন্টনের সময় কথা ছিলো সামনের অংশে যে ব্যবহার করবে পেছনে থাকা ছোট ছেলেকে চলাচলের রাস্তা দেয়া হবে। এই শর্তে রাজি হয়ে পরবর্তীতে আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয় বড় ছেলে তারিকুল ইসলাম হারেস। তিনি আরও বলেন, ছোট থেকে লালন পালন করে বড় করেছি, আজ সেই ছেলে আমার যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। এ ব্যপারে ছোট ছেলে ফয়সাল আহমেদের স্ত্রী তানিয়া বাবলি জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা অবরুদ্ধ হয়ে আছি একটি রাস্তা না থাকার কারণে। তিনি বলেন, তারিকুল ইসলাম যখন নিজের বাড়িতে রাস্তা নেয় আমরা বলেছিলাম প্রয়োজনে আমরা টাকা দিয়ে জমির দাম দেই তবুও আমাদের রাস্তা দিন। তবুও আমাদের কোনো রাস্তা দেয়নি,বর্ষার সময় আমরা বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে যাতায়াতসহ বসবাস করি। তারিকুলের বাড়িতে হামলার বিষয়ে বাবলি বলেন, মাঝে মাঝে বহিরাগতদের দিয়ে তারা নিজেদের বাড়িঘর ভাংচুর করে এখন আমাদের হয়রানি করার চেষ্টা করছে। এছাড়া সম্প্রতি বহিরাগতদের দিয়ে আবারো মাটি কেটে আমাদের চলাচল বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমরা এর প্রতিকার চাই। এবিষয়ে তারিকুল ইসলাম হারেস বলেন, সামনের অংশে আমি চলাচালের জন্য এক শতাংশ জমি ক্রয় করে রস্তা নির্মাণ করেছি। আমার ক্রয়কৃত জমি থেকে কেন তাদের রাস্তা দেব। হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাকে জিম্মি করে আমার বসতবাড়ি ভাংচুর করেছে বহিরাগতরা। বিরোধের বিষয়ে কুসুমহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন আজাদ বলেন, এই রাস্তা নিয়ে সামাজিকভাবে বসা হলে বড় ভাই তারিকুল ইসলাম হারেসের জমির দাম দিয়ে দিতে বলা হয়েছিল এবং এর বিনিময়ে তাকে ফয়সালের কিছু জমিও দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। বড় ভাই টাকা ও জমি না নিয়ে উল্টো ছোট ভায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান অবগত রয়েছেন। হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি।

এমন ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয়।

মঙ্গলবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২১ , ২১ পৌষ ১৪২৭, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

ছেলের বিরুদ্ধে বাবার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ

প্রতিনিধি, নবাবগঞ্জ (ঢাকা)

image

ঢাকার দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের সুন্দরীপাড়া এলাকায় নিজ জমি বন্টনের পর থেকে বড় ছেলের কাছে চলাচলের জন্য একটি রাস্তা দাবি করে বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় বাবা মো. নবিউল হক । তিনি জানান, আমার তিন ছেলেদের মাঝে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি বন্টন করে দেই। আমার ছোট ছেলে ফয়সাল প্রবাসে থাকে এবং আমি তার সাথে বসবাস করি। জমি বন্টনের সময় কথা ছিলো সামনের অংশে যে ব্যবহার করবে পেছনে থাকা ছোট ছেলেকে চলাচলের রাস্তা দেয়া হবে। এই শর্তে রাজি হয়ে পরবর্তীতে আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয় বড় ছেলে তারিকুল ইসলাম হারেস। তিনি আরও বলেন, ছোট থেকে লালন পালন করে বড় করেছি, আজ সেই ছেলে আমার যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। এ ব্যপারে ছোট ছেলে ফয়সাল আহমেদের স্ত্রী তানিয়া বাবলি জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা অবরুদ্ধ হয়ে আছি একটি রাস্তা না থাকার কারণে। তিনি বলেন, তারিকুল ইসলাম যখন নিজের বাড়িতে রাস্তা নেয় আমরা বলেছিলাম প্রয়োজনে আমরা টাকা দিয়ে জমির দাম দেই তবুও আমাদের রাস্তা দিন। তবুও আমাদের কোনো রাস্তা দেয়নি,বর্ষার সময় আমরা বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে যাতায়াতসহ বসবাস করি। তারিকুলের বাড়িতে হামলার বিষয়ে বাবলি বলেন, মাঝে মাঝে বহিরাগতদের দিয়ে তারা নিজেদের বাড়িঘর ভাংচুর করে এখন আমাদের হয়রানি করার চেষ্টা করছে। এছাড়া সম্প্রতি বহিরাগতদের দিয়ে আবারো মাটি কেটে আমাদের চলাচল বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমরা এর প্রতিকার চাই। এবিষয়ে তারিকুল ইসলাম হারেস বলেন, সামনের অংশে আমি চলাচালের জন্য এক শতাংশ জমি ক্রয় করে রস্তা নির্মাণ করেছি। আমার ক্রয়কৃত জমি থেকে কেন তাদের রাস্তা দেব। হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাকে জিম্মি করে আমার বসতবাড়ি ভাংচুর করেছে বহিরাগতরা। বিরোধের বিষয়ে কুসুমহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন আজাদ বলেন, এই রাস্তা নিয়ে সামাজিকভাবে বসা হলে বড় ভাই তারিকুল ইসলাম হারেসের জমির দাম দিয়ে দিতে বলা হয়েছিল এবং এর বিনিময়ে তাকে ফয়সালের কিছু জমিও দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। বড় ভাই টাকা ও জমি না নিয়ে উল্টো ছোট ভায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান অবগত রয়েছেন। হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি।

এমন ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয়।