মাদারীপুরে স্কুলছাত্রী রিয়া ধর্ষণ ও হত্যা ২ আসামির মৃত্যুদণ্ড

মাদারীপুরে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণসহ হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের আদেশ দিয়েছেন মাদারীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা। দুপুরে রায়ের সময়ে আদালতে দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার সময়ে আসামি দু’জন মুর্ছে পড়েছিলেন। মামলার নথি ও অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর মাদারীপুর সদর উপজেলার কোর্টবাড়ি শ্রীনদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী একই গ্রামের গাউস নপ্তির মেয়ে রাবেয়া আক্তার ওরফে রিয়াকে (৮) অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা কোর্টবাড়ি উত্তরকান্দি জামে মসজিদের কাছের গাছপালা ও জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে ধর্ষণ শেষ শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা রাস্তার পাশের জঙ্গলের ভেতর থেকে রিয়ার লাশের পা দেখতে পেয়ে রিয়ার লাশে হিসেবে শনাক্ত করে। পরবর্তীতে ধর্ষিত রিয়ার বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় ২৮ নভেম্বর একটি ধর্ষণ শেষে হত্যা মামলা দায়ের করে।

পরবর্তীতে থানায় মামলা দায়েরের পরে থানার এসআই ফায়েকুজ্জামান এই মামলার তদন্তকর্মকর্তার দায়িত্ব পেলে তিনি দীর্ঘদিন তদন্ত করে এই মামলায় কোর্টবাড়ি এলাকারই জালাল মোল্লার ছেলে মিলন মোল্লাকে (২২) গ্রেফতার করলে মিলন মোল্লার দেয়া জবানবন্দিতে অন্য আসামি একই গ্রামের নুরু মোল্লার ছেলে মাহমুদুল হাসান ওরফে মধু মোল্লা (২৪) সম্পৃক্ততা স্বীকার করে। পরে মামলার তদন্তকর্মকর্তা এসআই ফায়েকুজ্জামান ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মাদারীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মোশারফ আকন বলেন, মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা দুই আসামি দোষী প্রমানিক হওয়ায় দু’জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছেন। আমরা এই আদেশে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি।

রিয়ার বাবা গাউস নপ্তি বলেন, আমরা রায়ে খুশি। তবে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।

মঙ্গলবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২১ , ২১ পৌষ ১৪২৭, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

মাদারীপুরে স্কুলছাত্রী রিয়া ধর্ষণ ও হত্যা ২ আসামির মৃত্যুদণ্ড

জেলা বার্তা পরিবেশক, মাদারীপুর

মাদারীপুরে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণসহ হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের আদেশ দিয়েছেন মাদারীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা। দুপুরে রায়ের সময়ে আদালতে দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার সময়ে আসামি দু’জন মুর্ছে পড়েছিলেন। মামলার নথি ও অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর মাদারীপুর সদর উপজেলার কোর্টবাড়ি শ্রীনদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী একই গ্রামের গাউস নপ্তির মেয়ে রাবেয়া আক্তার ওরফে রিয়াকে (৮) অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা কোর্টবাড়ি উত্তরকান্দি জামে মসজিদের কাছের গাছপালা ও জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে ধর্ষণ শেষ শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা রাস্তার পাশের জঙ্গলের ভেতর থেকে রিয়ার লাশের পা দেখতে পেয়ে রিয়ার লাশে হিসেবে শনাক্ত করে। পরবর্তীতে ধর্ষিত রিয়ার বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় ২৮ নভেম্বর একটি ধর্ষণ শেষে হত্যা মামলা দায়ের করে।

পরবর্তীতে থানায় মামলা দায়েরের পরে থানার এসআই ফায়েকুজ্জামান এই মামলার তদন্তকর্মকর্তার দায়িত্ব পেলে তিনি দীর্ঘদিন তদন্ত করে এই মামলায় কোর্টবাড়ি এলাকারই জালাল মোল্লার ছেলে মিলন মোল্লাকে (২২) গ্রেফতার করলে মিলন মোল্লার দেয়া জবানবন্দিতে অন্য আসামি একই গ্রামের নুরু মোল্লার ছেলে মাহমুদুল হাসান ওরফে মধু মোল্লা (২৪) সম্পৃক্ততা স্বীকার করে। পরে মামলার তদন্তকর্মকর্তা এসআই ফায়েকুজ্জামান ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মাদারীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মোশারফ আকন বলেন, মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা দুই আসামি দোষী প্রমানিক হওয়ায় দু’জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছেন। আমরা এই আদেশে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি।

রিয়ার বাবা গাউস নপ্তি বলেন, আমরা রায়ে খুশি। তবে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।