করোনা ভ্যাকসিন রপ্তানি নিষিদ্ধ করল ভারত

ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউটকে আগামী কয়েক মাসের জন্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দরিদ্র দেশগুলোকে সেরামের করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের জন্য আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে।

গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়াল্লা বলেন, ‘ভারতীয় নীতি-নির্ধারণী কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু শর্ত হলো, ঝুঁকিতে থাকা ভারতীয় জনগণের জন্য ডোজ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য রপ্তানি করতে পারবে না সেরাম ইনস্টিটিউট।’

এ সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ অবৈধ মজুদ ঠেকানো উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ মুহূর্তে শুধুমাত্র ভারতীয় সরকারের কাছে ভ্যাকসিন হস্তান্তর করতে পারব।’

পুনাওয়াল্লা জানান, সেরাম এ মুহূর্তে বেসরকারি বাজারেও এ ভ্যাকসিন বিক্রি করতে পারবে না। এর আগে, আগ্রহী দেশগুলোতে রপ্তানির আগে আগামী দুই মাসে ভারতের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে গুরুত্ব দেয়ার কথা এ দিনই জানিয়েছিল সেরাম।

শুক্রবার দেশটিতে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল ভারত।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় ভারতের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। ভারতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন অনুমোদন পাওয়ার পর বাংলাদেশেও এ ব্যাপারে আশা দেখা দিয়েছিল। চলতি জানুয়ারিতেই ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা জানিয়েছিল দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

পাশাপাশি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনের পরিকল্পনা ছিল সেরামের।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর অক্সফোর্ড উৎপাদিত ‘কোভিডশিল্ড’ ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ পেতে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।

এ উদ্যোগের আওতায় প্রথম ধাপের ৬ মাসের প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন দেয়ার কথা ছিল সেরামের।

মঙ্গলবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২১ , ২১ পৌষ ১৪২৭, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

করোনা ভ্যাকসিন রপ্তানি নিষিদ্ধ করল ভারত

ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউটকে আগামী কয়েক মাসের জন্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দরিদ্র দেশগুলোকে সেরামের করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের জন্য আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে।

গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়াল্লা বলেন, ‘ভারতীয় নীতি-নির্ধারণী কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু শর্ত হলো, ঝুঁকিতে থাকা ভারতীয় জনগণের জন্য ডোজ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য রপ্তানি করতে পারবে না সেরাম ইনস্টিটিউট।’

এ সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ অবৈধ মজুদ ঠেকানো উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ মুহূর্তে শুধুমাত্র ভারতীয় সরকারের কাছে ভ্যাকসিন হস্তান্তর করতে পারব।’

পুনাওয়াল্লা জানান, সেরাম এ মুহূর্তে বেসরকারি বাজারেও এ ভ্যাকসিন বিক্রি করতে পারবে না। এর আগে, আগ্রহী দেশগুলোতে রপ্তানির আগে আগামী দুই মাসে ভারতের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে গুরুত্ব দেয়ার কথা এ দিনই জানিয়েছিল সেরাম।

শুক্রবার দেশটিতে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল ভারত।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় ভারতের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। ভারতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন অনুমোদন পাওয়ার পর বাংলাদেশেও এ ব্যাপারে আশা দেখা দিয়েছিল। চলতি জানুয়ারিতেই ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা জানিয়েছিল দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

পাশাপাশি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনের পরিকল্পনা ছিল সেরামের।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর অক্সফোর্ড উৎপাদিত ‘কোভিডশিল্ড’ ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ পেতে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।

এ উদ্যোগের আওতায় প্রথম ধাপের ৬ মাসের প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন দেয়ার কথা ছিল সেরামের।