পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন লড়াইয়ে ঘাসফুল-পদ্ম

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মূল লড়াই হতে যাচ্ছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কেন্দ্রের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি)। কংগ্রেস ও বামপন্থিরা জোট করলেও ভোটের মাঠে অনেকটাই পিছিয়ে তারা। বিজেপির নির্বাচনউ প্রতীক পদ্মফুল ও তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাসফুল। দুই ফুলেরই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কথা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কংগ্রেসের হাত বা সিপিএমের কাস্তে-হাতুড়ি তেমন একটা সুবিধা করতে পারবে না বলে ধারণা তাদের। তৃণমূল ও বিজেপি শিবির এরই মধ্যে দলীয় স্তরে সমীক্ষাও চালিয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। সে সমীক্ষাতে উঠে এসেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস। মুখে নেতারা যাই বলুন না কেন, উভয় শিবিরেই চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট। ২৯৪ সদস্যের বিধানসভায় ক্ষমতা দখলে দরকার ১৪৮টি আসনে জয়। শুধু জিতলেই হবে না, নিজেদের শক্তি ধরে রাখাও বর্তমানে দলবদলে অভ্যস্ত ভারতীয় রাজনীতিতে বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস একাই জিতেছিল ২১১টি আসনে। দলবদলের খেলায় সেটি এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৪তে। আর বিজেপির সদস্য সংখ্যা ২৩। এদিকে শক্তিক্ষয় হয়েছে কংগ্রেস ও বামদের। কংগ্রেস গতবার ৪৪ আসনে জিতলেও এখন তাদের বিধায়ক মাত্র ২৩ জন। বামদের বিধায়কের সংখ্যা ২৬ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সব দলই হিসাব করছে। বিশেষ করে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে জিতে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আগে বিজেপির আসন ছিল মাত্র ২টি। বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা বলছে, এবার বিধানসভায় তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। ১৫০ থেকে ১৬০টি আসনে জিততে পারে তারা। তবে প্রকাশ্যে বিজেপি নেতাদের দাবি, ২০০ আসনে জিতবেন তারা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায় বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সুবিধা বাংলার মানুষকে পৌঁছে দিতে রাজ্যে বিজেপি সরকারই হচ্ছে। অমিত শাহর ইচ্ছা পূরণে আমরা ২০০ আসনে জয়ের লক্ষ্যে লড়াই করছি।’ অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পাল্টা দাবি, ‘বিজেপি দিবাস্বপ্ন দেখছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলেরই সরকার হবে।

বাংলার মানুষ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মেনে নেবে না।’

জয় নিয়ে দুই শিবিরই নিজেদের আত্মবিশ্বাসের কথা বললেও ঘাসফুল বা পদ্ম শিবিরের নেতারা কেউই এখনও সে বিষয়ে নিশ্চিত নন।

মঙ্গলবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২১ , ২১ পৌষ ১৪২৭, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন লড়াইয়ে ঘাসফুল-পদ্ম

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মূল লড়াই হতে যাচ্ছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কেন্দ্রের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি)। কংগ্রেস ও বামপন্থিরা জোট করলেও ভোটের মাঠে অনেকটাই পিছিয়ে তারা। বিজেপির নির্বাচনউ প্রতীক পদ্মফুল ও তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাসফুল। দুই ফুলেরই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কথা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কংগ্রেসের হাত বা সিপিএমের কাস্তে-হাতুড়ি তেমন একটা সুবিধা করতে পারবে না বলে ধারণা তাদের। তৃণমূল ও বিজেপি শিবির এরই মধ্যে দলীয় স্তরে সমীক্ষাও চালিয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। সে সমীক্ষাতে উঠে এসেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস। মুখে নেতারা যাই বলুন না কেন, উভয় শিবিরেই চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট। ২৯৪ সদস্যের বিধানসভায় ক্ষমতা দখলে দরকার ১৪৮টি আসনে জয়। শুধু জিতলেই হবে না, নিজেদের শক্তি ধরে রাখাও বর্তমানে দলবদলে অভ্যস্ত ভারতীয় রাজনীতিতে বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস একাই জিতেছিল ২১১টি আসনে। দলবদলের খেলায় সেটি এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৪তে। আর বিজেপির সদস্য সংখ্যা ২৩। এদিকে শক্তিক্ষয় হয়েছে কংগ্রেস ও বামদের। কংগ্রেস গতবার ৪৪ আসনে জিতলেও এখন তাদের বিধায়ক মাত্র ২৩ জন। বামদের বিধায়কের সংখ্যা ২৬ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সব দলই হিসাব করছে। বিশেষ করে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে জিতে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আগে বিজেপির আসন ছিল মাত্র ২টি। বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা বলছে, এবার বিধানসভায় তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। ১৫০ থেকে ১৬০টি আসনে জিততে পারে তারা। তবে প্রকাশ্যে বিজেপি নেতাদের দাবি, ২০০ আসনে জিতবেন তারা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায় বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সুবিধা বাংলার মানুষকে পৌঁছে দিতে রাজ্যে বিজেপি সরকারই হচ্ছে। অমিত শাহর ইচ্ছা পূরণে আমরা ২০০ আসনে জয়ের লক্ষ্যে লড়াই করছি।’ অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পাল্টা দাবি, ‘বিজেপি দিবাস্বপ্ন দেখছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলেরই সরকার হবে।

বাংলার মানুষ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মেনে নেবে না।’

জয় নিয়ে দুই শিবিরই নিজেদের আত্মবিশ্বাসের কথা বললেও ঘাসফুল বা পদ্ম শিবিরের নেতারা কেউই এখনও সে বিষয়ে নিশ্চিত নন।