কালীগঞ্জ ইউপি নির্বাচনে

চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে এলাকাবাসী দেখতে চান তৃতীয় লিঙ্গের রিতুকে

নেমেছেন গণসংযোগে

তৃতীয় লিঙ্গের প্রতি সরকারের রয়েছে বিশেষ দৃষ্টি। তাদের ভোটার ও নির্বাচন করার সুযোগ দিয়েছে বর্তমান সরকার। সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ কোটার ভাতাসহ সবক্ষেত্রেই রয়েছে তাদের অগ্রাধিকার ও নানা সুযোগ-সুবিধা। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তৃতীয় লিঙ্গের ওই ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামে নজরুল ইসলাম রিতু। নিজে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অথবা দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোন নেতা নয়। তবে সারাজীবন সমর্থন করেন। তার পরিবারের সবাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছেন। তারপরও আ’লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে রয়েছে তার দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক। অনেক দিন স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন ঢাকায় কিন্তু নাড়ির টানে প্রায়ই এলাকায় আসেন। নিজ কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে রাস্তাঘাট সংস্কার, মসজিদ, মন্দির, এতিমখানা, অসহায় দুস্থ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন।

এসব জনকল্যাণকর কাজের জন্য এলাকার মানুষ তাকে এ বছরে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে উঠেপড়ে লেগেছেন। এলাকাবাসীর দাবি জনভিতের ওপর ভর করেই নজরুল ইসলাম রিতা আপুর নৌকা প্রতীক দাবি করছেন। এখনও নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না করা হলেও ইউনিয়নের সব শ্রেণীর জনগণ তার পক্ষে কোমর বেঁধে লেগেছেন। সরজমিন বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে গেলে দেখা যায়, তৃতীয় লিঙ্গের অর্থাৎ নজরুল ইসলাম রিতু শত শত কর্মী সমর্থক নিয়ে এলাকায় মোটরসাইকেল শো-ডাউনসহ সভা সমাবেশ ও গণসংযোগ করেই চলেছেন।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৬নং ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম রিতুর দাবি, তিনি হিজড়া সম্প্রদায় থেকে বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয়তম প্রার্থী হচ্ছেন। উল্লেখ্য, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাশর্^বতী একই জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার পিংকি খাতুন নামে অন্য এক হিজড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সে সময়ে তিনি দেশের তৃতীয় লিঙ্গের প্রথম জনপ্রতিনিধির দাবি করেন। ফলে কালীগঞ্জের নজরুল ইসলাম রিতু তৃতীয় লিঙ্গের দ্বিতীয়তম প্রার্থী। এদিকে এ উপজেলাতে ইউ’পি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এখনও হয়নি। কিন্তু নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে সব ইউনিয়নে। এরই ধারাবাহিকতায় গণসংযোগ, বিপুল লোক সমাগম ঘটিয়ে লাগাতর ব্যাপক শোডাউন ও জনগণের সাড়ায় রিতু আলোচিত হয়ে উঠেছেন।

গত শনিবার সন্ধ্যায় এলাকা থেকে কয়েক হাজার সমর্থক নিয়ে নজরুল ইসলাম রিতু তার নিজ এলাকায় শোডাউন করেন। পরে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে এসে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারসহ নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ছাড়াও দলীয় নৌকা প্রতীক দাবি করেন।

এলাকাবাসীর দাবি, সাধারণ মানুষের জন্য রিতু আপা দীর্ঘদিন এলাকায় নিজ গাটের টাকায় মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির ও রাস্তা সংস্কারে কাজ করছেন। এছাড়াও এলাকার দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহযোগীতা করে আসছেন। ফলে তারা চাচ্ছেন রিতু আপা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তিনি আরও উন্নয়ন করতে পারবেন।

নজরুল ইসলাম রিতু আপা বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর দাদপুর গ্রামের মৃত আবদুল কাদেরের সন্তান রিতু ৬ ভাইবোনের মধ্যে ৩য় সন্তান। তার ৩ ভাই ঢাকাতে থাকেন ও বোনেদের বিয়ে হয়ে গেছে। জন্মের পর তৃতীয় লিঙ্গ ধরা পড়ে। বিশেষ কারণে মাত্র ৫ বছর বয়সে তাকে গ্রাম ছেড়ে ঢাকাতে চলে যেতে হয়। সামান্য লেখাপড়া করলেও সামাজিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় প্রাথমিকের গ-ি পেরোনো সম্ভব হয়নি। ছোটবেলা থেকেই ঢাকার ডেমরা থানার তৃতীয় লিঙ্গের গুরুমার কাছেই বেড়ে উঠেছেন। এখন তার বয়স ৪২ বছর। গুরুমার পরের দায়িত্বটা তিনি পালন করছেন। তার দলে ৭০ জন হিজড়া রয়েছে। ঢাকাতে থাকলেও প্রায়ই তিনি তার গ্রামের বাড়ি এসে গরিব অসহায় মানুষের কল্যাণে সেবা দিচ্ছেন। নির্বাচনের কথা নিজে কখনও ভাবেননি।

কিন্তু এলাকাবাসীর দাবি ও ভালোবাসায় শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে মাঠে নেমেছেন। জনগণ তার কাছে কিছুই চায় না। নিজের প্রতি জনগণের পাগলের মতো ভালোবাসায় তিনি তাদের প্রতি আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছেন।

বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সাকিল আহম্মেদ জানান, রিতু আপা ঢাকাতে থাকলেও এখন তিনি বাড়িতে থাকেন। মাঝেমধ্যে ঢাকায় যান। আবার চলে এসে তার কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে নিজ জন্মস্থান দাদপর গ্রামসহ ইউনিয়নবাসীর উন্নয়নে সহযোগিতা করে থাকেন। এলাকার মাদ্রাসা, মসজিদ মন্দির, এতিমখানা উন্নয়নে দান করেন। এলাকার কেউ অসুস্থ বা কন্যাদায়গ্রস্ত হয়েছে এমন খবর শুনলেই সেখানে ছুটে গিয়ে পাশে দাঁড়ান। তার কাছে গিয়ে কখনও কেউ বিমুখ হয়নি ফিরে আসেননি। তাই তার পক্ষে জনগণ এবার কোমর বেঁধে লেগেছেন। কয়েক বছর আগে তার পিতার জমিতেই বানিয়েছেন একটি পাকা বাড়ি।

নজরুল ইসলাম রিতু আরও জানান, সৃষ্টিকর্তা আমাকে যেভাবে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখিয়েছেন তাতেই আমি খুশি। আমার কোন সংসার নেই। এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাই আমার অর্জিত অর্থ জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মানুষের কল্যাণে ব্যয় করব। মানুষসেবা করব। আমি আওয়ামী ভাবাপন্ন পরিবারের সন্তান। নিজেও আওয়ামী লীগের সমর্থক। তাই আমি দলীয় প্রতীক নৌকা দাবি করছি স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ভাই সঙ্গে আমার অনেক দিনের চেনা জানা। তিনি আমাকে ভালোবাসেন। ফলে দলীয় মনোনয়ন আমি পাব বলে আশাবাদী।

image
আরও খবর
শিক্ষার মাধ্যমে শান্তির পথ ধরে প্রগতির দিকে এগিয়ে যাবে ছাত্রলীগ
আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালুর দাবি
ডাক বিভাগের মানিঅর্ডার ফরম, সিল ও রসিদ জাল করে অর্থ আত্মসাৎ
খাল উদ্ধার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অব্যাহত
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমছে
সিলেটে যুক্তরাজ্য ফেরতরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে : হট্টগোল
সিলেটে যুক্তরাজ্য ফেরতরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে : হট্টগোল
ধর্ষণ মামলায় তিন ধর্ষকের যাবজ্জীবন
নির্যাতনে আইনজীবী হত্যা : পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
স্বাভাবিক গতি ফিরেছে আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি বাণিজ্যে
ক্যাসিনো ব্যবসায়ী জাকির ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
দেশে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে মির্জা ফখরুল

মঙ্গলবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২১ , ২১ পৌষ ১৪২৭, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

কালীগঞ্জ ইউপি নির্বাচনে

চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে এলাকাবাসী দেখতে চান তৃতীয় লিঙ্গের রিতুকে

নেমেছেন গণসংযোগে

সাবজাল হোসেন, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)

image

তৃতীয় লিঙ্গের প্রতি সরকারের রয়েছে বিশেষ দৃষ্টি। তাদের ভোটার ও নির্বাচন করার সুযোগ দিয়েছে বর্তমান সরকার। সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ কোটার ভাতাসহ সবক্ষেত্রেই রয়েছে তাদের অগ্রাধিকার ও নানা সুযোগ-সুবিধা। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তৃতীয় লিঙ্গের ওই ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামে নজরুল ইসলাম রিতু। নিজে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অথবা দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোন নেতা নয়। তবে সারাজীবন সমর্থন করেন। তার পরিবারের সবাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছেন। তারপরও আ’লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে রয়েছে তার দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক। অনেক দিন স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন ঢাকায় কিন্তু নাড়ির টানে প্রায়ই এলাকায় আসেন। নিজ কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে রাস্তাঘাট সংস্কার, মসজিদ, মন্দির, এতিমখানা, অসহায় দুস্থ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন।

এসব জনকল্যাণকর কাজের জন্য এলাকার মানুষ তাকে এ বছরে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে উঠেপড়ে লেগেছেন। এলাকাবাসীর দাবি জনভিতের ওপর ভর করেই নজরুল ইসলাম রিতা আপুর নৌকা প্রতীক দাবি করছেন। এখনও নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না করা হলেও ইউনিয়নের সব শ্রেণীর জনগণ তার পক্ষে কোমর বেঁধে লেগেছেন। সরজমিন বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে গেলে দেখা যায়, তৃতীয় লিঙ্গের অর্থাৎ নজরুল ইসলাম রিতু শত শত কর্মী সমর্থক নিয়ে এলাকায় মোটরসাইকেল শো-ডাউনসহ সভা সমাবেশ ও গণসংযোগ করেই চলেছেন।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৬নং ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম রিতুর দাবি, তিনি হিজড়া সম্প্রদায় থেকে বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয়তম প্রার্থী হচ্ছেন। উল্লেখ্য, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাশর্^বতী একই জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার পিংকি খাতুন নামে অন্য এক হিজড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সে সময়ে তিনি দেশের তৃতীয় লিঙ্গের প্রথম জনপ্রতিনিধির দাবি করেন। ফলে কালীগঞ্জের নজরুল ইসলাম রিতু তৃতীয় লিঙ্গের দ্বিতীয়তম প্রার্থী। এদিকে এ উপজেলাতে ইউ’পি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এখনও হয়নি। কিন্তু নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে সব ইউনিয়নে। এরই ধারাবাহিকতায় গণসংযোগ, বিপুল লোক সমাগম ঘটিয়ে লাগাতর ব্যাপক শোডাউন ও জনগণের সাড়ায় রিতু আলোচিত হয়ে উঠেছেন।

গত শনিবার সন্ধ্যায় এলাকা থেকে কয়েক হাজার সমর্থক নিয়ে নজরুল ইসলাম রিতু তার নিজ এলাকায় শোডাউন করেন। পরে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে এসে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারসহ নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ছাড়াও দলীয় নৌকা প্রতীক দাবি করেন।

এলাকাবাসীর দাবি, সাধারণ মানুষের জন্য রিতু আপা দীর্ঘদিন এলাকায় নিজ গাটের টাকায় মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির ও রাস্তা সংস্কারে কাজ করছেন। এছাড়াও এলাকার দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহযোগীতা করে আসছেন। ফলে তারা চাচ্ছেন রিতু আপা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তিনি আরও উন্নয়ন করতে পারবেন।

নজরুল ইসলাম রিতু আপা বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর দাদপুর গ্রামের মৃত আবদুল কাদেরের সন্তান রিতু ৬ ভাইবোনের মধ্যে ৩য় সন্তান। তার ৩ ভাই ঢাকাতে থাকেন ও বোনেদের বিয়ে হয়ে গেছে। জন্মের পর তৃতীয় লিঙ্গ ধরা পড়ে। বিশেষ কারণে মাত্র ৫ বছর বয়সে তাকে গ্রাম ছেড়ে ঢাকাতে চলে যেতে হয়। সামান্য লেখাপড়া করলেও সামাজিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় প্রাথমিকের গ-ি পেরোনো সম্ভব হয়নি। ছোটবেলা থেকেই ঢাকার ডেমরা থানার তৃতীয় লিঙ্গের গুরুমার কাছেই বেড়ে উঠেছেন। এখন তার বয়স ৪২ বছর। গুরুমার পরের দায়িত্বটা তিনি পালন করছেন। তার দলে ৭০ জন হিজড়া রয়েছে। ঢাকাতে থাকলেও প্রায়ই তিনি তার গ্রামের বাড়ি এসে গরিব অসহায় মানুষের কল্যাণে সেবা দিচ্ছেন। নির্বাচনের কথা নিজে কখনও ভাবেননি।

কিন্তু এলাকাবাসীর দাবি ও ভালোবাসায় শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে মাঠে নেমেছেন। জনগণ তার কাছে কিছুই চায় না। নিজের প্রতি জনগণের পাগলের মতো ভালোবাসায় তিনি তাদের প্রতি আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছেন।

বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সাকিল আহম্মেদ জানান, রিতু আপা ঢাকাতে থাকলেও এখন তিনি বাড়িতে থাকেন। মাঝেমধ্যে ঢাকায় যান। আবার চলে এসে তার কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে নিজ জন্মস্থান দাদপর গ্রামসহ ইউনিয়নবাসীর উন্নয়নে সহযোগিতা করে থাকেন। এলাকার মাদ্রাসা, মসজিদ মন্দির, এতিমখানা উন্নয়নে দান করেন। এলাকার কেউ অসুস্থ বা কন্যাদায়গ্রস্ত হয়েছে এমন খবর শুনলেই সেখানে ছুটে গিয়ে পাশে দাঁড়ান। তার কাছে গিয়ে কখনও কেউ বিমুখ হয়নি ফিরে আসেননি। তাই তার পক্ষে জনগণ এবার কোমর বেঁধে লেগেছেন। কয়েক বছর আগে তার পিতার জমিতেই বানিয়েছেন একটি পাকা বাড়ি।

নজরুল ইসলাম রিতু আরও জানান, সৃষ্টিকর্তা আমাকে যেভাবে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখিয়েছেন তাতেই আমি খুশি। আমার কোন সংসার নেই। এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাই আমার অর্জিত অর্থ জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মানুষের কল্যাণে ব্যয় করব। মানুষসেবা করব। আমি আওয়ামী ভাবাপন্ন পরিবারের সন্তান। নিজেও আওয়ামী লীগের সমর্থক। তাই আমি দলীয় প্রতীক নৌকা দাবি করছি স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ভাই সঙ্গে আমার অনেক দিনের চেনা জানা। তিনি আমাকে ভালোবাসেন। ফলে দলীয় মনোনয়ন আমি পাব বলে আশাবাদী।