শিক্ষার্থীদের কাছে দ্রুত নতুন বই পৌঁছে দিন

প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি দেশের সব শিক্ষার্থী নতুন পাঠ্যবই হাতে পেত। ২০১০ সাল থেকেই সরকার এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেও এবার এর ব্যত্যয় ঘটেছে। গত রোববার পর্যন্ত মোট বইয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ ছাপা বাকি রয়েছে। ২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য মোট ৩৬ কোটি কপি বই বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছেছে প্রায় ২৬ কোটি বই। এ হিসাবে ১০ কোটি কপি বই এখনও ছাপা বাকি রয়েছে।

বই পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এবার যে কালক্ষেপণ হতে পারে সে আশঙ্কার কথা আমরা এর আগেও বলেছি। কার্যত সেটাই সত্য প্রমাণিত হলো। বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যের বই তুলে দেয়ার যে সুন্দর একটি ব্যবস্থা সরকার গড়ে তুলেছিল সেটা এ বছর ধরে রাখা সম্ভব হলো না। গত এক দশকে প্রথমবার ছন্দপতন হলো।

বই মুদ্রণের কার্যাদেশ দেয়ার পর মূলত কাগজ মিল মালিকরা ছাপাখানার মালিকদের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী আগের দামে কাগজ সরবরাহ না করার কারণেই বই ছাপার কাজ আটকে ছিল। তাছাড়া এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপাতে একই সময় দরপত্র আহ্বান করে এনসিটিবি। বিগত সময়ে প্রাথমিকের বইয়ের কার্যাদেশ কিছুদিন আগে দেয়া হতো। এতে প্রাথমিকের বই ছাপা শেষে মাধ্যমিকের কাজ করত ব্যবসায়ীরা। এবার সেই সুযোগ হয়নি। এ সময়ন্বয়হীনতার কারণে অনেকেই বেশি কাজ নিয়েছেন অনেক ছাপাখানা কাজই পায়নি।

প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে যথাসময়ে বিনামূল্যের বই পৌঁছাতে হবে। প্রকাশকরা এ ব্যাপারে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন- সেটাই কাম্য। তাদের এমন কিছু করা বাঞ্ছনীয় হবে না, যাতে বিনামূল্যের বই বিতরণের পুরো ব্যবস্থাটিই হুমকির মুখে পড়ে। আমরা আশা করব, প্রকাশকরা দ্রুত মানসম্মত বই ছাপাবেন। এক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা দূর করা হবে এবং দ্রুততার সঙ্গে বই সরবরাহ করা হবে।

মঙ্গলবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২১ , ২১ পৌষ ১৪২৭, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

শিক্ষার্থীদের কাছে দ্রুত নতুন বই পৌঁছে দিন

প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি দেশের সব শিক্ষার্থী নতুন পাঠ্যবই হাতে পেত। ২০১০ সাল থেকেই সরকার এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেও এবার এর ব্যত্যয় ঘটেছে। গত রোববার পর্যন্ত মোট বইয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ ছাপা বাকি রয়েছে। ২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য মোট ৩৬ কোটি কপি বই বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছেছে প্রায় ২৬ কোটি বই। এ হিসাবে ১০ কোটি কপি বই এখনও ছাপা বাকি রয়েছে।

বই পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এবার যে কালক্ষেপণ হতে পারে সে আশঙ্কার কথা আমরা এর আগেও বলেছি। কার্যত সেটাই সত্য প্রমাণিত হলো। বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যের বই তুলে দেয়ার যে সুন্দর একটি ব্যবস্থা সরকার গড়ে তুলেছিল সেটা এ বছর ধরে রাখা সম্ভব হলো না। গত এক দশকে প্রথমবার ছন্দপতন হলো।

বই মুদ্রণের কার্যাদেশ দেয়ার পর মূলত কাগজ মিল মালিকরা ছাপাখানার মালিকদের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী আগের দামে কাগজ সরবরাহ না করার কারণেই বই ছাপার কাজ আটকে ছিল। তাছাড়া এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপাতে একই সময় দরপত্র আহ্বান করে এনসিটিবি। বিগত সময়ে প্রাথমিকের বইয়ের কার্যাদেশ কিছুদিন আগে দেয়া হতো। এতে প্রাথমিকের বই ছাপা শেষে মাধ্যমিকের কাজ করত ব্যবসায়ীরা। এবার সেই সুযোগ হয়নি। এ সময়ন্বয়হীনতার কারণে অনেকেই বেশি কাজ নিয়েছেন অনেক ছাপাখানা কাজই পায়নি।

প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে যথাসময়ে বিনামূল্যের বই পৌঁছাতে হবে। প্রকাশকরা এ ব্যাপারে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন- সেটাই কাম্য। তাদের এমন কিছু করা বাঞ্ছনীয় হবে না, যাতে বিনামূল্যের বই বিতরণের পুরো ব্যবস্থাটিই হুমকির মুখে পড়ে। আমরা আশা করব, প্রকাশকরা দ্রুত মানসম্মত বই ছাপাবেন। এক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা দূর করা হবে এবং দ্রুততার সঙ্গে বই সরবরাহ করা হবে।