দ্রুতগতিতে বাড়ছে রবির শেয়ারের দাম

দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে রবি আজিয়াটার শেয়ারের দাম। গতকাল শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর অল্প সময়ের মধ্যে দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে রবি আজিয়াটা। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হওয়া আট কার্যদিবসের প্রতি কার্যদিবসেই দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করল। এতে আট দিনের লেনদেনেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা বা চারগুণ।

এর ফলে দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে লেনদেন শুরুর প্রথম আট কার্যদিবস টানা দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করার তালিকায় রবি দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাম লেখালো। এর আগে ওয়ালটনের শেয়ার লেনদেন শুরুর প্রথম আট কার্যদিবস টানা দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।

১০ টাকা অভিহিতমূল্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ার ইস্যু করা রবির শেয়ার লেনদেনের শুরু থেকেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। যে কারণে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম দফায় দফায় বাড়ছে। টানা আট কার্যদিবস দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা একপ্রকার উধাও হয়ে গেছে।

গতকাল লেনদেনের শুরুতে ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা করে কোম্পানিটির ১৭৫টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। তবে এ দামে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর কয়েক দফা দাম বেড়ে ৩৯ টাকা ৪০ পয়সা করে ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮০টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এর মাধ্যমে দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে কোম্পানিটি। এরপরও কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব আসার ঘর খালি পড়ে রয়েছে। অর্থাৎ ক্রেতা থাকলেও শেয়ারের বিক্রেতা নেই।

নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আইপিও খরচের জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ার ছেড়ে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করা রবির শেয়ার গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়। এ পর্যন্ত শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার যে কয়দিন লেনদেন হয়েছে তার প্রতিটি দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। ফলে আট কার্যদিবসেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে প্রায় চারগুণ বা ৩১৪ শতাংশ। যে বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে রবির শেয়ার পেয়েছেন তারা তা ধরে রাখলে আট কার্যদিবসেই তাদের টাকার পরিমাণ চারগুণ বেড়ে গেছে। এর ফলে পাঁচ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম মাত্র আট কার্যদিবসেই সম্মিলিতভাবে বেড়েছে ১৬ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা।

বুধবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২১ , ২২ পৌষ ১৪২৭, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

দ্রুতগতিতে বাড়ছে রবির শেয়ারের দাম

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে রবি আজিয়াটার শেয়ারের দাম। গতকাল শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর অল্প সময়ের মধ্যে দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে রবি আজিয়াটা। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হওয়া আট কার্যদিবসের প্রতি কার্যদিবসেই দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করল। এতে আট দিনের লেনদেনেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা বা চারগুণ।

এর ফলে দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে লেনদেন শুরুর প্রথম আট কার্যদিবস টানা দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করার তালিকায় রবি দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাম লেখালো। এর আগে ওয়ালটনের শেয়ার লেনদেন শুরুর প্রথম আট কার্যদিবস টানা দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।

১০ টাকা অভিহিতমূল্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ার ইস্যু করা রবির শেয়ার লেনদেনের শুরু থেকেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। যে কারণে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম দফায় দফায় বাড়ছে। টানা আট কার্যদিবস দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা একপ্রকার উধাও হয়ে গেছে।

গতকাল লেনদেনের শুরুতে ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা করে কোম্পানিটির ১৭৫টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। তবে এ দামে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর কয়েক দফা দাম বেড়ে ৩৯ টাকা ৪০ পয়সা করে ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮০টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এর মাধ্যমে দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে কোম্পানিটি। এরপরও কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব আসার ঘর খালি পড়ে রয়েছে। অর্থাৎ ক্রেতা থাকলেও শেয়ারের বিক্রেতা নেই।

নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আইপিও খরচের জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ার ছেড়ে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করা রবির শেয়ার গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়। এ পর্যন্ত শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার যে কয়দিন লেনদেন হয়েছে তার প্রতিটি দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। ফলে আট কার্যদিবসেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে প্রায় চারগুণ বা ৩১৪ শতাংশ। যে বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে রবির শেয়ার পেয়েছেন তারা তা ধরে রাখলে আট কার্যদিবসেই তাদের টাকার পরিমাণ চারগুণ বেড়ে গেছে। এর ফলে পাঁচ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম মাত্র আট কার্যদিবসেই সম্মিলিতভাবে বেড়েছে ১৬ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা।