সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাচন আগামী ১৬ জানুয়ারি। এ নির্বাচন প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে গত বুধবার। এই প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার। ফলে নির্বাচনকে সামনে রেখে শহরের প্রেস পাড়ায় ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। দিন-রাত চলছে প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টার ও লিফলেট ছাপার কাজ। কোটি টাকার ব্যবসার পরিকল্পনা নিয়ে যাবতীয় মুদ্রণ কাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রেস মালিকরা। সব প্রেসে নির্বাচনী স্টিকার, ফেস্টুন, ডিজিটাল ব্যানার ও নির্বাচনী ইস্তেহার ছাপার কাজ চলছে জোরেশোরে।
প্রেস মালিকদের সূত্র জানায়, চলমান করোনাকালে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি সীমিত হয়ে যাওয়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাপাখানার ব্যবসায় চরম মন্দা চলছে।
তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরু হওয়ায় সৈয়দপুরের প্রেস ব্যবসায়ীদের গতি ফিরেছে। ব্যবসা ধরতে ছাপাখানার মালিকরা কাগজ, কালি, প্লেট ও কেমিক্যালসহ মুদ্রণ উপকরণ আগাম মজুদ রেখেছেন। ফলে প্রতীক বরাদ্দের পর মুদ্রণ কাজে ছাপাখানাগুলো কর্মমুখোর হয়ে উঠেছে। শহরের প্রেসপাড়া শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কসহ শহরে ছোট-বড় অর্ধশত প্রেস এখন ব্যস্ত সময় পার করছে মুদ্রণ কাজ নিয়ে।
পাইকারি কাগজ বাজারে ৫৫ গ্রামের কাগজ প্রতি রিম ১২০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪০০ টাকায়। বর্তমানে ৬৫ গ্রাম কাগজ প্রতি রীম ১৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা লুটতে পেপার মিল ও বড় বড় কাগজ ব্যবসায়ীরা এর সুযোগ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন প্রেস ও স্থানীয় কাগজ ব্যবসায়ীরা।
সৈয়দপুর একতা অফসেট প্রেসের মালিক রেজাউল করিম রিপন জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাগজ ও মুদ্রণ উপকরণের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের মুনাফা কমে গেছে। তাই লাভ কম হলেও বেশি বেশি ছাপার অর্ডার নিয়ে পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে।
বুধবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২১ , ২২ পৌষ ১৪২৭, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
প্রতিনিধি, নীলফামারী
সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাচন আগামী ১৬ জানুয়ারি। এ নির্বাচন প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে গত বুধবার। এই প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার। ফলে নির্বাচনকে সামনে রেখে শহরের প্রেস পাড়ায় ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। দিন-রাত চলছে প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টার ও লিফলেট ছাপার কাজ। কোটি টাকার ব্যবসার পরিকল্পনা নিয়ে যাবতীয় মুদ্রণ কাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রেস মালিকরা। সব প্রেসে নির্বাচনী স্টিকার, ফেস্টুন, ডিজিটাল ব্যানার ও নির্বাচনী ইস্তেহার ছাপার কাজ চলছে জোরেশোরে।
প্রেস মালিকদের সূত্র জানায়, চলমান করোনাকালে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি সীমিত হয়ে যাওয়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাপাখানার ব্যবসায় চরম মন্দা চলছে।
তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরু হওয়ায় সৈয়দপুরের প্রেস ব্যবসায়ীদের গতি ফিরেছে। ব্যবসা ধরতে ছাপাখানার মালিকরা কাগজ, কালি, প্লেট ও কেমিক্যালসহ মুদ্রণ উপকরণ আগাম মজুদ রেখেছেন। ফলে প্রতীক বরাদ্দের পর মুদ্রণ কাজে ছাপাখানাগুলো কর্মমুখোর হয়ে উঠেছে। শহরের প্রেসপাড়া শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কসহ শহরে ছোট-বড় অর্ধশত প্রেস এখন ব্যস্ত সময় পার করছে মুদ্রণ কাজ নিয়ে।
পাইকারি কাগজ বাজারে ৫৫ গ্রামের কাগজ প্রতি রিম ১২০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪০০ টাকায়। বর্তমানে ৬৫ গ্রাম কাগজ প্রতি রীম ১৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা লুটতে পেপার মিল ও বড় বড় কাগজ ব্যবসায়ীরা এর সুযোগ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন প্রেস ও স্থানীয় কাগজ ব্যবসায়ীরা।
সৈয়দপুর একতা অফসেট প্রেসের মালিক রেজাউল করিম রিপন জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাগজ ও মুদ্রণ উপকরণের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের মুনাফা কমে গেছে। তাই লাভ কম হলেও বেশি বেশি ছাপার অর্ডার নিয়ে পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে।