এদিকে সরকার ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় মধ্যাঞ্চলের পিয়াজ চাষিরা বাজার দর নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। মধ্যাঞ্চলের মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জে গত কয়েক বছর ধরে দেশে পিয়াজের সঙ্কট থাকার কারণে চলতি বছর মুড়িকাটা ও হালি পিয়াজের উৎপাদন বেড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর মাদারীপুরের শিবচর, ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও নগরকান্দা, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর, শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া এবং রাজবাড়ী সদরে গতবছরের চেয়ে চলতি বছর পিয়াজ চাষ বেড়েছে।
ফরিদপুরের ঘারুয়া ইউনিয়নের চৌকিকাটা গ্রামের সাদেক বিশ্বাস বলেন, গতবছর আমি দুই বিঘা জেিমত পিয়াজ চাষ করেছিলাম। কিন্তু এবার আমি তিন বিঘা জমিতে মুড়িকাটা ও হালি পিয়াজের চাষ করেছি। কিন্তু ভারতীয় পিয়াজ আমদানি হওয়ার কারণে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি যে, বাজারে পিয়াজের দাম ভাল পাব নাকি কমে যাবে অনেক। এদিকে ভাঙ্গা উপজেলার বালিয়াচারা গ্রামের পিয়াজ চাষি মহসিন মাদবর বলেন, সরকারিভাবে এখন পিয়াজ আমদানি না করে আমাদের পিয়াজ বিক্রির সিজন শেষ হলে সরকার যদি আমদানি করত তাহলে আমরা পিয়াজ চাষিরা ভাল লাভের মুখ দেখতে পারতাম। কিন্তু বিদেশি পিয়াজ এসে বাজার দখল করলে তো আমরা অনেক মাইর খেয়ে যাব। এমনিতেই টাকা পয়সা ধার দেনা করে পিয়াজ চাষ করেছি। মাদারীপুরের পিয়াজ চাষি হেমায়েত বলেন, এবার মুড়িকাটা পিয়াজ ভাল হয়েছে; আবার হালি পিয়াজও অনেক জমিতে চাষ করছি। দাম ভাল না পেলে তো খুব খারাপ অবস্থায় পড়ে যাব।
এদিকে গোপালগঞ্জ জেলার কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) আবদুল কাদের বলেন, এ বছর গোপালগঞ্জে হালি পিয়াজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৭শ ৬০ হেক্টর জমি।
ইতোমধ্যে ২ হাজার ৬শ ৬৫ হেক্টরে পিয়াজ চাষ করা হয়েছে। পাশাপাশি মুড়িকাটা পিয়াজ কৃষকরা তুলে ফেলেছেন।
এ বছর পিয়াজের উৎপাদনও বেশ ভালো হয়েছে। কৃষকরা যদি বাজারে ভাল দাম পান তাহলেই সরকার যদি সে ব্যবস্থা করে তাহলে পিয়াজের কোন সঙ্কট থাকবে না।
চাষিরা আরও বেশি করে পিয়াজ চাষের দিকে ঝুঁকবে।
বুধবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২১ , ২২ পৌষ ১৪২৭, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
জেলা বার্তা পরিবেশক, মাদারীপুর
এদিকে সরকার ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় মধ্যাঞ্চলের পিয়াজ চাষিরা বাজার দর নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। মধ্যাঞ্চলের মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জে গত কয়েক বছর ধরে দেশে পিয়াজের সঙ্কট থাকার কারণে চলতি বছর মুড়িকাটা ও হালি পিয়াজের উৎপাদন বেড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর মাদারীপুরের শিবচর, ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও নগরকান্দা, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর, শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া এবং রাজবাড়ী সদরে গতবছরের চেয়ে চলতি বছর পিয়াজ চাষ বেড়েছে।
ফরিদপুরের ঘারুয়া ইউনিয়নের চৌকিকাটা গ্রামের সাদেক বিশ্বাস বলেন, গতবছর আমি দুই বিঘা জেিমত পিয়াজ চাষ করেছিলাম। কিন্তু এবার আমি তিন বিঘা জমিতে মুড়িকাটা ও হালি পিয়াজের চাষ করেছি। কিন্তু ভারতীয় পিয়াজ আমদানি হওয়ার কারণে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি যে, বাজারে পিয়াজের দাম ভাল পাব নাকি কমে যাবে অনেক। এদিকে ভাঙ্গা উপজেলার বালিয়াচারা গ্রামের পিয়াজ চাষি মহসিন মাদবর বলেন, সরকারিভাবে এখন পিয়াজ আমদানি না করে আমাদের পিয়াজ বিক্রির সিজন শেষ হলে সরকার যদি আমদানি করত তাহলে আমরা পিয়াজ চাষিরা ভাল লাভের মুখ দেখতে পারতাম। কিন্তু বিদেশি পিয়াজ এসে বাজার দখল করলে তো আমরা অনেক মাইর খেয়ে যাব। এমনিতেই টাকা পয়সা ধার দেনা করে পিয়াজ চাষ করেছি। মাদারীপুরের পিয়াজ চাষি হেমায়েত বলেন, এবার মুড়িকাটা পিয়াজ ভাল হয়েছে; আবার হালি পিয়াজও অনেক জমিতে চাষ করছি। দাম ভাল না পেলে তো খুব খারাপ অবস্থায় পড়ে যাব।
এদিকে গোপালগঞ্জ জেলার কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) আবদুল কাদের বলেন, এ বছর গোপালগঞ্জে হালি পিয়াজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৭শ ৬০ হেক্টর জমি।
ইতোমধ্যে ২ হাজার ৬শ ৬৫ হেক্টরে পিয়াজ চাষ করা হয়েছে। পাশাপাশি মুড়িকাটা পিয়াজ কৃষকরা তুলে ফেলেছেন।
এ বছর পিয়াজের উৎপাদনও বেশ ভালো হয়েছে। কৃষকরা যদি বাজারে ভাল দাম পান তাহলেই সরকার যদি সে ব্যবস্থা করে তাহলে পিয়াজের কোন সঙ্কট থাকবে না।
চাষিরা আরও বেশি করে পিয়াজ চাষের দিকে ঝুঁকবে।