শামীমের আফসোস

শামীম হাসান পেশাদারি একজন নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। এক সময় আবদুল্লাহ আল মামুন, মামুনুর রশীদের নাটকে প্রোডাকশন বয় হিসেবে কাজের মধ্যদিয়ে তার মিডিয়ার জীবন যাত্রা শুরু। একসময় পরিচালক আফসানা মিমি পরিচালিত ‘বন্ধন’ ধারাবাহিকে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা শুরু করেন শামীম। আফসানা মিমির আগ্রহেই এই নাটকে একসময় শামীম লোকমান নামের একটি চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পান। এই চরিত্রে অভিনয় করেই জীবন ধারা বদলে যায় শামীম হোসেনের। জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে নিয়ে কাজ শুরু করেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী, প্রয়াত মনিরসহ আরও অনেকেই। চলচ্চিত্রে শামীম প্রথম অভিনয় করেন শাহাদাৎ হোসেন লিটন পরিচালিত ‘জীবন মরনের সাথী’ সিনেমায়। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার অভিনীত ‘ডেঞ্জার জোন’ সিনেমাটি। বর্তমানে শামীম অভিনয় করছেন আবদুল মান্নান পরিচালিত ‘মন বসেছে পড়ার টেবিলে’। গতকাল দিনব্যাপী শামীম রাজধানীর অদূরে ঘোড়াশালে সোহেল তালুকদারের নির্দেশনায় নির্মাণ চলতি ধারাবাহিক ‘ভেজাইল্যা গ্রাম’-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আজ তিনি নাগরিক টিভি’র সোহাগ কাজী পরিচালিত ‘বউ বিরোধ’ ধারাবাহিকের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। এছাড়াও তিনি নিয়মিত বিজ্ঞাপনেও মডেল হিসেবে কাজ করছেন।

অভিনয় জীবন নিয়ে শামীম বলেন, ‘অভিনয় জীবন নিয়ে শতভাগ তৃপ্ত আমি, খুশি আমি। কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধেয় আফসানা মিমি আপার প্রতি, কারণ তিনি সুযোগ করে না দিলে আজকের শামীম হয়ে উঠা হয়তো হতোই না। আজীবন তার কাছে ঋণী আমি। তবে আজীবন আফসোস রয়ে যাবে আমার লেখাপড়া না করতে পারাটা। লেখাপড়া করলে হয়তো আরও ভালো কিছু হতে পারতাম, আমার আরও যে স্বপ্ন ছিল তা হয়তো পূরণ হতো। এই কষ্টটা আমাকে আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।’ শামীমের বাবা সুলতান হোসেন, মা মমতাজ বেগম। তার স্ত্রী আয়েশা ও তিন ছেলে আপন, আদর, সাঈদ। ১৯৭৬ সালের ১২ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া শামীমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর।

বুধবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২১ , ২২ পৌষ ১৪২৭, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

শামীমের আফসোস

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

শামীম হাসান পেশাদারি একজন নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। এক সময় আবদুল্লাহ আল মামুন, মামুনুর রশীদের নাটকে প্রোডাকশন বয় হিসেবে কাজের মধ্যদিয়ে তার মিডিয়ার জীবন যাত্রা শুরু। একসময় পরিচালক আফসানা মিমি পরিচালিত ‘বন্ধন’ ধারাবাহিকে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা শুরু করেন শামীম। আফসানা মিমির আগ্রহেই এই নাটকে একসময় শামীম লোকমান নামের একটি চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পান। এই চরিত্রে অভিনয় করেই জীবন ধারা বদলে যায় শামীম হোসেনের। জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে নিয়ে কাজ শুরু করেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী, প্রয়াত মনিরসহ আরও অনেকেই। চলচ্চিত্রে শামীম প্রথম অভিনয় করেন শাহাদাৎ হোসেন লিটন পরিচালিত ‘জীবন মরনের সাথী’ সিনেমায়। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার অভিনীত ‘ডেঞ্জার জোন’ সিনেমাটি। বর্তমানে শামীম অভিনয় করছেন আবদুল মান্নান পরিচালিত ‘মন বসেছে পড়ার টেবিলে’। গতকাল দিনব্যাপী শামীম রাজধানীর অদূরে ঘোড়াশালে সোহেল তালুকদারের নির্দেশনায় নির্মাণ চলতি ধারাবাহিক ‘ভেজাইল্যা গ্রাম’-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আজ তিনি নাগরিক টিভি’র সোহাগ কাজী পরিচালিত ‘বউ বিরোধ’ ধারাবাহিকের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। এছাড়াও তিনি নিয়মিত বিজ্ঞাপনেও মডেল হিসেবে কাজ করছেন।

অভিনয় জীবন নিয়ে শামীম বলেন, ‘অভিনয় জীবন নিয়ে শতভাগ তৃপ্ত আমি, খুশি আমি। কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধেয় আফসানা মিমি আপার প্রতি, কারণ তিনি সুযোগ করে না দিলে আজকের শামীম হয়ে উঠা হয়তো হতোই না। আজীবন তার কাছে ঋণী আমি। তবে আজীবন আফসোস রয়ে যাবে আমার লেখাপড়া না করতে পারাটা। লেখাপড়া করলে হয়তো আরও ভালো কিছু হতে পারতাম, আমার আরও যে স্বপ্ন ছিল তা হয়তো পূরণ হতো। এই কষ্টটা আমাকে আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।’ শামীমের বাবা সুলতান হোসেন, মা মমতাজ বেগম। তার স্ত্রী আয়েশা ও তিন ছেলে আপন, আদর, সাঈদ। ১৯৭৬ সালের ১২ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া শামীমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর।