সৌদি-কাতার সম্পর্কে বৈরিতার অবসান : খুলে গেল সীমান্ত

সৌদি আরব দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরের সর্বাত্মক অবরোধের পর অবশেষে কাতার সীমান্ত খুলে দিয়েছে। মধ্যস্থতাকারী দেশ কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আল জাজিরা।

এরইমধ্যে স্থল সীমান্ত খুলে দিয়েছে সৌদি আরব। নৌ ও আকাশসীমাও খুলে দিতে যাচ্ছে দেশটি। কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা থেকেই সীমান্ত খুলে দিতে রাজি হয় কাতার ও সৌদি আরব।

মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের ঐক্যবদ্ধ দেখতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে কুয়েত ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও সম্প্রতি সৌদি-কাতারের মধ্যকার বিবাদ মিটিয়ে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার।

২০১৭ সালের ৫ জুন কথিত সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। তবে সৌদি জোটের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে কাতার। বরং এ অবরোধকে রক্তপাতহীন যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান আলে সানি। তার ভাষায়, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন কয়েকটি আরব দেশ দোহার বিরুদ্ধে প্রকারান্তরে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।

কাতারবিরোধী ওই অবরোধ প্রত্যাহারে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেছিল সৌদি জোট। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া, কাতার থেকে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। তবে সৌদি জোটের দাবি প্রত্যাখ্যান করে উল্টো তুরস্কের দিকে আরও বেশি ঝুঁকে পড়ে কাতার। তুরস্কও কাতারের সমর্থনে এগিয়ে আসে। বলা চলে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান একাই সৌদি আরবের কাতারবিরোধী অবরোধ ব্যর্থ করে দেন।

বুধবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২১ , ২২ পৌষ ১৪২৭, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

সৌদি-কাতার সম্পর্কে বৈরিতার অবসান : খুলে গেল সীমান্ত

image

সৌদি আরব দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরের সর্বাত্মক অবরোধের পর অবশেষে কাতার সীমান্ত খুলে দিয়েছে। মধ্যস্থতাকারী দেশ কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আল জাজিরা।

এরইমধ্যে স্থল সীমান্ত খুলে দিয়েছে সৌদি আরব। নৌ ও আকাশসীমাও খুলে দিতে যাচ্ছে দেশটি। কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা থেকেই সীমান্ত খুলে দিতে রাজি হয় কাতার ও সৌদি আরব।

মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের ঐক্যবদ্ধ দেখতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে কুয়েত ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও সম্প্রতি সৌদি-কাতারের মধ্যকার বিবাদ মিটিয়ে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার।

২০১৭ সালের ৫ জুন কথিত সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। তবে সৌদি জোটের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে কাতার। বরং এ অবরোধকে রক্তপাতহীন যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান আলে সানি। তার ভাষায়, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন কয়েকটি আরব দেশ দোহার বিরুদ্ধে প্রকারান্তরে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।

কাতারবিরোধী ওই অবরোধ প্রত্যাহারে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেছিল সৌদি জোট। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া, কাতার থেকে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। তবে সৌদি জোটের দাবি প্রত্যাখ্যান করে উল্টো তুরস্কের দিকে আরও বেশি ঝুঁকে পড়ে কাতার। তুরস্কও কাতারের সমর্থনে এগিয়ে আসে। বলা চলে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান একাই সৌদি আরবের কাতারবিরোধী অবরোধ ব্যর্থ করে দেন।