একদিনে ১৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৯৭৮

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাত হাজার ৬৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৯৭৮ জন। আর এ নিয়ে টানা পাঁচ দিন করোনায় শনাক্তের সংখ্যা হাজারের নিচে রয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার ৯৯১ জন, সোমবার ৯১০ জন, রোববার ৮৩৫ জন এবং শনিবার ৬৮৪ জন শনাক্ত হয়েছিলেন। এ নিয়ে দেশে মোট ৫ লাখ ১৮ হাজার ৮৯৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ২১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৬৩ হাজার ৪৮০ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৮১টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৪টি, জিন-এক্সপার্ট ২৭টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪০টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ৬৮৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৪৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৩ লাখ দুই হাজার ৪২৯টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছয় দশমিক ২৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৮ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও নারী দুই জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে নয় জন, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে দুই জন করে ছয় জন। এছাড়া খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে দুই জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ১৭ জন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১১৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৬০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৭ হাজার জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৫ হাজার ৭২৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ২৭১ জন। উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এরমধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

আরও খবর
এবার অন্য টিকার জন্য যোগাযোগ শুরু
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য টিকা উৎপাদনের অনুমতি পেল ‘গ্লোব বায়োটেক’
হু তদন্ত দলকে ভিসা দেয়নি চীন
যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক অভিন্ন ৬ নদীর তথ্য বিনিময়
মায়ানমার কোন প্রতিশ্রুতি কার্যকর করছে না
‘গত বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯৬৯
সিনেটে নিয়ন্ত্রণ পেতে যাচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা
তিস্তা ভাঙছে : জমি নদীতে মানবেতর জীবনযাপন চরবাসীর
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই ৩০ জানুয়ারি
আমৃত্যু নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলব : কাদের মির্জা
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে ব্যবস্থা নিতে কেউ বিশেষ সুবিধা পাবে না
পিপলস লিজিংয়ের ৭ জনকে দুদকে তলব
টেকনাফে পুলিশের ওপর হামলা : গুলিতে নিহত ১

বৃহস্পতিবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২১ , ২৩ পৌষ ১৪২৭, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

দেশে করোনায়

একদিনে ১৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৯৭৮

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাত হাজার ৬৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৯৭৮ জন। আর এ নিয়ে টানা পাঁচ দিন করোনায় শনাক্তের সংখ্যা হাজারের নিচে রয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার ৯৯১ জন, সোমবার ৯১০ জন, রোববার ৮৩৫ জন এবং শনিবার ৬৮৪ জন শনাক্ত হয়েছিলেন। এ নিয়ে দেশে মোট ৫ লাখ ১৮ হাজার ৮৯৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ২১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৬৩ হাজার ৪৮০ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৮১টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৪টি, জিন-এক্সপার্ট ২৭টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪০টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ৬৮৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৪৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৩ লাখ দুই হাজার ৪২৯টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছয় দশমিক ২৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৮ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও নারী দুই জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে নয় জন, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে দুই জন করে ছয় জন। এছাড়া খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে দুই জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ১৭ জন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১১৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৬০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৭ হাজার জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৫ হাজার ৭২৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ২৭১ জন। উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এরমধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।