করোনাভাইরাসের উৎস নির্ধারণে তদন্তকাজ পরিচালনার জন্য একদল বিশেষজ্ঞ চীনে পাঠাতে চেয়েছিল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। প্রথমে না করে দিলেও পরবর্তিতে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে বিশেষজ্ঞদের প্রবেশে অনুমতি দেয়ার কথা জানায় বেইজিং। চাপের মুখে অনুমতি দেয়ার কথা বললেও এখন পর্যন্ত তাদের ভিসার অনুমোদন দেয়নি চীনা কর্তৃপক্ষ। ফলে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারছে না ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞ দল। জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের এমন আচরণে হতাশার কথা জানিয়েছেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। গার্ডিয়ান।
গেব্রেয়াসুস জানান, বিশেষজ্ঞ দলের দুই সদস্য উহানের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার পর তাদের বলা হয়, চীনা কর্মকর্তারা তাদের দেশটিতে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেননি। তিনি বলেন, আমি চীনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং আবারও পরিষ্কার করেছি যে, এই মিশনটি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক টিমের জন্য একটি অগ্রাধিকার।
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, তার সংস্থা যত দ্রুত সম্ভব মিশনটি চালুর জন্য আগ্রহী। বেইজিং-এর পক্ষ থেকেও তাকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা বিশেষজ্ঞ দলটির জন্য অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কর্মকা-বিষয়ক পরিচালক মাইকেল রায়ান বলেন, এখানে ভিসার একটি সমস্যা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ দলটির একজন সদস্য এরইমধ্যে নিজ দেশে ফিরে গেছেন। অন্যজন তৃতীয় একটি দেশে ট্রানজিটের অপেক্ষায় রয়েছেন।
সাধারণভাবে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে চীনের উহান শহরকেই বিবেচনা করা হয়। মনে করা হয়, সেখানকার বন্যপ্রাণী বিক্রির একটি বাজার থেকে এ ভাইরাসের সূত্রপাত ঘটেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এ ভাইরাসকে চীনা ভাইরাস হিসেবেও অভিহিত করেছেন। এ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে বেইজিং।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও অনেক দিন ধরেই চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে এ তদন্তের অনুমতি চেয়ে এসেছে। তবে প্রথম দিকে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসলেও শেষ পর্যন্ত ডব্লিউএইচও’র সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছায় বেইজিং। এরপরই গত ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনার উৎপত্তিস্থল নির্ধারণে তদন্তের ঘোষণা দেয় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
ওই সময়ে বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যম এপি’র সঙ্গে কথা বলেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত তদন্ত দলের সদস্য জার্মানির রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউটের ফ্যাবিয়ান লিন্ডার্টজ। তিনি জানান, করোনার উৎপত্তিস্থল নিয়ে কাউকে দোষারোপ করার ইচ্ছা ডব্লিউএইচও’র নেই। বরং প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে করোনার সংক্রমণ মোকাবিলার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মাত্রা কমিয়ে আনাই এর লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২১ , ২৩ পৌষ ১৪২৭, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
সংবাদ ডেস্ক |
করোনাভাইরাসের উৎস নির্ধারণে তদন্তকাজ পরিচালনার জন্য একদল বিশেষজ্ঞ চীনে পাঠাতে চেয়েছিল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। প্রথমে না করে দিলেও পরবর্তিতে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে বিশেষজ্ঞদের প্রবেশে অনুমতি দেয়ার কথা জানায় বেইজিং। চাপের মুখে অনুমতি দেয়ার কথা বললেও এখন পর্যন্ত তাদের ভিসার অনুমোদন দেয়নি চীনা কর্তৃপক্ষ। ফলে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারছে না ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞ দল। জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের এমন আচরণে হতাশার কথা জানিয়েছেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। গার্ডিয়ান।
গেব্রেয়াসুস জানান, বিশেষজ্ঞ দলের দুই সদস্য উহানের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার পর তাদের বলা হয়, চীনা কর্মকর্তারা তাদের দেশটিতে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেননি। তিনি বলেন, আমি চীনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং আবারও পরিষ্কার করেছি যে, এই মিশনটি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক টিমের জন্য একটি অগ্রাধিকার।
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, তার সংস্থা যত দ্রুত সম্ভব মিশনটি চালুর জন্য আগ্রহী। বেইজিং-এর পক্ষ থেকেও তাকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা বিশেষজ্ঞ দলটির জন্য অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কর্মকা-বিষয়ক পরিচালক মাইকেল রায়ান বলেন, এখানে ভিসার একটি সমস্যা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ দলটির একজন সদস্য এরইমধ্যে নিজ দেশে ফিরে গেছেন। অন্যজন তৃতীয় একটি দেশে ট্রানজিটের অপেক্ষায় রয়েছেন।
সাধারণভাবে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে চীনের উহান শহরকেই বিবেচনা করা হয়। মনে করা হয়, সেখানকার বন্যপ্রাণী বিক্রির একটি বাজার থেকে এ ভাইরাসের সূত্রপাত ঘটেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এ ভাইরাসকে চীনা ভাইরাস হিসেবেও অভিহিত করেছেন। এ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে বেইজিং।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও অনেক দিন ধরেই চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে এ তদন্তের অনুমতি চেয়ে এসেছে। তবে প্রথম দিকে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসলেও শেষ পর্যন্ত ডব্লিউএইচও’র সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছায় বেইজিং। এরপরই গত ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনার উৎপত্তিস্থল নির্ধারণে তদন্তের ঘোষণা দেয় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
ওই সময়ে বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যম এপি’র সঙ্গে কথা বলেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত তদন্ত দলের সদস্য জার্মানির রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউটের ফ্যাবিয়ান লিন্ডার্টজ। তিনি জানান, করোনার উৎপত্তিস্থল নিয়ে কাউকে দোষারোপ করার ইচ্ছা ডব্লিউএইচও’র নেই। বরং প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে করোনার সংক্রমণ মোকাবিলার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মাত্রা কমিয়ে আনাই এর লক্ষ্য।