চীনের বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন

হংকংয়ে গ্রেফতার অর্ধশতাধিক গণতন্ত্রপন্থি

চীনের বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনে হংকংয়ে ফের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এ আইনের অধীনে গত মঙ্গলবার অঞ্চলটির অর্ধশতাধিক গণতন্ত্রপন্থি আইনপ্রণেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

হংকংয়ে ফের গণতন্ত্রপন্থি আইনপ্রণেতা ও কর্মীদের ওপর ধরপাকড় শুরু হয়েছে। চীনের বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনে অঞ্চলটির ৫৩ গণতন্ত্রপন্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডয়চে ভেলে।

হংকংয়ের চীনা প্রশাসন কার্যত সব বিরোধী নেতাকে জেলে পাঠাচ্ছেন। হংকংয়ের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারা বলছেন, সেপ্টেম্বরের অ্যাসেম্বলি নির্বাচনের আগে বিরোধীরা যে প্রাইমারি ভোটের আয়োজন করেছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। হংকংয়ে চীন যে জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালু করেছে, তার জেরেই এই ধরপাকড় চালানো সম্ভব হয়েছে।

হংকংয়ে এর আগে কখনও একসঙ্গে এতো রাজনীতিককে গ্রেফতার করা হয়নি। যেকোন বিক্ষোভ মিছিলে বরাবরই ধরপাকড় চালিয়েছে সরকারি বাহিনী। কিন্তু এভাবে ধরে ধরে গ্রেফতার করা হয়নি। চীনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গণতন্ত্রপন্থিদের বক্তব্য, সেপ্টেম্বর হংকংয়ে অ্যাসেম্বলি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তার আগে বিরোধীদের শক্তি বোঝার জন্য তারা একটি প্রাইমারি ভোটের ব্যবস্থা করেছিলেন। ওই ভোটের সঙ্গে প্রশাসনের কোন সম্পর্ক নেই। বিরোধীরা বেসরকারিভাবে ওই ভোটের আয়োজন করেছিল। প্রাইমারি নির্বাচন হলেও অ্যাসেম্বলি নির্বাচন হয়নি। প্রশাসন মহামারীর দোহাই দিয়ে নির্বাচন স্থগিত রেখেছে।

বৃহস্পতিবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২১ , ২৩ পৌষ ১৪২৭, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

চীনের বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন

হংকংয়ে গ্রেফতার অর্ধশতাধিক গণতন্ত্রপন্থি

চীনের বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনে হংকংয়ে ফের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এ আইনের অধীনে গত মঙ্গলবার অঞ্চলটির অর্ধশতাধিক গণতন্ত্রপন্থি আইনপ্রণেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

হংকংয়ে ফের গণতন্ত্রপন্থি আইনপ্রণেতা ও কর্মীদের ওপর ধরপাকড় শুরু হয়েছে। চীনের বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনে অঞ্চলটির ৫৩ গণতন্ত্রপন্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডয়চে ভেলে।

হংকংয়ের চীনা প্রশাসন কার্যত সব বিরোধী নেতাকে জেলে পাঠাচ্ছেন। হংকংয়ের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারা বলছেন, সেপ্টেম্বরের অ্যাসেম্বলি নির্বাচনের আগে বিরোধীরা যে প্রাইমারি ভোটের আয়োজন করেছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। হংকংয়ে চীন যে জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালু করেছে, তার জেরেই এই ধরপাকড় চালানো সম্ভব হয়েছে।

হংকংয়ে এর আগে কখনও একসঙ্গে এতো রাজনীতিককে গ্রেফতার করা হয়নি। যেকোন বিক্ষোভ মিছিলে বরাবরই ধরপাকড় চালিয়েছে সরকারি বাহিনী। কিন্তু এভাবে ধরে ধরে গ্রেফতার করা হয়নি। চীনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গণতন্ত্রপন্থিদের বক্তব্য, সেপ্টেম্বর হংকংয়ে অ্যাসেম্বলি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তার আগে বিরোধীদের শক্তি বোঝার জন্য তারা একটি প্রাইমারি ভোটের ব্যবস্থা করেছিলেন। ওই ভোটের সঙ্গে প্রশাসনের কোন সম্পর্ক নেই। বিরোধীরা বেসরকারিভাবে ওই ভোটের আয়োজন করেছিল। প্রাইমারি নির্বাচন হলেও অ্যাসেম্বলি নির্বাচন হয়নি। প্রশাসন মহামারীর দোহাই দিয়ে নির্বাচন স্থগিত রেখেছে।