চাই দুর্নীতিমুক্ত ডাক বিভাগ

গত ৬ মাস ধরে ঢাকার কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগে চিহ্নিত কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মচারী কাজ না করে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন। মানিঅর্ডার ফরম ও সই জালিয়াতির মতো অভিযোগও রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে। অনিয়মের প্রতিবাদ করলে অফিসারকে গালাগাল ও হুমকি দেয়া হয়। সম্প্রতি কর্মচারী ইউনিয়নের এক নেতাকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করার পর কর্মচারীরা অফিস চলাকালে মাইক লাগিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। সংবাদের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

ডাক বিভাগে দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মচারীর স্বেচ্ছাচারিতায় ডাক বিভাগ ডুবতে বসেছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যে কাজের মান বৃদ্ধি করা দরকার সে উপলব্ধি কারও মধ্যে নেই। অথচ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিলেই বিক্ষোভ করা হয়।

সম্প্রতি যে কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা এখন আদালতের বিষয়। আদালতে তার পক্ষে দাঁড়ানো এবং যুক্তি দেখানোর সুযোগ রয়েছে। সেটা না করে অন্যায্য দাবিতে বিক্ষোভ করা হচ্ছে। অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছে। যারা এসব করছেন তারা কি এটাই বোঝাতে চান যে, ডাক বিভাগে যা চলছে, চলুক। এতে বাধা দেয়া যাবে না।

দিনের পর দিন অনিয়ম-দুর্নীতি করা হবে আর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে না- এটা হতে পারে না। ডাক বিভাগকে দুর্নীতিমুক্ত বিভাগ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পেশাদারিত্বের মনোভাব নিয়ে ডাক বিভাগে কাজ করতে হবে। কারও বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনরকম ছাড় দেয়া যাবে না।

বৃহস্পতিবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২১ , ২৩ পৌষ ১৪২৭, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

চাই দুর্নীতিমুক্ত ডাক বিভাগ

গত ৬ মাস ধরে ঢাকার কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগে চিহ্নিত কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মচারী কাজ না করে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন। মানিঅর্ডার ফরম ও সই জালিয়াতির মতো অভিযোগও রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে। অনিয়মের প্রতিবাদ করলে অফিসারকে গালাগাল ও হুমকি দেয়া হয়। সম্প্রতি কর্মচারী ইউনিয়নের এক নেতাকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করার পর কর্মচারীরা অফিস চলাকালে মাইক লাগিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। সংবাদের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

ডাক বিভাগে দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মচারীর স্বেচ্ছাচারিতায় ডাক বিভাগ ডুবতে বসেছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যে কাজের মান বৃদ্ধি করা দরকার সে উপলব্ধি কারও মধ্যে নেই। অথচ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিলেই বিক্ষোভ করা হয়।

সম্প্রতি যে কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা এখন আদালতের বিষয়। আদালতে তার পক্ষে দাঁড়ানো এবং যুক্তি দেখানোর সুযোগ রয়েছে। সেটা না করে অন্যায্য দাবিতে বিক্ষোভ করা হচ্ছে। অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছে। যারা এসব করছেন তারা কি এটাই বোঝাতে চান যে, ডাক বিভাগে যা চলছে, চলুক। এতে বাধা দেয়া যাবে না।

দিনের পর দিন অনিয়ম-দুর্নীতি করা হবে আর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে না- এটা হতে পারে না। ডাক বিভাগকে দুর্নীতিমুক্ত বিভাগ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পেশাদারিত্বের মনোভাব নিয়ে ডাক বিভাগে কাজ করতে হবে। কারও বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনরকম ছাড় দেয়া যাবে না।