কুমিল্লায় সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রাক্তন স্বামী আব্দুল কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। গত বুধবার দুপুরে কুমিল্লার ৪র্থ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ রোজিনা খাঁন এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবদুল কাদের জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আবু তাহের এর ছেলে। জামিনে গিয়ে সে পলাতক রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে আয়েশা আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আবদুল কাদেরের বিয়ে হয়। উভয়ের মাঝে পারিবারিক কলহ দেখা দিলে ২০১০ সালের দিকে তালাক হয়ে যায়। ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট বিকেলে মামার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মুরাদনগর উপজেলার উড়িশ্বর গ্রামে আয়েশা আক্তারের পথ গতিরোধ করে আবদুল কাদের। আয়েশা আক্তার কথা বলতে অস্বীকৃতি জানালে আবদুল কাদের ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আবদুল কাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় নিহত আয়েশা আক্তারের বাবা আবুল হোসেন ৪ জনের বিরুদ্ধে ওইদিন রাতেই মামলা দায়ের করেন। পরদিন গ্রেফতারকৃত আসামি আবদুল কাদের কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলামের আদালতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে।
শুক্রবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২১ , ২৪ পৌষ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
জেলা বার্তা পরিবেশক, কুমিল্লা
কুমিল্লায় সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রাক্তন স্বামী আব্দুল কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। গত বুধবার দুপুরে কুমিল্লার ৪র্থ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ রোজিনা খাঁন এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবদুল কাদের জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আবু তাহের এর ছেলে। জামিনে গিয়ে সে পলাতক রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে আয়েশা আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আবদুল কাদেরের বিয়ে হয়। উভয়ের মাঝে পারিবারিক কলহ দেখা দিলে ২০১০ সালের দিকে তালাক হয়ে যায়। ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট বিকেলে মামার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মুরাদনগর উপজেলার উড়িশ্বর গ্রামে আয়েশা আক্তারের পথ গতিরোধ করে আবদুল কাদের। আয়েশা আক্তার কথা বলতে অস্বীকৃতি জানালে আবদুল কাদের ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আবদুল কাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় নিহত আয়েশা আক্তারের বাবা আবুল হোসেন ৪ জনের বিরুদ্ধে ওইদিন রাতেই মামলা দায়ের করেন। পরদিন গ্রেফতারকৃত আসামি আবদুল কাদের কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলামের আদালতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে।